জরায়ু ক্যান্সারের লক্ষণ - জরায়ু ক্যান্সার হলে করনীয়

জরায়ু ক্যান্সারকে বলা হয় 'নীরবঘাতক'। জরায়ু ক্যান্সার নারীদের একটি জটিল রোগ। প্রতিবছর বহু নারী এই রোগে মারা যান। তবে সঠিক সময়ে চিকিৎসা নিলে এই রোগেও সুস্থ থাকা যায়। আজকের এই আর্টিকেলে জরায়ু ক্যান্সারের লক্ষণ - জরায়ু ক্যান্সার হলে করনীয় এই সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব।
জরায়ু-ক্যান্সারের-লক্ষণ-জরায়ু-ক্যান্সার-হলে-করনীয়
প্রিয় পাঠক আপনি যদি আজকের এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়তে পারেন তাহলে জরায় ক্যান্সার সম্পর্কে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতে পারবেন। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।

জরায়ু ক্যান্সারের লক্ষণ

মহিলাদের জরায়ু মুখে যে ক্যান্সার হয় তাকে জরায়ু ক্যান্সার বলে। এই ক্যান্সার অত্যন্ত মারাত্মক যা বিশ্বব্যাপী মহিলাদের মৃত্যুর দ্বিতীয় কারণ। জরায়ুর ক্যান্সার সাধারণত ৩০ থেকে ৫৫ বছর বয়সী মহিলাদের মধ্যে বেশি হয়ে থাকে। জরায়ু ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সর্বোচ্চ ঝুঁকির্পূণ অবস্থানে থাকেন বয়স্ক ও দরিদ্র মহিলারা। জরায়ু ক্যান্সার নারীর একটি জটিল রোগ।


অনেক সময় উপসর্গ দেখা দিলেও অজ্ঞতার কারণে রোগী বোঝেন না যে তার ক্যান্সার হয়েছে। অথচ সতর্ক হলে এবং সঠিক চিকিৎসা নিলে জরায়ু ক্যান্সার থেকে বেঁচে থাকা যায়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যানুযায়ী, বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর ৫ লাখ ৭০ হাজার নারী জরায়ু ক্যান্সারে আক্রান্ত হন এবং প্রায় ৩ লাখ ১০ হাজার নারী এই রোগে মারা যান।

জরায়ুমুখ রোগের মধ্যে ৯০ শতাংশ মৃত্যুর ঘটনাই ঘটে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে। তলপেটে ব্যথা, ব্যাক পেইন ভাপা ফুলে যাওয়া ও পায়ে পানি আসা জরায়ু ক্যান্সারের অ্যাডভান্সড স্টেজের লক্ষণ। জরায়ু ক্যান্সারের লক্ষণ গুলো নিচে উল্লেখ করে দেওয়া হল-
  • নিম্ন অঙ্গের চারপাশে চাপ লাগা কিংবা ঘন ঘন মূত্র ত্যাগ করা।
  • গ্যাস, বদ হজম, কোষ্ঠকাঠিন্য। হালকা খাবারের পর পেট ভর্তি লাগা, পেটে অস্বস্তি লাগা ইত্যাদি পেটের কোনো সমস্যা খুব বেশি হলে তা জরায়ু ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে।
  • পেটে অতিরিক্ত ব্যথা কিংবা পেট ফুলে থাকা, সঙ্গে বমি বমি ভাব কিংবা বারবার বমি হওয়া। এর ফলে খিদে কমে যায়।
  • মেনোপজ হওয়ার পরও যদি কোনো নারীর রক্তক্ষরণ দেখা যায় তাহলে সেটিও জরায়ু ক্যান্সারের গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ। সেক্ষেত্রে দ্রুত তাকে ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে।
  • অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধি পাওয়া বা হঠাৎ করে ওজন কমে যাওয়া।
  • প্রথমদিকে রোগীর সাদা স্রাব হয়। অনেক সময় গন্ধযুক্ত বা রক্ত মিশ্রিত সাদা স্রাব হয়।
  • যৌন সম্পর্কের পর রক্ত বের হওয়া জরায়ু ক্যান্সারের খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি লক্ষণ। এজন্য সহবাসে কারো রক্ত গেলে দ্রুত ডাক্তারের কাছে যেতে হবে।
  • মাসিক অনিয়মিত হওয়া। দুই মাসিকের মাঝে অনিয়মিত রক্তচাপ অথবা মাসিক এত বেশি অনিয়মিত হচ্ছে যে মাসিকের তারিখ শনাক্ত করা যাচ্ছে না।

জরায়ু ক্যান্সার হলে করনীয়

হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধের জন্য এখন টিকা পাওয়া যায়। মেয়েদের বয়স যখন ১০ থেকে ১২ বছর তখন তিনটি ডোজে ছয় মাসের মধ্যে এই টিকা দেওয়া হয়। এই টিকা মূলত বিয়ের পূর্বে অথবা যৌন সক্রিয় হওয়ার আগে দেওয়া উচিত। এছাড়াও নিম্নোক্ত পদক্ষেপগুলো গ্রহণের মাধ্যমে জরায়ু ক্যান্সার প্রতিরোধ করা সম্ভব। জরায়ু ক্যান্সার হলে করণীয় গুলো নিচে উল্লেখ করা হলো-

১. টিকা প্রদান করে অবিবাহিত মহিলাদের জরায়ু ক্যান্সার থেকে নিরাপদ রাখা।
২. কোন লক্ষণ চোখে পড়লেই যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করা।
৩. জরায়ু ক্যান্সার সম্পর্কে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি করা।
৪. নারীদের সাহস জোগাতে এক্ষেত্রে পুরুষদেরও অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।
৫. ১৮ থেকে ৬০ বছর পর্যন্ত নারীদের বছরে একবার করে পরীক্ষা করা উচতি। তবে পর পর দুইবার রিপোর্ট নেগেটিভ হলে ৩ অথবা ৫ বছর পরপর পুনরায় পরীক্ষা করাবেন। ঝুঁকিপূর্ণ নারীরা ৩ বছর পর পর পরীক্ষা করাবেন।

জরায়ু ক্যান্সারের কারণ

যদিও কোন কারণ জানা নেই, বেশ কিছু ঝুঁকির কারণ আপনার জরায়ু ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দিতে পারে। ক্যান্সার সাধারণত ডিএনএ কোষের কাঠামোর মিউটেশনের সাথে ঘটে যা ঘুরে কোষের বৃদ্ধি চক্রকে প্রভাবিত করে। জরায়ু ক্যান্সারের ক্ষেত্রে, জরায়ুর ভিতরের কোষগুলি অনিয়ন্ত্রিতভাবে পুনরুত্পাদন করতে শুরু করে


টিস্যুগুলির গলদ তৈরি করে যা শরীরের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়তে পারে বা মেটাস্ট্যাসাইজ করতে পারে। উপরে ইতিমধ্যে আমরা জরায়ু ক্যান্সারের লক্ষণ - জরায়ু ক্যান্সার হলে করনীয় সম্পর্কে জানতে পেরেছি। এখন আমরা জানব জরায়ু ক্যান্সারের কারণগুলো। নিচে জরায়ুর ক্যান্সারের কারণ গুলো উল্লেখ করে দেয়া হলো-
জরায়ু-ক্যান্সারের-কারণ
  • জরায়ুর ক্যানসারের জন্য মূলত হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস দায়ী। এই ভাইরাস সহবাসের মাধ্যমে ছড়ায়। অল্প বয়সে বিয়ে হলে এবং পাঁচ বছরের বেশি সময়কাল ধরে জন্মনিয়ন্ত্রণের বড়ি খেলে জরায়ুর ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে।
  • রোগটি দেখা যায় ৩৫ বছর ও ৫০-৫৫ বছর বয়সে। ২০ বছরের নিচের বয়সী কোনো নারী গর্ভধারণ করলেও হতে পারে।
  • বহুগামিতা এ রোগের অন্যতম একটি কারণ।
  • যৌনাঙ্গ অপরিচ্ছন্ন রাখলে জরায়ু ক্যানসার হতে পারে।
  • আশা করি জরায়ুর ক্যান্সারের কারণগুলো জানতে পেরেছেন।

জরায়ু মুখের ক্যান্সারের টিকার দাম

প্যাপিলোভ্যাক্স ভ্যাকসিন জরায়ুমুখ ক্যান্সার থেকে সুরক্ষা দেয়, এটি জরায়ুমুখ ক্যান্সারের জন্য দায়ী এইচপিভি ভাইরাসকে প্রতিরোধ করে। বাংলাদেশে ক্যান্সারে নারী মৃত্যুর মধ্যে জরায়ুমুখ ক্যান্সার ২য় প্রধান কারণ। এই ক্যান্সারে মৃত্যুর প্রধান কারণ অসচেতনতা এবং অনেক বছরের অবহেলা। ইনসেপ্টা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়,

প্রতি বছর দেশে ১০ হাজারের বেশি নারী জরায়ুমুখ ক্যান্সারে মারা যায় এবং ৫ কোটিরও বেশি নারী এর ঝুঁকিতে রয়েছে। ৯ থেকে ৪৫ বছর পর্যন্ত সব সুস্থ নারীকে এই ভ্যাকসিন দেওয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশ জরায়ুমুখের ক্যান্সার নির্মূলের পথ অনেকটা এগিয়ে যাবে। প্যাপিলোভ্যাক্স আধুনিক প্রি-ফিলড সিরিঞ্জও বাজারজাত হচ্ছে। 

এখানে উল্লেখ্য, প্রি-ফিলড সিরিঞ্জে সম্পূর্ণ ডোজ এসেপ্টিক পরিবেশে তৈরি করা হয় এবং সম্পূর্ণ স্টেরাইল প্যাকেজিংয়ে নিয়ন্ত্রিত তাপমাত্রায় বাজারে দেওয়া হয়। প্রি-ফিলড সিরিঞ্জে ভ্যাকসিন সরাসরি প্রয়োগ করা সহজ এবং আলাদা করে মাত্রা পরিমাপের প্রয়োজন নেই। ফলে আরও নিরাপদে ও সহজে সঠিকমাত্রার ডোজে ভ্যাকসিন দেওয়া যাবে। 

ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালসের সিনিয়র ব্র্যান্ড ম্যানেজার হুমায়রা ফাতেমা জানান, ৯-৪৫ বছরের যে কোনো নারী প্যাপিলোভ্যাক্সের তিন ডোজ টিকা নিতে পারবে। সেক্ষেত্রে প্রথম ডোজ নেওয়ার এক মাস পর দ্বিতীয় ডোজ এবং ৬ মাসের মধ্যে তৃতীয় ডোজ নিতে হবে। বাংলাদেশের বাজারের প্রতি ডোজের মূল্য ২৫০০ টাকা।

জরায়ু ক্যান্সার হলে কতদিন বাঁচে

ক্যান্সার হলে মানুষ কতদিন বাঁচবে তার কোন নিশ্চয়তা দেওয়া যায় না। একেকজনের ক্যান্সারের প্রকোপ একেক রকম। ক্যান্সার খোব মারাত্মক রোগ, ক্যান্সার আক্রান্ত বেশিরভাগ মানুষই মারা যায়। আবার কিছু কিছু ক্যান্সার আছে, যেগুলোর কারণে মানুষ মারা যায় না। ক্যান্সার প্রথমে ধরা পরতে যদি চিকিৎসা নেওয়া যায় তাহলে এটি ভালো হয়ে যায়।
জরায়ু-ক্যান্সার-হলে-কতদিন-বাঁচে
ক্যান্সার হলে মানুষ মারা যায় বলে, যাদের ক্যান্সার হয়েছে তাদের আত্মীয়-স্বজন থেকে শুরু করে সবাই চিন্তিত হয়ে পড়ে। সবচেয়ে খুশির খবর হলো বর্তমানে ক্যান্সার রোগের অনেক উন্নত ওষুধ পাওয়া গেছে এবং চিকিৎসা রয়েছে। ক্যান্সার হলে মানুষ কতদিন বাঁচে তাহলে আপনাকে উত্তর হিসেবে বলতে পারি

আপনাকে যদি মুসলিম হয়ে থাকেন তাহলে হায়াত মউত বলে আপনি সে বিষয়টাকে বিশ্বাস করবেন। ক্যান্সার হলে মানুষ কতদিন বাঁচে, সেটা ডাক্তাররা পর্যন্ত বলতে পারেনা। পরিশেষে এটাই বলতে পারি ক্যান্সার হলে মানুষ কতদিন বাঁচে তা বলে কখনো সম্ভব না।

জরায়ুর টিকা কোথায় পাওয়া যায়

স্বাস্থ্য অধিদফতর জানিয়েছে, প্রাণঘাতী জরায়ুমুখ ক্যানসার প্রতিরোধী এইচপিভি টিকা অত্যন্ত কার্যকর ও নিরাপদ। প্রথম পর্যায়ে ঢাকা বিভাগের সব জেলা, উপজেলা, সিটি করপোরেশন এবং পৌরসভায় অবস্থিত সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি বা সমমানের কিশোরী শিক্ষার্থীদের স্ব-স্ব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বহির্ভূত

১০ থেকে ১৪ বছর বয়সী কিশোরীদের বিদ্যমান ইপিআই’র স্থায়ী ও অস্থায়ী টিকাদান কেন্দ্রে এক ডোজ করে মোট ২৩ লাখ ভোজ এইচপিডি টিকা দেওয়া হবে। প্রথম পর্যায়ে ঢাকায়, দ্বিতীয় পর্যায়ে চট্টগ্রাম ও বরিশালে দেওয়া হবে এই টিকা। 

এরপর দেওয়া হবে সারা দেশে। স্বাস্থ্য অধিদফতর আরও জানায়, আগামী নভেম্বর মাসে আরও ২০ লাখ ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে। ২০২৪ সালে আরও পাওয়া যাবে ৪২ লাখ ভ্যাকসিন। সর্বমোট এক কোটি শিক্ষার্থীকে এই টিকা দেওয়া হবে।

জরায়ু ক্যান্সারের ভ্যাকসিনের নাম

প্যাপিলোভ্যাক্স ভ্যাকসিন জরায়ুমুখ ক্যান্সার থেকে সুরক্ষা দেয়, এটি জরায়ুমুখ ক্যান্সারের জন্য দায়ী এইচপিভি ভাইরাসকে প্রতিরোধ করে। বাংলাদেশে ক্যান্সারে নারী মৃত্যুর মধ্যে জরায়ুমুখ ক্যান্সার ২য় প্রধান কারণ। এই ক্যান্সারে মৃত্যুর প্রধান কারণ অসচেতনতা এবং অনেক বছরের অবহেলা। প্রতি বছর দেশে ১০ হাজারের বেশি নারী জরায়ুমুখ ক্যান্সারে মারা যায়


এবং ৫ কোটিরও বেশি নারী এর ঝুঁকিতে আছে। ৯ থেকে ৪৫ বছর পর্যন্ত সকল সুস্থ নারীকে এই ভ্যাকসিন দেয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশ জরায়ুমুখের ক্যান্সার নির্মূলের পথ অনেকটা এগিয়ে যাবে। প্যাপিলোভ্যাক্স আধুনিক প্রি-ফিলড সিরিঞ্জও বাজারজাত হচ্ছে। এখানে উল্লেখ্য যে, প্রি-ফিলড সিরিঞ্জে সম্পূর্ণ ডোজ এসেপ্টিক পরিবেশে তৈরি করা হয়

এবং সম্পূর্ণ স্টেরাইল প্যাকেজিংয়ে নিয়ন্ত্রিত তাপমাত্রায় বাজারে দেয়া হয়। প্রি-ফিলড সিরিঞ্জে ভ্যাকসিন সরাসরি প্রয়োগ করা সহজ এবং আলাদা করে মাত্রা পরিমাপের প্রয়োজন নেই। ফলে আরো নিরাপদে ও সহজে সঠিকমাত্রার ডোজে ভ্যাকসিন দেয়া যাবে।

আমাদের শেষ কথা

প্রিয় পাঠক আজকের এই আর্টিকেলে জরায়ু ক্যান্সারের লক্ষণ - জরায়ু ক্যান্সার হলে করনীয় সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করেছি। প্রতিটি জরায়ু ক্যানসারের মৃত্যু দুর্ভাগ্যজনক। তাই প্রতিরোধ ও প্রতিকারই একমাত্র জরায়ু ক্যানসার নির্মূল করার প্রধান উপায়। আপনার মা, বোন, স্ত্রী, বান্ধবী এদের ব্যাপারে আপনি যদি সচেতন হোন তাহলে, আজই আপনার লজ্জা ভেংঙ্গে দ্রুত তাদের এই মরন ব্যাধি জরায়ুমুখী ক্যান্সারের হাত থেকে রক্ষা করার ব্যবস্থা গ্রহণ করুন ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

Umme Haney'র নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url