গর্ভাবস্থায় কাঁচা কলা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন

প্রিয় পাঠক আপনি কি গর্ভাবস্থায় কাঁচা কলা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চান তাহলে সঠিক জায়গায় এসেছেন। কারণ আজকের এই আর্টিকেলে গর্ভাবস্থায় কাঁচা কলা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব। আপনারা যদি না জেনে থাকেন তাহলে আজকের গর্ভাবস্থায় কাঁচা কলা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানান এই পোস্টের মাধ্যমে।
গর্ভাবস্থায় কাঁচা কলা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন

চলুন দেখি নেয়া যাক গর্ভাবস্থায় কাঁচা কলা খাওয়ার উপকারিতা, গর্ভাবস্থায় খেজুর খাওয়ার উপকারিতা, গর্ভাবস্থায় কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা, গর্ভাবস্থায় বাদাম খাওয়ার উপকারিতা, গর্ভাবস্থায় চিড়া খাওয়ার উপকারিতা, গর্ভাবস্থায় আপেল খাওয়ার উপকারিতা, গর্ভাবস্থায় পেয়ারা উপকারিতা, গর্ভাবস্থায় মুড়ি খেলে কি হয় এ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য।

গর্ভাবস্থায় কাঁচা কলা খাওয়ার উপকারিতা

গর্ভাবস্থায় কলা খাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে। একজন গর্ভবতী মায়ের খাদ্য তালিকায় সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে কলা। যে কারণে বিশেষজ্ঞরা গর্ভাবস্থায় কলা খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। গর্ভাবস্থায় কাঁচা কলা খাওয়া একজন মায়ের ও শিশুর জন্য অনেক উপকার। কাঁচা কলা অথবা পাকা কলা অনেক উপকার আছে বাচ্চা ও মায়ের জন্য। গর্ভাবস্থায় কাঁচা কলা খাওয়ার উপকারিতা নিচে উল্লেখ করা হলো-

মর্নিং সিকনেসে কমাতে সাহায্য করেঃ
কলা খেলে পেট ভাল থাকে এবং বমি বমি ভাব কমে যায়। অনেক গর্ভবতী মহিলারা বলেছেন যে সকালে একটি কলা খেলে তা তাঁদের মর্নিং সিকনেস কমাতে সাহায্য করেছে।

হাড়ের বিকাশে সহায়তা করেঃ
কলা যেহেতু ক্যালসিয়ামের একটি দুর্দান্ত উৎস যা শিশু এবং মা উভয়েরই হাড়ের বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয়। শরীরে পেশী সংকোচন নিয়ন্ত্রণের জন্য ক্যালসিয়াম খুবই প্রয়োজনীয়। তাই গর্ভাবস্থায় পরিমানমতো কলা খাওয়া উচিত।


রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করেঃ
কলায় প্রচুর পরিমাণে পটাসিয়াম থাকে, যা স্বাস্থ্যকর রক্তচাপের মাত্রা বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ। গর্ভাবস্থায় প্রায়ই রক্তচাপের ওঠানামা হয় যা নিয়মিত কলা খাওয়ার মাধ্যমে এড়ানো যায়। তাই এদিকে খেয়াল রাখুন। উপকারী ফল কলা এসময় আপনার খাবারের অংশ করে নিন।

হিমোগ্লোবিনের মাত্রা উন্নত করুনঃ
আয়রনের মাত্রা কম থাকা গর্ভবতী নারীদের জন্য একটি প্রধান সমস্যা। সেখানেই কলা কাজে আসে। কলায় প্রচুর আয়রন থাকায় তা শক্তির মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে। এটি খাদ্যে প্রাকৃতিক আয়রন সম্পূরক হিসেবে কাজ করে। তাই কলা খাবেন প্রতিদিন।

শিশুর স্নায়ুতন্ত্রের বিকাশে সহায়তা করেঃ
কলা জলে দ্রবণীয় ভিটামিন বি৬-এর সমৃদ্ধ উৎস, যা শিশুর কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের বিকাশের জন্য প্রয়োজনীয়। সুতরাং, গর্ভাবস্থার প্রথম ত্রৈমাসিকে নিয়মিত কলা খাওয়া শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশের জন্য উপকারী।

গর্ভাবস্থায় খেজুর খাওয়ার উপকারিতা

খেজুরে থাকে অনেক বেশি নিউট্রিয়েন্টস। যে কারণে গর্ভাবস্থায় নিয়মিত খেজুর খেলে গর্ভবতী মায়ের শরীরে বাড়ে শক্তির মাত্রা। সেজন্য প্রসবের সময় বাড়তি শক্তির যোগান সে সহজেই দিতে পারে। খেজুরে উচ্চ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফ্লাভানয়েড ও ফেনোলিক যৌগ সমৃদ্ধ থাকে বলে এটি কোষের ক্ষয় কমাতে সাহায্য করে। 

বিশেষত, গর্ভাবস্থায় মায়ের শরীর সুস্থ রাখতে এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। মূলত সকালে ও রাতে খেজুর খেলে বেশ উপকার পাওয়া যায়। ইতিমধ্যে উপরে গর্ভাবস্থায় কাঁচা কলা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানতে পেরেছি। এখন আমরা গর্ভাবস্থায় খেজুর খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব।

প্রসব বেদনার ব্যাথা কমায়-- 
নিয়মিত খেজুর খেলে মহিলাদের বেদনাদায়ক ‘লেবার পেইন’ অনেকটা কম হয়। নিয়মিত খেজুর খেলে ইউটেরাসের সংবেদনশীলতা কমে তা শক্তিশালী হয়।

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে--
গর্ভাবস্থায় কোষ্ঠকাঠিন্য অনেক কমন একটি সমস্যা। এই সমস্যা ফেইস করেন নি এমন গর্ভবতী নারীর সংখ্যা অনেক কম। প্রোজেস্টেরন হরমোন এর কারণে এসময় শরীরে কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেয়। খেজুরের রসে রয়েছে ফাইবার যা হজম প্রক্রিয়াকে সহজ করে ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে।

খেজুর দ্রুত রক্ত উৎপাদন করে-- 
দ্রুত রক্ত উৎপাদনের জন্য খেজুর খাওয়ার কোন বিকল্প নেই। সন্তান জন্মের সময় শরীর থেকে অনেক রক্ত বের হয়। এতে মায়ের শরীর দুর্বল থাকে। তাই গর্ভাবস্থায় ও প্রসর পরবর্তী সময়ে খেজুর খেলে শরীরে দ্রুত রক্ত উৎপাদন হয়। এতে একজন মা তার হারানো শক্তি ফিরে পান।


অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উৎপাদন করে--
খেজুর একটু অত্যন্ত পুষ্টিকর ফল যাতে বিদ্যমান রয়েছে ফ্লাভানয়েড ও ফেনোলিক যৌগ। তাছাড়া খেজুরের বিদ্যমান অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কোষের ক্ষয় রোধ করতে সাহায্য করে।

গর্ভের বাচ্চার ওজন বৃদ্ধিতে সাহায্য করে--
অনেক সময় গর্ভবতী নারীদের বাচ্চার ওজন সহজে বাড়ে না। এতে তারা নানা রকম দুশ্চিন্তায় ভুগে থাকেন। অনেকে আবার প্রচুর পরিমাণে বমি করার কারণে বাচ্চার শারীরিক উন্নতি বা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের বৃদ্ধি ততটা ভালো হয় না। নিয়মিত খেজুর সেবনের ফলে গর্ভের বাচ্চার ওজন বৃদ্ধি হয় এবং শিশুর শারীরিক পুষ্টি বৃদ্ধিতেও ভূমিকা রাখে। আশা করি গর্ভাবস্থায় খেজুর খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।

গর্ভাবস্থায় কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা

কিশমিশ মা এবং বাচ্চা উভয়ের জন্যই অসংখ্য উপকারিতা নিয়ে আসে। তবে গর্ভাবস্থায় কিশমিশ খাওয়ার ফলে একজন হবু মায়ের উপর কী রকম প্রভাব পড়তে পারে সেটা বুঝে ওঠাটা গুরুত্বপূর্ণ।গর্ভাবস্থায় একজন হবু মায়ের জন্য কিশমিশের কিছু উপকারিতার কথা এখানে আলোচনা করা হলঃ

হাড়ের সমস্যা দূর করে:
মূলত একটি গর্ভবতী মহিলার গর্ভের সন্তানের হাড় মজবুত রাখতে ও হাড় গঠন করতে সাহায্য করে থাকে। কিসমিসে রয়েছে অনেক ধরনের ক্যালসিয়াম যা বাচ্চার হাড় মজবুত ও হাড় গঠনে ভূমিকা রেখে থাকে। রক্তস্বল্পতা বা অ্যানিমিয়া থেকে মুক্তি গর্ভকালীন সময়ে শরীরের মধ্যে হরমোনের ভারসাম্যহীনতা এবং আয়রনের ঘাটতি দেখা দিতে পারে।

যার ফলে অ্যানিমিনিয়া বা রক্তস্বল্পতার সমস্যা হতে পারে। কিসমিস হল আয়রনের একটি ভালো উৎস। তাই গর্ভকালীন সময়ে আয়রনের ঘাটতি জনিত কারণে রক্তের স্বল্পতা বা অ্যানিমিয়া প্রতিরোধ করতে কিসমিস অনেক উপকারে একটি খাদ্য।

হাড় মজবুত: কিসমিস হাড় মজবুত করতে সাহায্য করে। গর্ভাবস্থায় মা যদি কিসমিস খাই তাহলে কিসমিসের মধ্যে থাকা আয়রন, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং ম্যাগানিজ ইত্যাদি উপাদান মাতৃগর্ভে থাকা শিশুর হাড় মজবুত করতে সাহায্য করে।

দাঁতের স্বাস্থ্য উন্নত করতে সহায়তা করে:
কিশমিশে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম এবং তার পাশাপাশি ওলিয়ানলিক অ্যাসিড রয়েছে, উভয়ই আপনার দাঁতকে রক্ষা করতে সহায়তা করে। হরমোনের ভারসাম্যহীনতার কারণে, আপনার দাঁত গর্ভাবস্থায় খারাপ হয়ে যেতে পারে তবে কিশমিশ এটি মোকাবেলায় সহায়তা করতে পারে।

গর্ভাবস্থায় বাদাম খাওয়ার উপকারিতা

পুষ্টিগুণ বিবেচনায় বাদামের জুড়ি মেলা ভার। গর্ভবতী মা ও শিশুর জন্য বাদাম খুবই দরকারি খাদ্য উপাদান। গর্ভবতী মহিলাদের প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় বাদাম রাখা উচিত। এতে তার এবং তার গর্ভস্থ সন্তানের বিভিন্ন রকম উপকার হয়ে থাকে। গর্ভাবস্থায় বাদাম খাওয়ার উপকারিতা বর্ণনা করা হলো-
গর্ভাবস্থায় বাদাম খাওয়ার উপকারিতা
হাড়ের বিকাশে সাহায্য করে
বাদামের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম। বাদাম গর্ভাবস্থায় মায়ের হাড়ের ক্ষয় রোধ করে এবং গর্ভস্থ সন্তানের হাড়ের বিকাশেও সাহায্য করে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
বাদামের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। গর্ভবতী মহিলা প্রতিদিন বাদাম সেবন করলে তার এবং তার গর্ভস্থ সন্তান বিভিন্ন ধরনের রোগ থেকে মুক্তি পেতে পারে। শরীরের মেটাবলিক রেইট বাড়ে। তাই বলা যায় গর্ভাবস্থায় বাদাম খাওয়ার উপকারিতা রয়েছে অনেক।

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে বাদাম
একজন গর্ভবতী মায়ের সবচেয়ে সাধারণ সমস্যা গুলোর মধ্যে একটি হল কোষ্ঠকাঠিন্য। এই সময় প্রয়োজন অনেক বেশি পরিমাণে ফাইবারযুক্ত খাবার খাওয়া। বাদামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে থাকে। তাই একজন গর্ভবতী মায়ের কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার জন্য প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় বাদাম রাখা উচিত।

ইমিউন সাপোর্ট:
কাজু বাদামে ভিটামিন ই- এর মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। গর্ভাবস্থায় মা শিশুকে সংক্রমণ এবং অসুস্থতা থেকে রক্ষা করার জন্য একটি শক্তিশালী ইমিউন সিস্টেম অপরিহার্য।

মস্তিষ্ক গঠনে
বাদামে থাকা ভিটামিন বি-৯ ও ফলেট শিশুর মস্তিষ্ক গঠনে সাহায্য করে। এছাড়া মায়ের ডিম্বাশয়ের নানা জটিলতা প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে এই পুষ্টি উপাদানগুলো। ফলে গর্ভে শিশুর স্বাভাবিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হয় না। আশা করি গর্ভাবস্থায় বাদাম খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানতে পেরেছেন

গর্ভাবস্থায় চিড়া খাওয়ার উপকারিতা

গর্ভাবস্থায় চিড়া খেলে মা এবং শিশুর জন্য বিভিন্ন রকমের উপকারিতা বয়ে আনতে পারে। চিড়া একটি সহজলভ্য ও সহজপাচ্য খাদ্য, যা প্রচুর পুষ্টি উপাদান সমৃদ্ধ। এখানে গর্ভাবস্থায় চিড়া খাওয়ার কয়েকটি উপকারিতা উল্লেখ করা হলো।
  • গর্ভাবস্থায় চিড়া খেলে হজম শক্তি উন্নত হয়,
  • চিড়ায় বিদ্যমান ফাইবার এবং আয়রন গর্ভস্থ শিশুর জন্য নিরাপদ,
  • সকালে খালি পেটে চিড়া খেলে গর্ভবতী নারীর ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে,
  • চিড়া গর্ভবতী নারীদের ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে,
  • চিড়া গর্ভবতী নারীদের ডায়রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে,
  • অন্ত্রের প্রদাহ দূর করে।

গর্ভাবস্থায় আপেল খাওয়ার উপকারিতা

আপেলে রয়েছে ভিটামিন সি, পটিশিয়ামের ভাণ্ডার। আর এই দুই উপাদান কিন্তু একাধিক জটিল রোগকে বশে রাখতে পারে। শুধু তাই নয়, এই ফলে মজুত রয়েছে পেকটিন নামক একটি উপাদান যা কিনা অন্ত্রে উপকারী ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বাড়ানোর কাজে একাই একশো। ফলে নিয়মিত এই ফল খেলেই গ্যাস, অ্যাসিডিটির মতো সমস্যার ফাঁদ এড়ানো সম্ভব হবে। তাই গর্ভাবস্থায় সুস্থ-সবল জীবন কাটানোর ইচ্ছে থাকলে দিনে একটা আপেল খেতে ভুলবেন না যেন!
গর্ভাবস্থায় আপেল খাওয়ার উপকারিতা
গর্ভকালে প্রতিদিন অন্তত একটি আপেল খেলে বাচ্চার অ্যালার্জি ও অ্যাজমা হওয়ার শঙ্কা কমে যায়। আপেলে প্রচুর আয়রন থাকে, যা গর্ভাবস্থার হিমোগ্লোবিনের সংকট সামাল দিয়ে অ্যানিমিয়া রোধ করে। গর্ভকালে প্রতিদিন অন্তত একটি আপেল খেলে বাচ্চার অ্যালার্জি ও অ্যাজমা হওয়ার শঙ্কা কমে যায়। আপেলে প্রচুর আয়রন থাকে, যা গর্ভাবস্থার হিমোগ্লোবিনের সংকট সামাল দিয়ে অ্যানিমিয়া রোধ করে।

গর্ভাবস্থায় পেয়ারা খাওয়ার উপকারিতা

একজন গর্ভবতী মহিলাকে তার ভ্রূণের খাবারের যোগান দিতে হয়, তাই স্বাভাবিকের তুলনায় তার বেশি পরিমানে পুষ্টির প্রয়োজন। তাকে অবশ্যই পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। পেয়ারা তার সবরকম পুষ্টির প্রয়োজন পূর্ণ করতে পারে। ফলিক অ্যাসিড, ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন B9 এর দুর্দান্ত উৎস পেয়ারা। এই ফল শিশুর মস্তিষ্ক এবং হাড়ের সুস্থভাবে বিকাশে সাহায্য করে।


গর্ভাবস্থায় রক্তশূন্যতার সবচেয়ে সাধারণ কারণ হল শরীরে আয়রনের অভাব। আয়রনের অভাবজনিত রক্তাল্পতায়, রক্ত​​সারা শরীরে পর্যাপ্ত অক্সিজেন বহন করতে পারে না। এতে মা এবং শিশুর স্বাস্থ্যের উপর খারাপ প্রভাব পড়তে পারে। তবে পেয়ারার মতো ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ খাবার আয়রন শোষণে সাহায্য করে, ফলে রক্তাল্পতার সম্ভাবনা অনেকটাই কমানো যায়।

গর্ভাবস্থায় মুড়ি খেলে কি হয়

আবার অনেক গর্ভবতী মেয়ের মুড়ি অনেক পছন্দের একটি খাবার। তবে তারা জানে না গর্ভাবস্থায় মুড়ি খেলে কি হয়? এজন্য ভয়ে তারা মুড়ি এড়িয়ে চলে। কিন্তু এই সহজলভ্য খাবার মুড়ি গর্ভাবস্থায় মায়েদের জন্য খুবই উপকারী একটি খাবার। মুড়িতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি ও খনিজ উপাদান। যা একজন গর্ভবতী মা ও তার শিশুর শরীরের খনিজ ভিটামিন বি এর অভাব পূরণ করতে সাহায্য করে।

গর্ভাবস্থায় একজন মায়ের শরীরের সাধারণত এনার্জি কম থাকে। তাই এই এনার্জি ফিরিয়ে আনতে মুড়ি খাওয়া উচিত। কারণ মুড়িতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি ও শর্করা যা একজন গর্ভবতী মায়ের শরীর এনার্জি ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে।

শেষ কথাঃ গর্ভাবস্থায় কাঁচা কলা খাওয়ার উপকারিতা

প্রিয় পাঠক গর্ভাবস্থায় কাঁচা কলা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানতে পেরেছেন। তবে খেয়াল রাখতে হবে যে কোন ফল অতিমাত্রায় খেলে আপনার এবং আপনার সন্তানের ক্ষতি হতে পারে। এজন্য চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী পরিমাণ মত যে কোন ফল খাওয়া উচিত। এইরকম আরো নতুন নতুন আর্টিকেল পেতে আমার ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

Umme Haney'র নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url