মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার সহজ উপায় জেনে নিন
আপনি কি ঘরে বসে প্রতি মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার উপায় গুলো জানতে
চাচ্ছেন? তাহলে সঠিক জায়গাতে এসেছেন। আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেলে মাসে
৩০ হাজার টাকা আয় করার উপায় জানাবো এখান থেকে আপনি মাসে লক্ষ টাকা ইনকাম করতে
পারবেন।
মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার বিষয়ে বিস্তারিত জানতে আমাদের দেওয়া আর্টিকেলটি শেষ
পর্যন্ত পড়বেন। তো চলুন বিস্তারিত আলোচনা শুরু করি।
মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার উপায়
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে চাকরী পাওয়া মানে “সোনার হরিণ” পাওয়ার সমান। তাই, অধিকাংশ
মানুষ এখন অনলাইন আয়ের দিকে ধাবিত হচ্ছে। তাহলে কিভাবে অনলাইনে মাসে ৩০ হাজার
টাকা আয় করার যায় তার কয়েকটি উপায় চলুন দেখে নিন।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং--
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে আয় খুব বহুল প্রচলিত একটি উপায়। যার মাধ্যমে
আপনি অন্য কোন কোম্পানির পন্য বা সেবা নিয়ে কাজ করতে পারবেন। এবং আপনার রেফারেল
অনুসারে যদি কোন গ্রাহক আপনার বিজ্ঞাপন লিংক ব্যবহার করে পন্য বা সেবা ক্রয় করে
তাহলে আপনি একটি কমিশন পাবেন। এজন্য আপনাকে ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে হবে।
অথবা আপনার যদি কোন জনপ্রিয় ব্লগ সাইট থাকে তাহলে খুব সহজেই আপনি সেখানে ফ্রি
ক্যাম্পেইন করতে পারবেন। অন্যথায় সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং বা ইমেল মার্কেটিং করে
পন্যের প্রচার করতে পারেন। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে মাসে ৩০ হাজার টাকা বা তার
বেশি আয় করা সম্ভব।
ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকাম--
ফ্রিল্যান্সিং করে জেকেও মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন। তবে, ফ্রিল্যান্সিং
শুরু করাটাই খানিকটা চ্যালেন্জিং বিষয় বলে বলা যেতে পারে। আসলে ফ্রিল্যান্সিং
শুরু করার ক্ষেত্রে আপনার মধ্যে একটি বা একাধিক বিষয়ে দারুন দক্ষতা এবং জ্ঞান
থাকতে হয়। উদাহরণ স্বরূপ, কেও হয়তো ওয়েবসাইট ডিজাইন করার কাজে দক্ষ,
কেও হয়তো কনটেন্ট রাইটিং করতে আবার অনেকেই ওয়েবসার্ভার ম্যানেজ করার কাজ গুলো
অনেক ভালো ভাবে করতে জানেন। ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকাম করার ক্ষেত্রে আপনাকে নিজের
মধ্যে থাকা এই দক্ষতা এবং কাজের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে অন্যান্য নানান কোম্পানি,
ক্লায়েন্ট বা ব্যক্তিদের জন্য কাজ গুলো করে দিতে হয়।
এক্ষেত্রে প্রতিটি কাজ সফলতাপূর্বক সম্পূর্ণ করার পর, ক্লায়েন্ট দ্বারা আপনাকে
চুক্তিমতো পেমেন্ট পাঠিয়ে দেওয়া হবে। একজন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ পাওয়াটাও এখন
এতটা মুশকিল নয়। কেননা, Fiverr, freelancer.com, upwork, Guru, ইত্যাদির মতো
প্রচুর ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস সাইট গুলো পেয়ে যাবেন যেগুলোতে গিয়ে যেকোনো
ধরণের কাজের অভিজ্ঞতা থাকা ব্যক্তিরা নানান ফ্রিল্যান্সিং কাজ গুলো পেতে পারবেন।
ব্লগিং করে আয়--
বর্তমান সময়ে বাংলাদেশে ব্লগিং করে মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন। কিন্তু
এটি মূলত নির্ভর করে ব্লগের নিশ, কন্টেন্ট, গুণমান, এবং দর্শকদের সংখ্যার উপর।
সাধারণত, একটি ব্লগ থেকে মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার জন্য প্রতি মাসে কমপক্ষে ৫০
হাজার পেজ ভিউ থাকা প্রয়োজন। প্রতি পেজ ভিউয়ের জন্য যদি গড়ে আপনি ০.৫ থেকে
০.৯০ ডলার করে পান
তাহলে ৫০ হাজার পেজের ভিউ থেকে ইনকাম হবে ২০ হাজার টাকার কাছাকাছি। তবে প্রতি পেজ
ভিউয়ের ইনকাম নির্ভর করবে ব্লগের নিশ, বিষয়বস্তু, এবং বিজ্ঞাপনের ধরণের উপর।
এখানে আমি যে ইনকামের কথাটি বলেছি সেটি হলো গুগল এডসেন্স অ্যাপ এর মাধ্যমে
মনিটাইজেশন করার ক্ষেত্রে। এছাড়া যদি আপনার নিজের ওয়েবসাইটে ৫০ হাজার পেজের ভিউ
বেশি
বা ট্রাফিক নিয়ে আসতে পারেন তাহলে আপনার ইনকাম আরো অনেক বেশি হবে। এভাবে ঘরে বসে
শুধুমাত্র ব্লগিং করে লাখ টাকা ইনকাম করছে এমন মানুষের সংখ্যা ও অনেক আছে। ব্লগিং
এমন একটি কাজ যেখান থেকে আনলিমিটেড টাকা ইনকাম করা সম্ভব। তবে এক্ষেত্রে আপনাকে
সঠিক নিস নির্বাচন এবং কন্টেন্টের উপর প্রবল মনোযোগ দিতে হবে।
মূলত আপনি ব্লগিং পেশায় যেমন ইনকাম করতে পারবেন তেমনি ব্লগিং করার জন্য ধর্য্য
ধারণ ও পরিশ্রম করতে হবে। সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ব্লগিংয়ের মাধ্যমে আপনি
প্যাসিভ ইনকাম জেনারেট করতে পারবেন। যদি একবার কষ্ট করেন তাহলে আজীবনের জন্য
লাভবান হওয়ার সবচেয়ে উত্তম পন্থা হলো ব্লগিং।
মূলত আপনি বর্তমান সময় থেকে আগামী ৬ মাস বা ১ বছর ব্লগিং করার জন্য নিজের সময়
ব্যয় করেন তাহলে এ সময়ের মধ্যে আপনি প্রতি মাসে ৩০ হাজার টাকা বা এর চেয়ে বেশি
টাকা ইনকাম করতে সক্ষম হবেন বলে আশা করা যায়।
ওয়েব ডিজাইন--
অনলাইনে সবচেয়ে জনপ্রিয় কাজের মধ্যে একটি হলো ওয়েব ডিজাইন। অনেকে সময়ের অভাবে
ওয়েব ডিজাইন করতে চায় না এক্ষেত্রে আপনি তাদের সাথে দিন করে ডিজাইন করে তার
বিনিময়ে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন যেমন একটি ওয়েব ডিজাইন করার বিনিময়ে প্রায়
১০০০০ থেকে শুরু করে ১৫০০০ টাকার চার্জ নেওয়া হয়।
প্রতিমাসে পাঁচটি ওয়েবসাইট ডিজাইন করে দিলে অনায়াসে মাসের ৫০ হাজার টাকা ইনকাম
করতে পারবেন। তবে ওয়েব ডিজাইন করার জন্য আপনাকে আগে এই স্কিলটি নিজের মধ্যে
ডেভেলপ করতে হবে। আপনি যত ভালোভাবে ওয়েব ডিজাইন করবেন ক্লায়েন্ট আপনার প্রতি
ঠিক ততই খুশি হবে এবং বারবার আপনার সাথে ডিল তে আগ্রহ প্রকাশ করবে।
ভিডিও এডিটিং--
আপনি যদি ভিডিও এডিটিং করতে পারেন তাহলে আপনার জন্য মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করে
কোন ব্যাপার না বরং এর থেকে আরও বেশি টাকা আয় করতে পারবেন। বর্তমানে
মার্কেটপ্লেসে ভিডিও এডিটিং এর চাহিদা অনেক বেশি। কম বেশি সকল ডিজিটাল কোম্পানি
এই ভিডিও এডিটিং করার ক্লায়েন্ট খুঁজে থাকে। যাতে করে ভিডিও এডিট করে মার্কেটিং
করা যায়।
আপনি যদি ভিডিও এডিটিং পারেন তাহলে অনায়াসে যেকোন মার্কেটপ্লেস থেকে ৩০ হাজার
টাকার বেশি আয় করতে পারবেন। তবে একটা কথা মনে রাখা উচিত আপনাকে অবশ্যই ভিডিও
এডিটিং এ দক্ষতা থাকা লাগবে।
এসইও এক্সপার্ট--
শুধুমাত্র বাংলাদেশ না, সারা পৃথিবীতে এসইও এক্সপার্টদের বিশাল চাহিদা রয়েছে।
এসইও হলো সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন অর্থাৎ, একটি ওয়েবসাইটকে র্যাংক করানোর
টেকনিক। সারা বিশ্বে লক্ষ লক্ষ ওয়েবসাইট আছে এবং ওয়েবসাইটগুলো গুগলে র্যাংক করার
জন্য এসইও এক্সপার্ট হায়ার করে থাকে। আর এসব কাজগুলো বাংলাদেশ, ভারত এবং
পাকিস্তানের মানুষগুলো বেশি মাত্রা করে থাকে।
তাই বাংলাদেশি হিসেবে এসইও তে ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ সবচেয়ে বেশি। বাংলাদেশে একজন
নতুন এসইও এক্সপার্ট প্রতি মাসে ২০-৫০ হাজার টাকা ইনকাম করে থাকে। যদি আপনি এসইও
এক্সপার্ট হিসেবে ক্যারিয়ার গড়তে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে ডিজিটাল মার্কেটিং
কোর্স করতে হবে। তা না হলে আপনি সঠিক গাইডলাইন পাবেন না।
ছাত্র জীবনে টাকা আয় করার উপায়
ছাত্র ছাত্রীদের জন্য ইনকাম করার গুরুত্বপূর্ণ কিছু উপায় আলোচনা করা হবে।
প্রতিটি ছাত্র-ছাত্রীর একটি স্বপ্ন থাকে যেন তারা ছাত্র জীবনে কিছু হলো ইনকাম
করতে পারে এবং নিজের খরচ চালাতে পারে। বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ রয়েছে যেগুলোর
মাধ্যমে একজন ছাত্র অথবা ছাত্রীর খুব সহজেই পড়াশোনা চলাকালীন অবস্থায় কিছু হলেও
ইনকাম করতে পারবে। তাহলে চলুন বিষয় গুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
টিউশনি করাঃ
টিউশনি ছাত্রজীবনে আর্নিং করার সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি উপায়। আপনি যদি কোনো
বিষয়ে ভালো হন এবং ছাত্রদের শেখানোর আগ্রহ থাকে, তাহলে টিউশনি করা শুরু করতে
পারেন। টিউশনি করার জন্য আপনি আপনার বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজন, বা আপনার
এলাকার স্কুল-কলেজের ছাত্রদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। অথবা আপনি যেখানে বসবাস
করে সেই এলাকায় আপনি কোন বিষয় পড়াতে চান তা লিফলেট তৈরি করে দেয়ালে লাগিয়ে দিতে
পারেন।
ইউটিউবে ভিডিও আপলোডঃ
ছাত্রাবস্থায় ইনকামের অন্যতম একটি উপায় হলো ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করা আপনি যদি
শিক্ষামূলক কনটেন্ট গুলো ইউটিউবে আপলোড করেন তাহলে অনেক মানুষ হই তা দেখতে আগ্রহী
হবে এর ফলে আপনি ইউটিউব থেকে উপার্জন করতে পারবেন।
পার্ট টাইম জবঃ
ছাত্রজীবনের বেকার সময় কি কাজে লাগে পার্ট টাইম জব করুন। স্কুল অথবা কলেজে দিনের
অর্ধেক সময় লেখাপড়া হয়। বাকি অর্ধেক সময় শিক্ষার্থীরা আড্ডা দিয়ে কাটিয়ে
দেয়। তাই আপনি চাইলে আপনার ফ্রী সময় পার্ট টাইম জব করুন। যেকোনো অফিসে,
ডাক্তারের চেম্বারে, ঔষধের দোকানে, অথবা যে কোন কর্ম ক্ষেত্রে পার্ট টাইম জব
করুন।
ভিডিও এডিটঃ
আপনি একজন ভালো ভিডিও এডিটর হয়ে থাকলে আপনি কিন্তু ভিডিও এডিট করেও
অনলাইন থেকে কিছু সংখ্যক টাকা খুবই সহজে ইনকাম করতে পারেন তাই যদি আপনি ভিডিও
এডিট করতে পারেন তাহলে তো এটা আপনার জন্য ভালো খবর আর যদি না পারেন তাহলে ভিডিও
এডিট কোথা থেকে শিখে পড়াশোনা পাশাপাশি ভিডিও এডিটিং এ কাজ করতে পারেন।
ডে কেয়ার সেন্টারঃ
আপনি যদি মেয়ে হন সে ক্ষেত্রে ডে কেয়ার গড়ে তুলুন। বর্তমানে কমবেশি প্রত্যেকটি
ফ্যামিলির ওই উভয়ে চাকরিজীবী হওয়ায় তাদের শিশুকে দেখার জন্য লোকজনের প্রয়োজন
হয়। তাই আপনি চাইলে ডে কেয়ারের মাধ্যমে ঐরকম ফ্যামিলির শিশুদের দেখভাল করে
ইনকাম করতে পারেন।
লেখালেখির কাজঃ
ছাত্র জীবনে সহজ কাজগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো লেখালেখির কাজ। আপনি যদি কম্পিউটার
টাইপিং এ খুব এক্সপার্ট হয়ে থাকেন তাহলে দলিল লেখালেখি অথবা আরও বিভিন্ন ধরনের
লেখালেখির কাজ রয়েছে যেগুলো করে
আপনি দিনে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকার বেশি ইনকাম করতে পারবেন। এই লেখালেখি করার জন্য
আপনাকে কিছু নির্দিষ্ট জায়গা রয়েছে যেমন আদালত এর পাশে অথবা ভূমি অফিসের পাশে
বসতে হবে।
বই রিভিউ করে আয়ঃ
বইয়ের রিভিউ করে আয় করা কঠিন কোনো কাজ নয়। আপনি যদি বই পড়তে ভালোবাসেন তাহলে
ছাত্র জীবনে বই রিভিউ করে আপনি ভালো টাকা আয় করতে পারবেন। বিভিন্ন ওয়েবসাইটে বুক
রিভিউ লিখতে পারেন এবং সেখান থেকে আর্নিং করতে পারবেন।
মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার উপায়
বর্তমান সময়ে নারীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা বৃদ্ধির সাথে সাথে বাংলাদেশের
অর্থনীতিতেও মেয়েদের অবদান প্রতিনিয়ত বাড়ছে। অনেক মেয়ে এখন ঘরে বসেই আয় করার
সহজ উপায় খুঁজে নিচ্ছেন। তবে এমন অনেক মেয়েও আছেন,
আরো পড়ুনঃ মেয়েদের হাত পা ফর্সা করার ক্রিমের নাম
যারা বাড়ির বাইরে গিয়ে কাজ করতে আগ্রহী নন। তাদের জন্য ঘরে বসে আয় করার
বিভিন্ন উপায় রয়েছে, যেগুলো অনলাইন ও অফলাইন উভয়ভাবেই করা সম্ভব। এই পোস্টে
আমরা আলোচনা করবো মেয়েদের জন্য ঘরে বসে আয়ের সহজ ও লাভজনক উপায়গুলো--
অনলাইনে পাঠদান--
মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার উপায় গুলোর মধ্যে সব থেকে সেরা উপায় হলো অনলাইনে
পাঠদান করা। আপনি যে বিষয়ে ভালো জ্ঞান রাখেন সেই বিষয়টি নিয়ে অনলাইনে পাঠদানের
ব্যবস্থা করুন। ঘরে বসে অনলাইনে শিক্ষা দান করে ইন্টারনেট দুনিয়ার সবচেয়ে সেরা
উপায় হলো টাকা ইনকাম করার। ২০২০ সালের পর থেকে অর্থাৎ
করোনা মহামারীর চলাকালীন সময়ে শিক্ষা অর্জনের জন্য শিক্ষার্থীরা অনলাইন ক্লাসের
উপর নির্ভরশীল হয়ে উঠে। যা বর্তমানেও চলমান রয়েছে। এতে করে লেখাপড়ার করার জন্য
নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানে যাওয়ার পরিবর্তে ঘরে বসেই অনলাইনে মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা
শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে। কোন কোচিং সেন্টার বা প্রাইভেট সেন্টারে যাওয়ার জন্য
তাদের সময় এবং যাতায়াত খরচ উভয়ই বেচে যায়।
অনলাইনে শিক্ষা গ্রহণ করার ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন ধরনের অনলাইন কোর্সের
উপর চাহিদা অনুযায়ী ভর্তি হতে পারে। বর্তমানে অনেক শিক্ষার্থী এখন অনলাইনে তাদের
পছন্দমত বিভিন্ন ধরনের কোর্সগুলোতে ভর্তি হয়ে কোডগুলো সম্পন্ন করছে।
আপনি যদি একজন মেয়ে হয়ে থাকেন এবং আপনি অনলাইনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের পাঠদান
করাতে চান তাহলে এক্ষেত্রে আপনাকে সবসময় কম্পিউটারের সামনে বসে থাকতে হবে না।
আপনার নিজের ইচ্ছামত সময় বের করে সিডিউল মোতাবেক ক্লাস নেওয়ার ব্যবস্থা করতে
পারবেন।
প্রসাধনী রিভিউ করে আয়--
মেয়েদের আয় করার জন্যে আর একটি উপায় এটি। যদি আপনি প্রসাধনী, ত্বকের যত্ন পণ্য
এবং এই জাতীয় পরীক্ষা করে থাকেন তবে আপনি সম্ভবত নিরাপদ দিকে আছেন। প্রতিক্রিয়া
দেওয়ার পরে আপনি হয় অর্থোপার্জন করুন বা আপনার পরীক্ষিত পণ্যটি রেখে দিন। আপনি
কেবল আপনার বাড়িতে স্কিন ক্রিম, অ্যান্টি-এজিং পণ্য এবং প্রসাধনী দেখাতে পারেন।
গৃহপালিত পশুপাখি পালন--
বর্তমানে গ্রাম কিংবা শহরের প্রচুরসংখ্যক মেয়েরা গৃহপালিত পশুপাখি পালনের মাধ্যমে
বাড়িতে বসে ইনকাম করছেন। আপনি যদি একজন মেয়ে হিসেবে পড়াশোনার পাশাপাশি আয় করতে
চান তাহলে গৃহপালিত পশুপাখি পালন করে তাদের দুধ, ডিম বিক্রি করে ইনকাম করতে
পারবেন। আপনি অবশ্যই জেনে থাকবেন, আজকাল শহর এবং গ্রামের অনেক মহিলা বা মেয়েরা
বিভিন্ন গৃহপালিত পশু যেমন: গরু, ছাগল, হাঁস, মুরগী, কবুতর ইত্যাদির খামার করে
সফল ও স্বাবলম্বী হয়েছেন। তাই আপনিও ভালো জাতের গৃহপালিত পশুপাখি ক্রয় করে
সঠিকভাবে উদ্যোগ নিয়ে বাড়িতে বসে ইনকামের একটি ব্যবস্থা করতে পারেন। এক্ষেত্রে
আপনাকে খুব বেশি পরিমাণে ইনভেস্ট করতে হবে না।
সেলাইয়ের কাজ করে আয়--
মেয়েদের ঘরে বসে আয় উপার্জনের আরেকটি উপায় হলো সেলাইয়ের কাজ। এই সেলাইয়ের কাজটি
হলো সেলাই মেশিন ব্যবহার করে কোন তৈরি পোশাককে বোঝায়। আপনি আপনার আশেপাশের
মানুষের পোশাক তৈরি করে ইনকাম জেনারেট করতে পারেন।
আরো পড়ুনঃ মেকআপ করার জিনিসের নাম ও দাম
এর জন্য একটি ভাল সেলাই মেশিন দরকার। বর্তমানে বেশিরভাগ বাড়িতে সেলাই মেশিন দেখা
যায়। এছাড়া গ্রামের ৬০-৭০% মহিলারা সেলাইয়ের কাজ পারে। তাই নারীরা তাদের অবসর
সময়ে বসে না থেকে সেলাই মেশিনের কাজ করলে প্রচুর অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।
ইউটিউবিং--
মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার উপায় গুলির মধ্যে YouTubing হলো একটি সেরা উপায়। এটা
মূলত ব্লগিংয়েরই একটি ভিডিও ফর্ম মাত্র। সহজ কথায়, বিভিন্ন বিষয় ভিত্তিক ভিডিও
রেকর্ড করে সেগুলো সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে শেয়ার করার প্রক্রিয়াকে
YouTubing বলা হয়ে থাকে। অনলাইনে খুব তারাতারি টাকা ইনকাম করার সেরা উপায় গুলির
মধ্যে
YouTube হলো সব থেকে জনপ্রিয় একটি প্লাটফর্ম। আপনি নিজের গুণাবলীকে ভিডিও বানিয়ে
সেগুলো ইউটিউবের মতো প্লাটফর্মে ইউটিউব চ্যানেল বানিয়ে সেখানে আপলোড করে প্রচার
করতে পারেন। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য যে, সারা বিশ্বজুড়ে YouTube থেকে লক্ষ লক্ষ লোক
প্রতিমাসে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করছেন।
অনলাইন কোর্স তৈরি--
বাসায় বসে বিভিন্ন কোর্স তৈরি করে ঘরে বসে অনেক টাকা আয় করা যায়। ধরুন – আপনার
দর্জির ব্যাপারেই অনেক দক্ষতা আছে। এটা অনেকেই শিখতে আগ্রহী হবে। তবে যারা অনেক
দূর থেকে আপনার কোর্স করবে তারা বাসায় এসে শিখতে পারবে না তাদের কে আপনি অনলাইন
এর মাধ্যমে কোর্স করিয়ে অনেক টাকা আয় করতে পারবেন।
বেকারি ব্যবসা--
আপনি যদি বিভিন্ন বেকারি খাদ্যদ্রব্যগুলো তৈরি করতে দক্ষ হয়ে থাকেন, তাহলে আপনি
বাড়িতে বসে বেকারি বিজনেস শুরু করতে পারেন এবং লোকদের কাছ থেকে অর্ডার নিতে
পারেন। বর্তমান সময়ে বিভিন্ন জন্মদিন কিংবা বিবাহ বার্ষিকী অনুষ্ঠানের জন্য
লোকেরা বাড়িতে বানানো কেক এবং অন্যান্য জিনিসগুলো অর্ডার করতে পছন্দ করেন।
তাই আপনি একটি ওয়েবসাইট বা সোশ্যাল মিডিয়া পেজ খুলে সেখানে কাস্টমারদের থেকে
অর্ডার নিতে পারবেন এবং পণ্যগুলো সরবরাহ করতে পারবেন। এভাবে মেয়েরা বিভিন্ন
বেকারি পণ্যগুলো তৈরি এবং হোম ডেলিভারি করার মাধ্যমে ঘরে বসে আয় করতে পারবেন।
ডিজিটাল মার্কেটিং করে ইনকাম
ডিজিটাল মার্কেটিং করে অনলাইন ইনকাম সবাই করতে চায়। সবকিছুই যেহেতু এখন ডিজিটাল
হয়ে গেছে, তাই ব্যবসাও হয়েছে ডিজিটাল। তাই ব্যবসা প্রসার করার জন্য মার্কেটিং ও
করতে হয় ডিজিটাল ভাবে। আপনার যদি একটি ব্যাবসা থাকে, তবে অধিক কাস্টমার পাওয়ার
জন্য আপনার ডিজিটাল মার্কেটিং করা উচিত।
তাছাড়া আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং শিখে অন্যের হয়ে মার্কেটিং করে দিয়ে কিংবা
মার্কেটপ্লেসে কাজ করে প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারবেন। ডিজিটাল মার্কেটিং এর
প্রসার অনেক। তাই অনেক সময় নিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে হবে। ডিজিটাল মার্কেটিং
করার জন্য বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া বা সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
সোশ্যাল মিডিয়াতে পণ্য বা সেবা সম্পর্কে সঠিক ধারণা দিয়ে ছবি বা ভিডিও বানিয়ে তা
অন্যদের মাঝে পৌঁছানোর মাধ্যমে ডিজিটাল মার্কেটিং করা হয়ে থাকে। অপরদিকে সার্চ
ইঞ্জিন ব্যবহার করে এসইও করে ডিজিটাল মার্কেটিং করা হয়ে থাকে।
আর্টিকেল রাইটিং করে ইনকাম
আর্টিকেল রাইটার হিসেবে কাজ করা হচ্ছে আপনার জীবনের উপযুক্ত উদ্যোগ বলা যেতে
পারে।কারণ আপনি জেনে অবাক হবেন যে একজন আর্টিকেল রাইটারের কাছে মাসে ৩০ হাজার
টাকা ইনকাম করা বড় কোনো ব্যাপার নয়। হোক আপনি বাংলা আর্টিকেল রাইটার কিংবা
ইংরেজি। আপনি উভয় ভাবেই মাসে ৩০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
তবে হ্যাঁ আপনাকে বেশ কিছু স্ট্রেটেজি অনুসরণ করতে হবে। একজন আর্টিকেল রাইটার
হয়ে উঠতে আপনাকে বেশ পরিশ্রম করতে হবে। এক্ষেত্রে আপনার বিষয় ভিত্তিক জ্ঞান
থাকতে হবে। সে বিষয়ে সুন্দর করে আর্টিকেল লিখার স্কিল থাকতে হবে। নিজের আর্টিকেল
লিখার মাধ্যমে পাঠকের দৃষ্টি আকর্ষণের কাজ করে যেতে হবে।
এভাবে সঠিক নিয়মে কাজ করলেই মাসে ৩০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন। যাই হোক,
আর্টিকেল রাইটার হিসেবে মাসে যদি ৩০ হাজার টাকা ইনকাম করতে চান তবে আপনাকে নিজের
সুন্দর ওয়েবসাইট তৈরি করে নিতে হবে অথবা বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম
গুলোতে আর্টিকেল রাইটার হিসাবে জব করতে পারেন।
এর জন্য প্রথমে আপনার এসিও করে আর্টিকেল তৈরি করতে হবে জেন গুগলে প্রথম পেজে জেন
রাঙ্ক করে। আর্টিকেল রাইটার হিসেবে কাজ করার জন্য নিজের একটি সিভি এবং পোর্টফলিও
গড়ে তুলতে পারেন। তারপর বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস যেমন (Upwork, Fiverr, Freelancer)
এ প্রোফাইল গড়ুন এবং এখানে গিগ উপস্থাপন করতে হবে। এরপর আপনার কাছে যে অর্ডার
আসবে সে গুলো ভালোভাবে তৈরি করে সাবমিট করুন। এভাবে মাসে মাসে ৩০ হাজার টাকা
ইনকাম করতে পারবেন।
গল্প লিখে টাকা আয় করার উপায়
গল্প লেখালেখি করে আয় করার অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে আমাদের দেশে। ইংরেজি কিংবা বাংলা
যে ভাষাতে গল্প লিখতে পারেন, সেই ভাষায় যেকোনো ধরনের গল্প লিখে আয় করতে পারবেন।
বাংলা গল্প লিখতে পারলে নিচে উল্লেখ করে দেয়া
ওয়েবসাইটের তালিকা থেকে যেকোনো একটি ওয়েবসাইটে কিংবা সবগুলো ওয়েবসাইটেই গল্প
লেখালেখি করে প্রতিদিন কিংবা প্রতি সপ্তাহে পেমেন্ট নিতে পারবেন। গল্প লিখে টাকা
আয় করার বাংলা ওয়েবসাইটসমূহ
- ট্রিকবিডি
- টেকটিউনস
- গ্রাথোড়
- বাংলায় আইটি
- জে আইটি
- প্রতিবর্তন
উপরোক্ত ওয়েবসাইটগুলো ছাড়াও আমাদের বাংলাদেশের আরও অনেক সাইট রয়েছে যেগুলোতে আপনি
বাংলায় গল্প লিখতে টাকা আয় করতে পারবেন।
লেখকের মন্তব্য
সুপ্রিয় পাঠক আমরা ইতিমধ্যে উল্লেখিত আলোচনার মাধ্যমে মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার উপায়
এবং কিছু ইউনিক ও কার্যকরী উপায় আপনাদের সামনে তুলে ধরেছি। উপরে উল্লেখিত সেরা
উপায় গুলির মধ্য থেকে যে বিষয়ে আপনি অভিজ্ঞ বা পারদর্শী সে বিষয়ে আপনার দক্ষতা
ও অভিজ্ঞতা অনুযায়ী একটি কাজ করতে শুরু করুন ইনশাআল্লাহ দেখবেন
আপনি সফলতার অর্জন করতে সক্ষম হবেন। যদি আর্টিকেলটি আপনাদের ভালো লাগে তাহলে
অবশ্যই সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করবেন। আর আর্টিকেলের বিষয়ে কোনো কিছু জানার থাকলে
অবশ্যই নিচে কমেন্ট করবেন। এতক্ষণ ধরে আর্টিকেলটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
Umme Haney'র নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url