হেপাটাইটিস বি পজিটিভ হলে করনীয় জেনে নিন

সারা বিশ্বের সর্বাধিক ব্যক্তি যকৃতের যে গুরুতর সংক্রমণ দ্বারা আক্রান্ত হন তা হল হেপাটাইটিস বি।আজকের এই আর্টিকেলে হেপাটাইটিস বি পজিটিভ হলে করনীয় সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করব। অনেকেই হেপাটাইটিস বি পজিটিভ হলে করনীয় কি এই সম্পর্কে জানেন না তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেলটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
হেপাটাইটিস বি পজিটিভ হলে করনীয়
আজকের এই লেখায় হেপাটাইটিস বি সম্পর্কিত বিস্তারিত জানানোর চেষ্টা করেছি আশা করি উপকৃত হবেন তাই শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়বেন।

হেপাটাইটিস বি পজিটিভ হলে করনীয়

যকৃত বা লিভার সম্পর্কিত অসুখই চিকিৎসা শাস্ত্রে ‘হেপাটাইটিস বি’নামে পরিচিত। হেপাটাইটিস বি ভাইরাসকে নীরব ঘাতক বলা হয়। বাংলাদেশেও এর প্রাদুর্ভাব বেশ লক্ষণীয়। এ রোগ হেপাটাইটিস বি ভাইরাসের মাধ্যমে ঘটে। এই ভাইরাস এমন বিপজ্জনক যে প্রধানত তা লিভারকে আক্রমণ করে। হেপাটাইটিস বি এমন এক রোগ, যা লিভারের প্রদাহ ঘটায় এবং লিভার ক্যানসার সৃষ্টি করে। হেপাটাইটিস বি পজিটিভ হলে করণীয় নিচে উল্লেখ করে দেওয়া হবে-
  • যৌন মিলনের সময় কনডম ব্যবহার করুন।
  • সালাদ, ফলমূল বেশি খাবেন। তেল-চর্বি যুক্ত খাবার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
  • মাটন খাবেন না। লবণ খাদ্যতালিকা থেকে বাদ রাখুন।
  • প্রতিদিন অন্তত ৪০ মিনিট হাঁটবেন।
  • ব্যায়ামের অভ্যাস করবেন।
  • দিনে একবেলার বেশি ভাত খাবেন না, দুই বেলা রুটি খাবেন। ধূমপান, মদ্যপান নিষিদ্ধ।
  • HBsAG পরীক্ষা করুন এবং যথাসম্ভব দ্রুত হেপাটাইটিস বি এর প্রতিষেধক নিন। এতে অনেক দ্রুত রোগটিকে আটকানো যায়।
  • সব কাজ শেষে হাত ধুয়ে নিন। কিছু খাওয়ার আগে আবার সব সময় ভালোভাবে হাত ধুয়ে নিন।
  • এ রোগ থেকে বাঁচতে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকার বিকল্প নেই। আশা করি হেপাটাইটিস বি পজিটিভ হলে করণীয় কি সেই সম্পর্কে জানতে পেরেছেন

হেপাটাইটিস এ এর লক্ষণ

এ রোগে আক্রান্ত হলে সংক্রমিত ব্যক্তির শরীরে তাৎক্ষণিক কোনো উপসর্গ দেখা দেয় না। সংক্রমিত হওয়ার অন্তত ২-৬ সপ্তাহ পর শরীরে দেখা দিতে পারে কয়েকটি লক্ষণ-
  • জন্ডিসের লক্ষণ প্রকাশ অর্থাৎ চোখের সাদা অংশ এবং পুরো শরীর হলুদ হয়
  • কখনো কখনো পেটের ডান পাশের ওপরের দিকে ব্যথা হয় এবং দুর্বলতা বা ক্লান্তিবোধ হয়
  • ফ্লু-এর মতো জ্বর বা জ্বর জ্বর ভাব হয়
  • বমি বা বমি ভাব কিংবা ক্ষুধামন্দা হতে পারে
  • শরীর ও পেশিতে ব্যথা হয়
  • শরীরের ত্বকের উজ্জ্বলতা নষ্ট হয়ে যায়
সবার শরীরেই যে একই রকম লক্ষণগুলো দেখা দেবে তা কিন্তু নয়। প্রতিটি লক্ষণ না দেখা দিলেও আপনি হেপাটাইটিসে আক্রান্ত হতে পরেন। এ ধরনের উপসর্গ ৬ মাস ধরেও থাকতে পারে।

হেপাটাইটিস বি হলে কি কি খাওয়া নিষেধ

হেপাটাইটিস বি হলে কি কি খাওয়া নিষেধ? আমরা অনেকেই এই বিষয়গুলো সম্পর্কে অজানা। হেপাটাইটিস বি হল মারাত্মক একটি রোগ তবে এই রোগ হলে বেশ কিছু খাবার নিষিদ্ধ। তাই হেপাটাইটিস বি হলে কি কি খাওয়া নিষেধ এই বিষয়গুলো জেনে রাখতে হবে। খাবারের ব্যাপারে বাছবিচার করাটা খুবই জরুরী।
হেপাটাইটিস বি হলে কি কি খাওয়া নিষেধ
হেপাটাইটিসের সময় নির্দিষ্ট কিছু খাবার এড়িয়ে চলাও সমান গুরুত্বপূর্ণ। লিভারের ক্ষতি করতে পারে এমন খাবার অত্যাধিক পরিমাণে গ্রহণ করা রোগকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে এবং এমনকি তা লিভারের স্থায়ী ক্ষতির কারণও হতে পারে।প্রক্রিয়াজাত খাদ্য আইটেমগুলির মধ্যে রয়েছে এমন কিছু উপাদান যা হজম করা শক্ত এবং তুলনামূলকভাবে পুষ্টিহীন।


প্রক্রিয়াজাত পাউরুটি, পনির এবং প্রায় সব ফাস্ট ফুড আইটেমগুলিও এড়িয়ে যাওয়া উচিত, কারণ এগুলো লিভারের আরো ক্ষতি সাধন করতে পারে এবং যকৃতের পুনরুদ্ধারে বাধা সৃষ্টি করে নিরাময় লাভের সময়কে দীর্ঘায়িত করে। খাদ্য তালিকা থেকে হাইড্রোজেনেটেড তেল অবশ্যই বাদ দিতে হবে।প্রকৃতপক্ষে আজীবন সুস্থ লিভারের জন্য স্বাস্থ্যকর তেলে স্যুইচ করা উচিত।

স্যাচুরেটেড ফ্যাট বা ট্রান্স-ফ্যাট সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। একটি সুস্থ লিভারের জন্য চিনি গ্রহণ সীমিত করা আবশ্যক। বিভিন্ন রেডিমেড জুসগুলিতে চিনির উচ্চ ঘনত্ব থাকে, যা শরীরে হেপাটাইটিস ভাইরাসের আক্রমণে লিভারের পক্ষে হজম করা কঠিন হতে পারে। কোল্ড ড্রিংস একদম না খাওয়াই উচিত। মদ্যপান এবং ধূমপান পুরোপুরি বন্ধ করতে হবে।

হেপাটাইটিস বি কি ছোঁয়াচে রোগ

হ্যাঁ, হেপাটাইটিস বি সাধারণত একটি ছোঁয়াচে রোগ। হেপাটাইটিস বি ভাইরাস একজন থেকে অন্যজনের দেহেতে প্রবাহিত হয়ে থাকে। এই ভাইরাস মূলত একজন হতে অন্যজনে দুইভাবে সংক্রমিত হতে পারে। যেমন- হেপাটাইটিস বি আক্রান্ত ব্যক্তি হতে রক্ত গ্রহণ করলে বা রক্ত দেওয়ার মাধ্যমে। হেপাটাইটিস বি ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির সাথে যৌন মিলনে যুক্ত হলে। 

এছাড়াও যদি গর্ভবতী মহিলা এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে থাকে তাহলে তার নবজাতক সন্তানের মধ্যেও এই ভাইরাসে সংক্রামিত হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। তাই বলা যায়, হেপাটাইটিস বি একটি ছোঁয়াচে রোগ। যা একজনের দেহ থেকে অন্যজনের দেহে খুব সহজেই প্রবাহিত হতে পারে। তাই যেসব ব্যক্তি হেপাটাইটিস বি ভাইরাসে আক্রান্ত হয় তাদেরকে সতর্কতার সাথে চিকিৎসা করানো উচিত।

হেপাটাইটিস বি হলে কি খাওয়া উচিত

হেপাটাইটিস বি ভাইরাসে আক্রান্ত হলে স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস অনুসরণ করা জরুরি। কারণ অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের ফলে লিভারের সমস্যা তৈরি হতে পারে। আসুন জেনে নেই হেপাটাইটিস বি হলে কি খাওয়া উচিত-

ফলমূল: হেপাটাইটিস বি আক্রান্তদের প্রচুর পরিমাণে ফলমূল খাওয়া উচিত। আপেল, কমলা, আঙ্গুর এবং কলা নিয়মিত খাওয়া উচিত তাদের। আপেল খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে এবং ঠাণ্ডা-সর্দি থেকে রেহাই পাওয়া যায়। 


কমলাতে থাকা ভিটামিন সি ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করে দ্রুত আরোগ্য লাভে সহায়ক। কলার রয়েছে উচ্চ তাপন মূল্য। আঙ্গুরে রয়েছে ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ফসফরাস, আয়রন, প্রোটিন এবং ভিটামিন বি১, বি২, বি৬, সি এবং পি আছে যা লিভারের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।

চর্বিহীন মাংস: লিভার সুস্থ রাখার জন্য চর্বিহীন মাংস খেতে হবে। লাল মাংস না খেয়ে মুরগির মাংস খাওয়াই ভালো।

সবজি: সবজি হজম করা সহজ। এ ছাড়া সবজিতে রয়েছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট যা লিভারের কোষগুলো নষ্ট হওয়া থেকে রক্ষা করে। শাক-লতা-পাতা, গাজর, মাশরুম এবং প্রাকৃতিক ছত্রাক খেলে সবচেয়ে বেশি উপকারিতা পাওয়া যাবে। সেলারি শাক, টমেটো, সামুদ্রিক শৈবাল এবং বাঁধাকপি এড়িয়ে চলাই ভালো। আর আলুও কম করে খেতে হবে।

ডিম: ক্ষতিগ্রস্ত টিস্যু মেরামত এবং নতুন টিস্যু তৈরিতে প্রোটিন জরুরি। আর ডিম হলো সহজে হজমযোগ্য প্রোটিন উৎস। সুতরাং হেপাটাইটিস বি রোগীদের জন্য ডিম খাওয়াটা নিরাপদ।

অলিভ অয়েল: হেপাটাইটিস বি ভাইরাসে আক্রান্ত হলে ট্রান্স-ফ্যাটজাতীয় খাবার না খাওয়াই ভালো। কারণ এই জাতীয় খাবার উচ্চহারে সুসিক্ত। পাম অয়েলের মতো কিছু তেল এমন উচ্চহারে সুসিক্ত। এর সবচেয়ে ভালো বিকল্প হতে পারে অলিভ অয়েল। প্রতিদিন ২-৩ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল খাওয়া যেতে পারে।

হেপাটাইটিস বি কি ভাল হয়

ভাইরাস যদি প্রাথমিকভাবে সনাক্ত করা যায়, তাহলে এটি ভালো হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কিন্তু যদি সংক্রমণ হওয়ার পরে সনাক্ত করা হয়, সেক্ষেত্রে পুরোপুরি নির্ভুল না করতে পারলেও চিকিৎসার মাধ্যমে এটি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
হেপাটাইটিস বি কি ভাল হয়
হেপাটাইটিস ভাইরাস এর মধ্যে সবথেকে বেশি মারাত্মজনক হলো বি। হেপাটাইটিস এ ও হেপাটাইটিস ই ভাইরাস সহজে ভালো হয়ে যায়। কিন্তু হেপাটাইটিস বি ভাইরাসের ক্ষেত্রে বিষয়টা একটু গুরুতর। তবে বেশি চিন্তা করার কোনো কারণ নেই, বর্তমান চিকিৎসা ব্যবস্থাই হেপাটাইটিস বি ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে রাখার অনেক পদ্ধতি রয়েছে।

হেপাটাইটিস বি ভ্যাকসিন দাম কত

বাংলাদেশে, হেপাটাইটিস বি ভ্যাকসিনটি সরকারের সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির (ইপিআই) মাধ্যমে পাওয়া যায় এবং 10 বছর বয়স পর্যন্ত শিশুদের বিনামূল্যে প্রদান করা হয়। ইপিআই 6, 10 এবং 14 সপ্তাহ বয়সে ভ্যাকসিনের তিনটি ডোজ সিরিজ সরবরাহ করে। হেপাটাইটিস বি ভ্যাকসিন দাম সম্পর্কে আমাদের জানা উচিত।

 
প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য যাদের ভ্যাকসিন প্রয়োজন, এটি সরকারি হাসপাতাল এবং ক্লিনিকের পাশাপাশি বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা সুবিধাগুলিতে পাওয়া যেতে পারে। ভ্যাকসিনের দাম স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী এবং অবস্থানের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হতে পারে।

যাইহোক, সাধারণভাবে, বাংলাদেশে হেপাটাইটিস বি ভ্যাকসিনের একক ডোজ খরচ 300 টাকা থেকে 500 টাকা (প্রায় USD 3.50 থেকে USD 6)। তাই তিনটি ডোজ সম্পূর্ণ কোর্সের জন্য খরচ হবে 900 টাকা থেকে 1500 টাকা (প্রায় USD 10.50 থেকে USD 18)।

হেপাটাইটিস বি এর চিকিৎসা খরচ বাংলাদেশ

হেপাটাইটিস ‘বি’ এর শতভাগ সফল চিকিৎসা এখনো আবিষ্কৃত হয়নি, অনেক ক্ষেত্রে নতুন উদ্ভাবিত ঔষধ গুলো ভাল ফল দিছে বলে গবেষকরা দাবি করলেও আপাত কোনও বিশ্বস্ত ঔষধ বাজারে আসেনি। হেপাটাইটিস ‘বি’ আক্রান্তের চিকিৎসা শুরু করবার আগে যেটা নিশ্চিত হতে হয় তা হল ভাইরাসের DNA (পরিমাণ ও ধরন) পরীক্ষা। 

DNA পরীক্ষা যদি পজিটিভ হয় তবে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নিশ্চিত হয়ে নেন আক্রান্ত রোগীর Portal Hypertension অথবা অন্য কোন জটিলতা আছে কিনা। তার ফাইব্রোসিস পরিবর্তন বা সিরোসিস হয়েছে কিনা, এসোফেগাল ভ্যারিক্স (গলবিলের নিচের অংশে এক ধরনের রক্ত-বাহিত শিরা)এ কোনো পরিবর্তন এসেছে কিনা। 

সাধারণত লিভার এর পরিবর্তনের (সিরোসিস) সাথে সাথে এসোফেগাল ভেরিক্স গুলো বদলে যায়। রক্তের ক্রমাগত চাপে এই ভ্যারিক্স গুলো ছিঁড়ে গিয়ে রোগীর নাক-মুখ দিয়ে রক্তপাত ঘটতে পারে, এবং রোগীর মৃত্যু হতে পারে। উন্নত বিশ্বে ভ্যারিক্স চিকিৎসায় এক ধরনের কৃত্রিম রক্তনালী (Steosis) তৈরি করে লিভারের অকার্যকর অংশ থেকে রক্তনালী সরাসরি ভ্যারিক্স এ প্রবাহিত করা হয়। 

বিকল্প হিসেবে আমাদের দেশে EVL বা এসোফেগাল ভ্যারিক্স লাইগেশন পদ্ধতি চালু আছে। তুলনামূলক ভাবে যার খরচ অত্যন্ত কম। মাত্র ১০/১২ হাজার টাকায় ৩/৪ টি ভ্যারিক্স লাইগেশন করা সম্ভব। এরপর বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক রোগীর ডায়াবেটিক বা অন্য কোনো স্বাস্থ্য সমস্যা জেনে নিয়ে রোগীর জন্য থেরাপি নির্ধারণ করবেন।

লেখকের মন্তব্যঃ হেপাটাইটিস বি পজিটিভ হলে করনীয়

প্রিয় পাঠক আজকের এই আর্টিকেলে হেপাটাইটিস বি পজিটিভ হলে করনীয় এই সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করেছি। আশা করি আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি অনেক উপকৃত হয়েছেন। এরকম আরো নতুন নতুন আর্টিকেল পেতে আমার ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করতে থাকুন। কারণ আমরা নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইটে এই ধরনের স্বাস্থ্য মূলক আর্টিকেল প্রকাশ করে থাকি।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

Umme Haney'র নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url