দাঁতের মাড়ি থেকে রক্ত পড়ার কারণ ও প্রতিকার - দাঁতের মাড়ি ক্ষয় রোধ করার ঘরোয়া উপায়
দাঁতের মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়া খুবই বিরক্তিকর ও কষ্টদায়ক একটা বিষয়। বয়স বাড়লে দাঁত
ক্ষয় হতে শুরু করে। এটি সাধারণ বিষয়। আজকের এই আর্টিকেলে দাঁতের মাড়ি থেকে রক্ত
পড়ার কারণ ও প্রতিকার - দাঁতের মাড়ি ক্ষয় রোধ করার ঘরোয়া উপায় আলোচনা করব।
আপনি যদি দাঁতের মাড়ি থেকে রক্ত পড়ার কারণ ও প্রতিকার - দাঁতের মাড়ি ক্ষয় রোধ
করার ঘরোয়া উপায় জানতে চান তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য।
দাঁতের মাড়ি থেকে রক্ত পড়ার কারণ ও প্রতিকার
অনেকেরই দাঁত বিশেষ করে মাড়ি থেকে রক্ত ঝরে। মুখ দিয়ে কোনো কিছু চুষতে গেলে এমনকি
ব্রাশ করার সময়ও রক্ত আসে। চিকিৎসা বিজ্ঞানে এ সমস্যাকে জিনজিভাইটিস বা মাড়ির
প্রদাহ বলা হয়। দাঁত বা মাড়ির যে কোনো সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ
নেওয়া উচিত। নিচে দাঁতের মাড়ি থেকে রক্ত পড়ার কারণ ও প্রতিকার উল্লেখ করা হলো।
দাঁতের মাড়ি থেকে রক্ত পড়ার কারণ;
- মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়ার প্রধান ও অন্যতম কারণই হচ্ছে নিয়মিত দাঁত ব্রাশ না করা। এ কারণেই দাঁতের ওপর লেগে থাকা খাদ্যকণাগুলোর সাদা প্রলেপ পড়ে, একে চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় বলা হয় ডেন্টাল প্লাগ। ২৪ ঘণ্টা পর এ ডেন্টাল প্লাগ শক্ত হয়ে ক্যালকুলাস হয়। এ ক্যালকুলাসই মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়ার অন্যতম কারণ।
- ক্যালকুলাস দাঁত ও মাড়ির মাঝখানে অবস্থান করে এবং প্রতিনিয়ত নরম মাড়ির সাথে ক্যালকুলাসের ঘর্ষণের কারণে খুব সহজে মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়ে। মাড়ির ফোলা এবং প্রদাহের কারণও এ ক্যালকুলাস। এটিকে বলা হয় জিনজিভাইটিস। এতে অনেক সময় মাড়ি ফুলে যন্ত্রণাও হয়।
- যদি রক্তের প্লেইটলেট বা হিমোগ্লোবিন কম থাকে যেমন ব্লাড ডিজঅর্ডার বা রক্তের ব্যাধি থাকে তাদের মাড়ি থেকে রক্ত পড়তে পারে।
- অসামঞ্জস্য কৃত্রিম দাঁত, অর্থোডন্টিক তার বা অন্য কিছুতে আঘাতের কারণেও মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়তে পারে। এ ক্ষেত্রে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
- ধূমপায়ীরা মাড়িতে রক্তপাতের বড় ধরনের ঝুঁকিতে থাকে। ডা. ডোইগ বলেন, বিভিন্ন কারণে ধূমপান পেরিওডোন্টাল রোগ বাড়িয়ে তোলে। ধূমপানে ক্ষতিকর বিষ দাঁতের সঙ্গে লেগে থাকে যা মুখগহবর স্বাস্থ্যবিধি মেনেও দূর করা কঠিন। এসব অস্বাস্থ্যকর উপাদান মাড়ির অবস্থাকে খারাপ করে তোলে এবং রক্তপাত ঘটায়।
দাঁতের মাড়ি থেকে রক্ত পড়ার প্রতিকার;
- প্রতিদিন সঠিক নিয়মে সকালে নাস্তার পর ও রাতে ঘুমানোর আগে ভালো মানের পেস্ট ও ব্রাশ দিয়ে দু'বার দাঁত ব্রাশ করতে হবে।
- দীর্ঘদিন এক টুথপেস্ট ব্যবহার করা উচিত নয়।
- ওপরের পাটি থেকে নিচের পাটি এবং নিচের পাটি থেকে ওপরের পাটি এইভাবে ওপর নিচ বা ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দাঁত ব্রাশ করতে হবে। যাতে প্রত্যেকটি দাঁতের বাইরের এবং ভেতরের পাটির প্লাক থেকে খাদ্য কণা পরিষ্কার হয়।
- নিয়মিত দাঁত ব্রাশেরে আগে ডেন্টাল ফ্লশ (একজাতীয় সিল্কের পিচ্ছিল সূতা) দিয়ে দুই দাঁতের ফাঁক থেকে খাদ্যকণা পরিষ্কার করা এবং একজাতীয় মাউথ ওয়াশ আয়োডিন দিয়ে কুলিকুচি করা।
- গাজর, কমলালেবু, মোসাম্বির মতো ফল-সবজি, যাতে ভিটামিন সি রয়েছে, সেগুলো বেশি করে খান। দাঁতের স্বাস্থ্যের জন্য ভিটামিন সি অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। রক্তজমাটের জন্য ভিটামিন কে খুবই জরুরি। ভিটামিন কে’র ওষুধ খেলে দাঁত দিয়ে রক্ত পড়া কমে যেতে পারে।
- দাঁত দিয়ে রক্ত পড়া বন্ধ করতে দ্রুত লবণ পানিতে কুলি করুন। এটি সবচেয়ে বেশি উপকারি টোটকা। প্রত্যেক বার মুখ ধোওয়ার পর একবার করে লবণ পানিতে কুলি করুন।
- ছয় মাস পরপর সরকার স্বীকৃত একজন ডেন্টিস্টের পরামর্শ নিন এবং সঠিক নিয়ম মেনে চলুন। খুব সহজেই এ সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পেতে পারেন।
দাঁতের মাড়ি ক্ষয় রোধ করার ঘরোয়া উপায়
দাঁতের মাড়ি ক্ষয় রোধ করার
ঘরোয়া
উপায় বেশ কিছু উপায় রয়েছে, তার মধ্যে বেশ কিছু ভালো উপায় আপনাদের সাথে তুলে ধরলাম। দাঁতের মাড়ি ক্ষয় রোধ করার সহজ ঘরোয়া উপায়েও এই সমস্যা কিছুটা কমানো যায়। কীভাবে? চলুন জেনে নেয়া যাক-
নিয়মিত ব্রাশ করুনঃ আপনার দাঁতের মাঝখানে এবং মাড়ি বরাবর প্লাক এবং খাদ্য
কণা অপসারণ করতে ফ্লোরাইড টুথপেস্ট এবং ফ্লস দিয়ে
দিনে
অন্তত দুবার আপনার দাঁত ব্রাশ করুন।
হলুদঃ দাঁত এবং মাড়ির নানা সমস্যা হলুদ কমিয়ে দিতে পারে। হলুদও নানা
জীবাণু ধ্বংস করতে পারে। ফলে দাঁতের ক্ষয় কমাতে হলুদ ব্যবহার করতেই পারেন। হলুদ
গুঁড়ার সঙ্গে সামান্য পানি মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে নিন। সেই পেস্ট আক্রান্ত দাঁতের
উপর এবং গোড়ায় লাগিয়ে দিন। সমস্যা কমবে।
আরো পড়ুনঃ ডায়াবেটিস রোগীর কাঁচা সজনে পাতার উপকারিতা
পেঁয়াজঃ নিয়মিত পেঁয়াজ খেলে দাঁতের নানা সমস্যা দূর হয়। দাঁত ক্ষয় যেতে
শুরু করলে ওই দাঁতে এক টুকরো পেঁয়াজ চেপে ধরে রাখুন। ফলে দাঁত ক্ষয় হয়ে যাওয়ার
জন্য দায়ী জীবাণু ধ্বংস হবে। ফলে দাঁতের ক্ষয়ও রোধ হবে।
লবণঃ লবনে অ্যান্টিসেপ্টিক ও অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান আছে, যা মুখে
ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি ব্যাহত করে প্রদাহ কমাতে ও ব্যাথাকে সহনীয় করতে সক্ষম। ১
গ্লাস কুসুম গরম পানিতে ১ টেবিল চামুচ লবণ মিশিয়ে মুখে নিয়ে ১ মিনিট রাখুন।
লেবু লবণের ব্যবহারঃ লেবুর রস ও নুন মিশিয়ে নিন। এরপর তা আঙুলের মাথায়
লাগিয়ে তা দিয়ে দাঁত পরিষ্কার করে ৫ মিনিট রেখে দিন। এরপর সামান্য উষ্ণ পানিতে
কুলি করে মুখ ধুয়ে ফেলুন। নিমেষেই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
দাঁতের মাড়ি শক্ত করার উপায়
দাঁত ভালো রাখার জন্য মাড়ি
ভালো
রাখা জরুরি। কারণ গোড়া ভালো না থাকলে কোনোকিছুই ভালো রাখা যায় না। তাই দাঁতের
মাড়ি শক্ত ও সুস্থ রাখতে হবে। দাঁতের মাড়ি শক্ত করার উপায় সম্পর্কে জানা অনেক
গুরুত্বপূর্ণ । দাঁতের মাড়ি শক্ত করার জন্য নিচের উপায় গুলো মেনে চলুন।
নিয়মিত ব্রাশ করাঃ
দাঁত ব্রাশ করা নিয়মিত দাঁত
সুস্থ
রাখতে পরিষ্কার রাখার বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ জন্য নিয়মিত দাঁত ব্রাশ করতে
হবে। দাঁত ও মাড়ি ভালো রাখার আদি এবং অকৃত্রিম পন্থা হলো ঘুম থেকে উঠে এবং
ঘুমাতে যাওয়ার আগে দাঁত ব্রাশ করা। খাওয়ার পর খাবারের ছোট ছোট অংশ থেকে যায়
দাঁতের খাঁজে।
আরো পড়ুনঃ
হঠাৎ হাই প্রেসার কমানোর ঘরোয়া উপায়
সেগুলো সারা দিন, সারা রাত মুখের মধ্যে থেকে পঁচে গেলে দাঁত ও মাড়ির ক্ষতি করতে
পারে। তাই চিকিৎসকরা বলেন, প্রতিবার খাওয়ার পর না হলেও সারা দিনে অন্তত দু’বার
দাঁত ব্রাশ করতে হবে। এক থেকে দুই মিনিট ধরে ব্রাশ করতে হবে। এর বেশিও নয়, কমও
নয়। আবার খুব চেপে বা জোরে দাঁত ব্রাশ করা যাবে না। এতে ক্ষয় হতে পারে এনামেলের।
ফ্লস ব্যবহার করুনঃ
দাঁতের মাড়ি শক্তিশালী করার জন্য প্রতিদিন ফ্লস ব্যবহার করতে হবে। দাঁত ব্রাশ
করার চাইতে ফ্লস ব্যবহার করা অনেক গুরুত্বপূর্ন। কারণ, দাঁত ব্রাশ করার পরেও অনেক
সময় দাঁতের ফাঁকে খাবার আটকে থাকে । ব্রাশ করার পরেও দাঁতের ফাঁকে থাকা খাদ্যকণা
গুলো বের হতে চাই না।
সে কারণে দুই দাঁতের মাঝে গর্ত হয়ে যায়, যাকে ডাক্তারি ভাষায় বলা হয় ডেন্টাল
ক্যারিজ। খালি চোখে এটি দেখা সম্ভব না, এটি শুধুমাত্র এক্সরে করলে ধরা পড়ে।
দাঁতের ফাঁকে আটকে থাকা এই খাদ্যকণা গুলো বের করার জন্য ডেন্টাল ফ্লস ব্যবহার করা
অনেক গুরুত্বপূর্ন।
ফ্লোরাইড যুক্ত মাউথওয়াশ ব্যবহার করুনঃ
দাঁত ব্রাশ করার পরে অতিরিক্ত সুরক্ষার জন্য ফ্লোরাইড যুক্ত মাউথওয়াশ ব্যবহার
করতে হবে। মাউথওয়াশ শুধুমাত্র ব্যাকটেরিয়া এবং খাবারের কণা দূর করতেই সাহায্য
করে না বরং ফ্লোরাইডের সাহায্যে আপনার দাঁতের এনামেলকে সুরক্ষিত রাখে।
স্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণ করুনঃ
আপনি আপনার দাঁতের মাড়ি শক্ত করতে চাইলে সঠিক স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার কোন
বিকল্প নেই। দাঁতের মাড়ি শক্ত রাখার জন্য আপনি নিয়মিত ভিটামিন D, ফাইবার যুক্ত
খাবার এবং শাকসবজি বেশি বেশি করে খেতে পারেন। আপনার যদি চিনি বেশি খাওয়ার অভ্যাস
থাকে তাহলে এখন থেকে চিনিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন। কারণ, চিনি দাঁতের ক্ষয় এবং
মাড়ির রোগ বাড়িয়ে দেয়।
ধূমপান পরিহার করাঃ
আপনি যদি দাঁতের মাড়ি মজবুত রাখতে চান তাহলে আপনাকে ধূমপান পরিহার করতে হবে।
ধূমপান করলে দাঁতের মাড়িতে বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ ঘটে। তাই ধূমপান
পরিহার করা। ধূমপান পরিহার করা দাঁতের মাড়ি শক্ত করার উপায় গুলোর মধ্যে অন্যতম
একটি উপায়।
কি খেলে দাঁতের মাড়ি শক্ত হয়
দাঁতের মাধ্যমে একজন মানুষের সৌন্দর্যের সেরা প্রতিফলন হয়। যখন স্বাস্থ্যকর মাড়ি
এবং দাঁতের কথা আসে, তখন বিষয়টি নির্ভর করে নিত্যদিনের খাবারে আপনি সারা দিন কী
খান তার উপর। পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার শরীরকে মেরামত করার পাশাপাশি কিন্তু মাড়ি ও
দাঁতকেও সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
মুখের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে ফাইবারে ভরপুর ফল ও সবজি খেতে হবে। ফাইবারসমৃদ্ধ
খাবার দাঁত ও মাড়ি সুস্থ রাখতে সাহায্য করে বলে জানিয়েছে আমেরিকান ডেন্টাল
অ্যাসোসিয়েশন (এডিএ)। কি খেলে দাঁতের মাড়ি শক্ত হয় নিচে উল্লেখ করে দেয়া হলো।
ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবারঃ ভিটামিন সি জাতীয় খাবার দাঁত ও মাড়ির জন্য
অত্যন্ত উপকারী। লেবু, আমড়া, আমলকী, স্ট্রবেরিসহ আরও বিভিন্ন ফলে ভিটামিন সি
রয়েছে। স্বাস্থ্য সচেতনরা মাড়ির বাড়তি যত্নে এসব ফল খান। এতে প্রচুর
অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা সবসময় মাড়ি সুরক্ষিত রাখতে ভিটামিন সি
জাতীয় খাবার খেতে বলেন।
দুধ ও দুগ্ধজাত খাবারঃ ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ যা দাঁত ও হাড় ভালো রাখে।
দুধে আছে ক্যাসেইন যা মুখগহ্বরের ক্ষরীয়ভাব নিষ্ক্রিয় করে। পনির দুধ-জাতীয় আরেকটি
উন্নত খাবার যা মুখে লালার নিঃসরণ বাড়ায় এবং মুখ ও দাঁত পরিষ্কার রাখে। দইয়ের
প্রোবায়োটিক মুখ ও দাঁতের স্বাস্থ্য সুরক্ষিত রাখে।
আশ যুক্ত খাবারঃ আঁশযুক্ত ও শক্ত খাবার যেমন-গাজর, পেঁয়ারা, আমড়া,
ইক্ষু, আনারস, নাশপাতি, আপেল, নারকেল ইত্যাদি দাঁত ও মাড়ি সুস্থ রাখতে সাহায্য
করে। এবং এগুলো চোয়ালের স্বাভাবিক গঠনে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
বাদামঃ বিভিন্ন ধরনের
বাদামে
রয়েছে প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও মিনারেল। এ ছাড়া বাদামের মধ্যে রয়েছে ক্যালসিয়াম।
কাঠবাদামে রয়েছে ভিটামিন ও ক্যালসিয়াম। রয়েছে আয়রন, ফলিক এসিড, থায়ামিন,
ম্যাগনেসিয়াম, নায়াসিন, ভিটামিন ই, বি৬, পটাশিয়াম, জিংক। এগুলো দাঁতের জন্য ভালো।
দাঁতের এনামেল শরীরের শক্ত অংশ।
পেঁয়াজ ও রসুনঃ অনেকেই জানেন না যে, তীব্র ঘ্রাণযুক্ত মসলা পেঁয়াজ ও
রসুন দাঁতের জন্য উপকারী। যুক্তরাষ্ট্রের দাঁত বিশেষজ্ঞদের মতে, মুখের
ব্যাক্টেরিয়ার কারণে আমাদের দাঁতের ক্ষয় হয়, মাড়ির প্রদাহ হয় এবং দাঁত
দুর্গন্ধ হয়ে যায়। তাই, মুখে থাকা এই ব্যাক্টেরিয়া ধ্বংস করার জন্য পেঁয়াজ ও
রসুন খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
গ্রিন টিঃ গ্রিন টি পান মাড়ি সুস্থ রাখে। গ্রিন টিতে
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা একটি ভাল অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি পানীয় করে তোলে। এই
অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য মাড়িকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। যারা নিয়মিত
গ্রিন টি পান করেন তাদের মাড়ি স্বাস্থ্যকর করতে সাহায্য করে। আশা করি কি খেলে
দাঁতের মাড়ি শক্ত হয় এই সম্পর্কে আপনারা খুব ভালোভাবে জানতে পেরেছেন।
দাঁতের মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়া রোগের নাম কি
দাঁতের মাড়ি থেকে রক্তপাত অনেকেই এই সমস্যায় ভোগেন। রোগের নাম ‘জিনজিভাইটিস’।
চিকিৎসকেরা এই রোগকে ‘লাইফস্টাইল ডিজিজ’এর আওতাতেই ফেলছেন। কিন্তু জানেন কি, আর
কোন কোন কারণে মাড়ি থেকে রক্তপাত হয়? এ নিয়ে ভারতীয় এক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে,
চিকিৎসকেরা বলছেন, প্লাক নামক এক ধরনের জীবাণুর প্রভাবে এই সমস্যা হতে পারে।
আরো পড়ুনঃ ডায়াবেটিস মাপার মেশিনের দাম কত
মাড়ির টিস্যুগুলোর স্বাভাবিক কর্মক্ষমতা নষ্ট করে ধূপমান। কাজেই ধূমপায়ীদের
সচরাচর এই সমস্যা হয়। অন্তঃসত্ত্বা মেয়েরা অনেক সময় হরমোনের ওঠানামার কারণে এই
রোগের স্বীকার হন। ভিটামিন সি ও জলের অভাব মাড়ির সমস্যা তৈরি করে। অনেকে
বংশগতভাবে এই রোগে আক্রান্ত হন।
দাঁতের মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়ে কোন ভিটামিনের অভাবে
দাঁত কিংবা মাড়ি থেকে রক্ত পড়ে শরীরে ভিটামিন সি-র অভাবে। ভিটামন সি-এর অভাবে
কোলাজেন দুর্বল হয়ে পড়ে। মাড়িতে রয়েছে প্রচুর কোলাজেন। তাই ভিটামিন সি-এর
অভাবে মাড়ি দুর্বল হতে পারে। স্কার্ভি রোগ হয় এবং মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়ে।
শেষ কথা
প্রিয় পাঠক দাঁতের মাড়ি থেকে রক্ত পড়ার কারণ ও প্রতিকার - দাঁতের
মাড়ি ক্ষয় রোধ করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত হবে জানতে পেরেছেন। আশা
করি আপনারা এখান থেকে আপনাদের প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো জানতে পেরেছেন। আপনাদের
বিষয়গুলো জানাতে পেরে আমরা আনন্দিত। এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য
ধন্যবাদ। এই ধরনের আর্টিকেল পড়তে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করুন।
Umme Haney'র নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url