থাইরয়েড কি খেলে ভালো হয় বিস্তারিত জানুন
বর্তমানে থাইরয়েড একটি গুরুতর সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। থাইরয়েডের সমস্যা বা
থাইরয়েড গ্রন্থির হরমোন নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে আপনার খাদ্যতালিকায় কিছু খাবার
অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। আজকের এই আর্টিকেলে থাইরয়েড কি খেলে ভালো হয় এই সম্পর্কে
বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব।
আজকের এই লেখায় থাইরয়েড সম্পর্কিত বিস্তারিত জানানোর চেষ্টা করেছি আশা করি
উপকৃত হবেন তাই শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়বেন।
থাইরয়েড কি খেলে ভালো হয়
বর্তমানে থাইরয়েড একটি গুরুতর সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে পুরুষের তুলনায় নারীদের
এ সমস্যা বেশি হয়। এই হরমোনের ঘাটতি বা আধিক্যের কারণে ব্যাপক শারীরবৃত্তীয়
পরিবর্তন ঘটে। থাইরয়েড রোগীদের সুস্থতার জন্য ওষুধের পাশাপাশি সঠিক খাদ্যভ্যাস
অনেক জরুরি।
আরো পড়ুনঃ হেপাটাইটিস বি পজিটিভ হলে করনীয় জেনে নিন
এমন অনেক খাবার আছে যা মানবদেহের জন্য
ভালো
হলেও থাইরয়েডের রোগীদের জন্য তা ক্ষতি ডেকে আনতে পারে। তাই থাইরয়েড ব্যবস্থাপনায়
দৈনন্দিন খাবারের নিয়ে সতর্ক থাকতে হবে। আসুন জেনে নেই থাইরয়েড কি খেলে ভালো
হয়-
আয়োডিনযুক্ত লবণঃ আয়োডিন আমাদের শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
আয়োডিনের অভাব হলে শারীরিক বৃদ্ধি বা গঠনে বড় ধরনের প্রভাব পড়ে। শরীরের বৃদ্ধি আর
খাবার হজমে প্রধান ভূমিকা রাখে থাইরয়েড হরমোন আর সেই হরমোনের গুরুত্বপূর্ণ
অনুষঙ্গ আয়োডিন। তাই আয়োডিনযুক্ত লবণ খাওয়া খুব জরুরি।
দুধঃ আয়োডিনের অন্যতম উৎস হলো দুধ। বিশেষজ্ঞদের মতে, দৈনিক এক কাপ
দুধ আমাদের শরীরে ১/৩ আয়োডিনের চাহিদা মেটাতে সক্ষম। এ ছাড়া দুধে রয়েছে ভিটামিন
‘ডি’, যা হাড় গঠনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব হেলথ সায়েন্সের
তথ্য মতে, যাদের মধ্যে ভিটামিন ‘ডি’র ঘাটতি রয়েছে তাদের থাইরয়েডের প্রবণতা বেশি।
ভেজানো কাজুঃ রোজ রাতে নিয়ম করে কয়েকটি কাজু খান। এগুলি আগে থেকে
ভিজিয়ে রাখলে ভালো হয়। কাজুতে সেলেনিয়াম নামের উপাদান থাকে। এটি থাইরয়েডের
স্বাস্থ্য ভালো রাখে
নারকেল তেলঃ খাঁটি নারকেল তেলের মধ্যে রয়েছে ফ্যাটি এসিড। ফ্যাটি
এসিড হরমোনের ঘাটতি পূরনে সাহায্য করে। তাই থাইরয়েডে সমস্যা থাকলে রান্নায় নারকেল
তেল ব্যবহার করা উচিত। থাইরয়েড রোগীদের অনেক সময় ক্যালসিয়ামের ঘাটতি দেখা দেয়
সেক্ষেত্রে নারকেল তেল খুব উপকারী।
নারকেল তেল হাড়ের ক্ষমতা বাড়ায় এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা ঠিক রাখে। হরমোন ভারসাম্য
হারালে হজমে সমস্যা দেখা দিতে পারে নারকেল তেল হজমের সমস্যা সারিয়ে তুলতে সহায়তা
করে। থাইরয়েড রোগীদের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য নারকেল তেল খাওয়া উচিত কেননা এতে
দেহের অতিরিক্ত অ্যাবডোমিনাল ফ্যাট কমে যায়।
চিয়া বীজঃ ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিডে সমৃদ্ধ চিয়া বীজ থাইরয়েডের মাত্রা
নিয়ন্ত্রণ করতে কাজ করে। এই বীজের রয়েছে অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা।
ডায়াবেটিসের
মাত্রা নিয়ন্ত্রণ থেকে শুরু করে ওজন কমানো সবকিছুতেই চিয়া বীজ দারুণ কার্যকরী।
থাইরয়েড নিয়ে ভুগে থাকলে আপনিও খেতে পারেন উপকারী এই বীজ।
সেলেনিয়ামঃ থাইরয়েড ফাংশনে লিভারের সহায়ক হিসেবে কাজ করে সেলেনিয়াম।
এর ভালো উৎস হলো ব্রাজিল নাটস। এ ছাড়া লাল চাল, চিংড়ি, টুনাফিস, সরিষা, ইলিশ মাছ,
শসা ইত্যাদি সেলেনিয়ামের ভালো উৎস।
ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডিঃ ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ‘ডি’র অভাবে রক্ত
শরীর থেকে চামড়ায় যেতে বিঘ্ন ঘটে। ফলে হাত পায়ে প্রচুর ব্যথা হয়। তাই থাইরয়েড
হরমোনে ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ‘ডি’-এর ভূমিকা অপরিহার্য।
ভিটামিন ‘ডি’ পেতে হলে নিয়মিত সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টার মধ্যে কমপক্ষে আধাঘণ্টা
রোদে থাকতে হবে। যাদের রোদে যাওয়ার সুযোগ নেই, তারা তৈলাক্ত মাছ, গরুর কলিজা,
ডিম, পনির, তিল, সবুজ শাকসবজি পালংশাক, কমলালেবু থেকে পেতে পারেন।
আদাঃ থাইরয়েডের সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পেতে আদায় উপস্থিত বৈশিষ্ট্য
যেমন পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ইত্যাদি রয়েছে। আদার মধ্যে থাকা অ প্রদাহজনক
বৈশিষ্ট্য থাইরয়েডকে ক্রমবর্ধমান হওয়া থেকে বাধা দেয় এবং তার কার্যকারিতা উন্নত
করে।
ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড সমৃদ্ধ খাবারঃ থাইরয়েড রোগীদের জন্য ওমেগা ৩
ফ্যাটি অ্যাসিড খুবই প্রয়োজন। এতে প্রদাহ কমে। তাই খেতে পারেন স্যামন মাছ। এই
মাছে থাকা ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাইরয়েড রোগীদের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়।
চাইলে খেতে পারেন যে কোনও সামুদ্রিক মাছ। তাছাড়া সূর্যমুখীর বীজেও এটি বিদ্যমান।
কুমড়োর বীজঃ জিঙ্কে সমৃদ্ধ কুমড়োর বীজ থাইরয়েডের অন্যতম ওষুধ।
থাইরক্সিন হরমোন ক্ষরণে রাশ টানে এই বীজ। এ ছাড়াও এই বীজে রয়েছে ট্রিপটোফ্যান,
অ্যামাইনো অ্যাসিড, যেগুলি থাইরয়েডের সঙ্গে লড়াই করার অন্যতম হাতিয়ার হতে পারে।
থাইরয়েড নরমাল কত
থাইরয়েড নরমাল পয়েন্ট কত তা অনেকেই জানেন না। যারা থাইরয়েড এর রোগী তারাও জানেন
না যে, থাইরয়েড এর কত পয়েন্ট হলে তা নরমাল হিসেবে চিহ্নিত করা হয়ে থাকে। নারী ও
পুরুষদের শরীরে থাইরয়েডের পরিমাণ আলাদা আলাদা হয়। আবার শিশু ও বয়স্কদের ক্ষেত্রেও
আলাদা আলাদা। কোন বয়সে কাদের কতটা থাইরয়েড স্টিমুলেটিং হরমোন থাকে চলুন জেনে
নেওয়া যাক।
মহিলাদের থাইরয়েড হরমোনের স্বাভাবিক মাত্রা হলো--
১৮-২৯ বছর বয়সীদের ০.৪-২.৩৪ এমইউ প্রতি লিটার। ৩০-৪৯ বছর বয়সী নারীদের থাইরয়েড
মাত্রা হওয়া উচিত ০.৪-৪.০ এমইউ প্রতি লিটার ও ৫০ - ৭৯ বছর বয়সীদের ০.৪-৪.৬৮ এমইউ
প্রতি লিটার।
আর পুরুষদের থাইরয়েড হরমোনের স্বাভাবিক মাত্রা হলো--
১৮-৫০ বছর বয়সীদের ক্ষেত্রে ০.৫-৪.১ এমইউ প্রতি লিটার। ৫১-৭০ বছর বয়সীদের ০.৫-৪.৫
এমইউ প্রতি লিটার ও ৭১-৯০ বছর বয়সীদের ০.৪-৫.২ এমইউ প্রতি লিটার।
ছোটদের থাইরয়েড হরমোনের স্বাভাবিক মাত্রা--
০-৪ দিনের শিশুদের থাইরয়েড হরমোনের মাত্রা ১.৬-২৪.৩ এমইউ প্রতি লিটার। ২-২০
সপ্তাহ বয়সি বাচ্চাদের থাইরয়েড হরমোনের মাত্রা ০.৫৮-২৪.৩ ৫.৫৭ এমইউ প্রতি লিটার।
২০ সপ্তাহ থেকে ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত বাচ্চাদের থাইরয়েড হরমোনের মাত্রা ০.৫৫-৫.৩১
এমইউ প্রতি লিটার।
থাইরয়েড এর লক্ষণ
দেশের শতকরা ২০ ভাগ মানুষ থাইরয়েডের সমস্যায় ভুগছেন। থাইরয়েডের সমস্যা পুরুষের
তুলনায় নারীদের বেশি হয়। এই হরমোনের ঘাটতি বা আধিক্যের কারণে ব্যাপক শারীরবৃত্তীয়
পরিবর্তন ঘটে।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে, থাইরয়েড রোগের লক্ষণগুলিকে দুটি গ্রুপে ভাগ করা যেতে পারে –
যা খুব বেশি থাইরয়েড হরমোন (হাইপারথাইরয়েডিজম) এবং খুব কম থাইরয়েড হরমোন
(হাইপোথাইরয়েডিজম) থাকার সাথে সম্পর্কিত।
অত্যধিক সক্রিয় থাইরয়েড-এর (হাইপারথাইরয়েডিজম) লক্ষণগুলি হলো:
- উদ্বেগ, বিরক্তি এবং স্নায়ুদৌর্বল্য অনুভব করা।
- ঘুমাতে সমস্যা হওয়া।
- ওজন কমে যাওয়া।
- বৃদ্ধি পাওয়া থাইরয়েড গ্রন্থি অথবা গলগন্ড।
- পেশী দুর্বলতা এবং কম্পন থাকা।
- মহিলাদের ক্ষেত্রে অনিয়মিত মাসিকের অভিজ্ঞতা বা আপনার মাসিক চক্র বন্ধ হয়ে যাওয়া।
- তাপের প্রতি সংবেদনশীল বোধ করা।
- দৃষ্টি সমস্যা বা চোখের জ্বালা।
নিষ্ক্রিয় থাইরয়েড-এর (হাইপোথাইরয়েডিজম) লক্ষণগুলি হলো:
- ক্লান্ত বোধ (ক্লান্তি)।
- ওজন বেড়ে যাওয়া
- বিস্মৃতি অনুভব হওয়া।
- মহিলাদের ঘন ঘন এবং বেশী পরিমাণে মাসিক হওয়া।
- শুষ্ক ও মোটা চুল থাকা।
- কর্কশ কণ্ঠস্বর।
- ঠান্ডা তাপমাত্রায় অসহিষ্ণুতা অনুভব করা।
- আশা করি থাইরয়েডের লক্ষণগুলো জানতে পেরেছেন।
থাইরয়েড হলে কি বাচ্চা হয় না
পুরুষদের তুলনায় নারীদের মধ্যে এ রোগের আধিক্য বেশি দেখা যায়। পুরুষ ও নারীদের
প্রজননস্বাস্থ্যে থাইরয়েড হরমোনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। ক্ষেত্রবিশেষে
হরমোনটির তারতম্যের কারণে বন্ধ্যাত্ব পর্যন্ত হতে পারে। গর্ভকালীন মা ও গর্ভস্থ
শিশুর নানাবিধ জটিলতা দেখা দিতে পারে। যাদের থাইরয়েডের সমস্যা আছে, তারা একটা
উদ্বেগের মধ্যে থাকেন, তারা মা হতে পারবেন কিনা। অবশ্যই পারবেন, তবে তার জন্য চাই
সচেতনতা।
থাইরয়েড হলে কি খাওয়া উচিত না
থাইরয়েড হরমোন শরীরের প্রায় সকল কার্যক্রমে সহযোগিতা করে, যেমন- হার্ট রেট, লিভার
ফাংশন, সার্কুলেশন, মেটাবলিজম ও ইন্টারনাল ক্লক। থাইরয়েড হয় ভুল খাদ্যাভ্যাস
এবং জীবনযাত্রার কারণে। থাইরয়েডের সমস্যায় কিছু জিনিস খাওয়া উচিত নয়। আসুন
জেনে নেই থাইরয়েড হলে কি খাওয়া উচিত না-
ক্যাফেইনযুক্ত খাবার:
থাইরয়েড রোগী চা বা কফির মতো ক্যাফেইনযুক্ত খাবার থেকে বিরত থাকা উচিত। এটি
সাময়িকভাবে আমাদের ক্লান্তিদূর করলেও ক্যাফেইন শরীরের জন্য অনেক ক্ষতিকর।
ক্যাফেইন যুক্ত খাবার হজমে সমস্যা সৃষ্টি করে।
এলকোহল:
অ্যালকোহল সেবন থাইরয়েড হরমোন নিঃসরণকে ব্যাহত করে। অধিকন্তু, এটি থাইরয়েড
হরমোনের মাত্রার উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে এবং মানবদেহের সেগুলি ব্যবহার করার
ক্ষমতাকে বাধা দেয়।
প্যাকটজাত খাবার এড়িয়ে চলুন:
প্যাকটজাত খাবার খাওয়া কমাতে হবে। এসব খাবারে লবণ, চিনির ও তেলের পরিমাণ বেশি
থাকে। যা ওজন দ্রুত বাড়াতে পারে। তাই এ ধরনের খাবার এড়িয়ে চলুন। প্রসেস করার
খাবারও খাবেন না।
তেলে ভাজা খাবার খাবেন না:
তেলে ভাজা খাবারে থাকে প্রচুর পরিমাণে অসম্পৃক্ত চর্বি। এটি আপনার থাইরয়েড
সমস্যাকে অনেক বেশি জটিল করে তুলতে পারে। তাই থাইরয়েড রোগীদের অবশ্যই তৈলাক্ত ও
চর্বিযুক্ত খাবার থেকে দূরে থাকা উচিত।
মুলা:
মুলাতে এমন অনেক পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায়, যা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই
গুরুত্বপূর্ণ, তবে থাইরয়েড রোগীদের মুলা খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত। গবেষণায় দেখা
গেছে, মুলো থাইরয়েডের উপর থেকে নিয়ন্ত্রণ ব্যাহত করে।
চিনিযুক্ত খাবার:
চিনি ওজন বৃদ্ধির জন্য দায়ী, তাছাড়া মেটাবলিজমের জন্য শরীরে হরমোনের যে
সামাঞ্জস্য দরকার তাতে চিনি বাধা সৃষ্টি করে। তাই অতিরিক্ত চিনিযুক্ত খাবার এড়িয়ে
চলতে হবে।
মাংস এড়িয়ে চলুন:
লাইপিক এসিড বেশি থাকে এমন মাংস এড়িয়ে চলুন। কারণ, শরীরে লাইপিক এসিডের মাত্রা
বেড়ে গেলে তা থাইরয়েড গ্রন্থিকেও প্রভাবিত করে এবং সমস্যা আরো বাড়িয়ে দিতে পারে।
বাঁধাকপি-ফুলকপি:
কপির মতো যে কোনও খাবারে থাইরয়েডের ওষুধের কার্যকারিতা কমিয়ে দিতে পারে। অনেকেই
ওজন ঝরাতে ফুলকপি, ব্রকলি ও কেল পাতার মতো শাকসবজি রাখেন ডায়েটে। কিন্তু থাইরয়েড
থাকলে এগুলি এড়িয়ে চলাই শ্রেয়।
সয়াবিন:
সয়াবিন বা সয়াবিন জাত সব ধরনের খাবার বাদ দেওয়া উচিত। বেশ কিছু সমীক্ষায় দেখা
গেছে, সয়াবিনজাতীয় খাবার খেলে থাইরয়েডের
ওষুধ
ঠিক মতো কাজ না। তাই সয়াবিন, সয়ার দুধ, টফুর মতো খাবার মেপে খাওয়াই ভাল।
তাই চেষ্টা করুন, যেসব খাবারে থাইরয়েড সমস্যা বেড়ে যায় তা ডায়েট লিস্ট থেকে বাদ
দেয়ার। তাহলেই থাইরয়েড সমস্যা বশে রাখতে পারবেন।
থাইরয়েড কি ভালো হয়
থাইরয়েড রোগের চিকিৎসার প্রধান বিষয় হলো চিকিৎসা, অস্ত্রোপচার, হরমোন ও বিকিরণ।
যদি থাইরয়েড রোগে কেউ আক্রান্ত হয় তাহলে তাকে সারাজীবন ওষুধ খেতে হয়। তবে
থাইরয়েডের চিকিৎসার জন্য নির্ধারিত ওষধগুলোর মূল্য খুবই কম।
আরো পড়ুনঃ পাইলস থেকে চিরতরে মুক্তির উপায় জেনে নিন
নারীদের সন্তান নেওয়ার আগে ও গর্ভাবস্থায় উপসর্গ না থাকলেও থাইরয়েড পরীক্ষা করা
নিরাপদ। থাইরয়েডের লক্ষণ দেখলে সঙ্গে সঙ্গে ভালো কোনো চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ
করুন, তার নির্দেশতো পরীক্ষা করুন এবং নির্দেশনা অনুযায়ী জীবনযাপন করুন।
লেখকের মন্তব্য
সন্মানিত পাঠকবর্গ আজকের পোস্টে আপনারা নিশ্চয় জানতে পেরেছেন থাইরয়েড কি খেলে
ভালো হয় এ বিষয় নিয়ে। উপরের লেখনির মাধ্যমে চেষ্টা করেছি থাইরয়েড কি খেলে
ভালো হয় এই সম্পর্কে সবকিছু আপনাদের সামনে তুলে ধরার। আশা করি বিষয় টি ভালোভাবে
জানতে পেরেছেন। সম্পুর্ণ পোস্ট পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সেই সাথে
পোস্টটি যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না।
Umme Haney'র নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url