চুলের যত্ন ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে A to Z জেনে নিন

প্রিয় পাঠক চুলের যত্ন ঘরোয়া উপায় নিতে চান তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আজকে চুলের যত্ন সম্পর্কে আপনাদেরকে বিস্তারিত জানাবো। যারা ঘরোয়া উপায়ে চুলের যত্ন নিতে চান তাদের জন্য আজকের এই আয়োজন।
চুলের যত্ন ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে A to Z জেনে নিন
প্রিয় পাঠক চুলের যত্ন ঘরোয়া উপায় জানতে চাইলে আজকের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন। তাহলে চলুন আর দেরি না করে শুরু করি।

চুলের যত্ন ঘরোয়া উপায়

নারীর সৌন্দর্যের একটি রহস্য হচ্ছে চুল। চুলের যত্নে বাইরে থেকে কেনা কেমিক্যালযুক্ত উপাদানের বদলে বেছে নিন ঘরোয়া সব উপায়। ঘরোয়া উপায়ে চুলের যত্ন নিলে চুল নষ্ট হওয়ার ভয় থাকে না।আমাদের দৈনন্দিন জীবনের খাবার যেমন আমাদের শক্তি জোগায় তেমনি চুলেরও খাবার প্রয়োজন তার শক্তি জোগাতে। তাই চুলের যত্ন ঘরোয়া উপায় আপনার চুল ফিরে পেতে পারে প্রাণ।

ডিমঃ একটি ডিম ফেটিয়ে ১ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল মেশান। চুলের আগা থেকে গোড়া পর্যন্ত ভালো করে লাগান ডিমের মিশ্রণ। শাওয়ার ক্যাপে চুল ঢেকে নিন। ২০ মিনিট পর ঠাণ্ডা পানি ও ভেষজ শ্যাম্পুর সাহায্যে ধুয়ে ফেলুন চুল। সপ্তাহে একবার অথবা দুইবার ব্যবহার করুন এই হেয়ার প্যাক।

মেথিঃ চুলের যত্ন ঘরোয়া উপায় আরেকটি সেরা ভেষজ হচ্ছে মেথি। বি১, বি৩ এবং বি৫ মেলে এতে, যা স্বাস্থ্যকর চুল বজায় রাখার জন্য অপরিহার্য। মেথির বীজে স্টেরয়েড স্যাপোনিনও থাকে, যা চুল পড়া কমাতে সাহায্য করে। মেথিতে থাকা লেসিথিন নামক একটি উপাদান চুলের গঠন উন্নত করতে পারে। এতে চুল মসৃণ ও ঝলমলে হয়। মেথি সারারাত পানিতে ভিজিয়ে রেখে পরদিন বেটে চুলে লাগান। ৩০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন শ্যাম্পু দিয়ে।


চাল ধোয়া পানিঃ চুলের যত্নে ঘরোয়া উপায়ের আরেকটি উপাদান হলো চাল ধোয়া পানি। চাল ধোওয়া জল বা ভাতের ফ্যানটা ফেলে দেবেন না! লম্বা চুলে জৌলুস আনতে এ জিনিস খুবই কাজের! চাল ধোওয়া জল আর ফ্যানে প্রোটিন, ফাইটিক অ্যাসিড আর লিপিড থাকে যা চুলের স্বাস্থ্যরক্ষা আর বাড়বৃদ্ধিতে দারুণ সাহায্য করে।

অকালে চুল সাদা হয়ে যাওয়া বা চুল ওঠার মতো সমস্যা থাকলে ব্যবহার করে দেখুন চাল ধোওয়া জল বা ভাতের ফ্যান! স্বাভাবিক শ্যাম্পু করার পর শেষবার চুল ধুয়ে নিন চাল ধোওয়া জলে আর তফাতটা নিজেই দেখুন!

মেহেদীঃ চুলের যত্নে ঘরোয়া উপায়ের আরেকটি অন্যতম উপাদান হলো মেহেদী। প্রয়োজন মতো পানি দিয়ে মেহেদি পাতা বেটে নিন। সম্পূর্ণ চুলের এটি লাগিয়ে রাখুন ৩ ঘণ্টা। শ্যাম্পু ও ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। মাসে একবার ব্যবহার করুন। চুল মজবুত হবে। পাশাপাশি চুলে আসবে ঝলমলে ভাব।

চুলের যত্নে পেঁয়াজের উপকারিতা

পেঁয়াজের ব্যবহার শুধু খাবারের স্বাদই বাড়ায় না স্বাস্থ্যের জন্যও বেশ উপকারী। শুধু তাই-ই নয়, এর পাশাপাশি রূপচর্চাতেও ব্যবহার করতে পারেন পেঁয়াজ। পেঁয়াজের রস চুলের জন্য দারুণ ভাল। টাইম্স অফ ইন্ডিয়া ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে, ভারতীয় রূপ-বিশেষজ্ঞ ও অ্যারোমাথেরাপিস্ট ডা. ব্লসম কোচার চুলের যত্নে পেঁয়াজের তেলের উপকারিতা সম্পর্কে বলেন,

“চুল পড়া কমানোর পাশাপাশি চুলের বৃদ্ধি, স্বাস্থ্য ভালো রাখাসহ বিভিন্নভাবে পেঁয়াজের রস উপকার করে।”পেঁয়াজের রস লাগালে চুল পেকে যাওয়ার আশঙ্কা কমে । চুলের পরিচর্যায় প্রাকৃতিক উপাদান পেঁয়াজের রসের ব্যবহার নতুন নয়। তবে এক পেঁয়াজের রসকেই ভিন্ন ভিন্ন উপাদানের সাথে মিশিয়ে ব্যবহার করা যায় বেশ কয়েকভাবে।

শ্যাম্পু করার আগে চুলে পেঁয়াজের তেল মালিশ করা আর্দ্রতা রক্ষা করতে সহায়তা করে। পেঁয়াজ তেল প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসেবে কাজ করে। পেঁয়াজের রস ও মধু একসঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করলে চুল পড়া কমাতে সহায়তা করে। পেঁয়াজ ও মধুর মিশ্রণ চুলে মেখে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলতে হবে। নিয়মিত দুয়েক সপ্তাহ এই মিশ্রণ ব্যবহারে ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে।

চুলের যত্নে হেয়ার প্যাক

আজকাল ধুলা-ময়লা, দূষণের কারণে চুল নিয়ে কমবেশি সবাই সমস্যায় ভোগেন। এর জন্য চুলের যত্নে ঘরোয়া সমাধান বেছে নিতে পারেন। চুলের যত্ন ঘরোয়া উপায়  চুলকে মজবুত, সুন্দর করে তুলতে নানান হেয়ার প্যাক ব্যবহার করা হয়। বাজার ঘুরলে নানান হেয়ার প্যাক কিনতে পাওয়া যায়। বাজারের প্যাকগুলো ব্যবহারের পরিবর্তে চুলের যত্নে ঘরোয়াভাবে তৈরি প্যাক বেশি উপকারী। 

ঘন, কালো ও মজবুত চুল পেতে কিভাবে ঘরোয়া হেয়ার প্যাক বানিয়ে চুলের যত্ন নেওয়া যায় দেখুন নিম্নে-

আমলা হেয়ার প্যাকঃ
আমলকী বা আমলা পাউডার খুবই কার্যকরী। টক দই, আমলা পাউডার, ডিমের কুসুম এবং কয়েক ফোঁটা খাঁটি নারকেল তেল একসঙ্গে মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে নিন। স্ক্যাল্প ও সমস্ত চুলে ভালোভাবে লাগিয়ে রেখে ৩০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। অবশ্যই মাইল্ড শ্যাম্পু ব্যবহার করতে হবে। সপ্তাহে দু-একবার এই প্যাকটি লাগালে চুলের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত হবে এবং আগা ফাটার সমস্যা রোধ হবে।


কলা এবং অ্যালোভেরা প্যাকঃ
চুলের যত্ন ঘরোয়া উপায় কলা বেশ কার্যকরী একটি উপাদান। একটি পাত্রে কলার টুকরোগুলো ম্যাশ করুন। এবার এই পাত্রে অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে নিন। এই দুটি জিনিস মিশিয়ে চুলে লাগিয়ে, একটি ঢিলা খোঁপায় বেঁধে নিন। এই মাস্কটি আধ ঘণ্টা চুলে লাগিয়ে রাখুন। এর পরে, হালকা শ্যাম্পু ব্যবহার করে চুল ধুয়ে ফেলুন। এতে আপনার চুল হবে সুস্থ ও মসৃণ। 

পেঁয়াজের রস এবং মধুঃ
পেঁয়াজে সালফার থাকে। যা মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন উন্নত করতে সহায়তা করে। চুলের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। মধু একটি প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে। যা চুলের ভিতরে পুষ্টি জোগায়। পেঁয়াজ বেটে রস বের করে নিন। পেঁয়াজের রস এবং মধু সমান ভাবে মিশিয়ে নিন। মাথার ত্বকে এটি লাগান। হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলার আগে এটি ৩০ মিনিটের জন্য রেখে দিন।

টকদই এবং অলিভ অয়েলঃ
এক টেবিল চামচ অলিভ অয়েল, এক কাপ টকদই, এক টেবিল চামচ লেবুর রস এবং দুই কাপ পানি একসাথে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। এই প্যাকটি চুলে ব্যবহার করুন। ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপর কুসুম গরম পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। এই প্যাকটি সপ্তাহে এক দুইবার ব্যবহার করতে পারেন। নিয়মিত ব্যবহারে এটি চুলের আগা ফাটা রোধ করে, মাথার তালুতে পিএইচ লেভেল ঠিক রাখে।

রাতে চুলের যত্ন

ঘুমের সময় আমাদের শরীর বিশ্রাম নেয়। ঘুমানোর আগে মুখ ধুয়ে ক্রিম মেখে শোয়ার অভ্যাস আছে আমাদের অনেকেরই। তবে বাদ পড়ে যায় চুলের যত্ন। কিন্তু চুল পড়া বন্ধসহ, স্বাস্থ্যজ্জ্বল ও ঝলমলে চুলের জন্য ঘুমের আগে চুলের যত্ন নেওয়া জরুরি। ঘুমানোর আগে কিছুটা সময় বরাদ্দ করতে হবে চুলের যত্নে। আসুন দেখে নেই রাতে শোবার আগে চুলের যত্নের কিছু টিপস-
  • শোবার আগে চুল ভালো করে আঁচড়ে নিন। চুলের গোড়ায় রক্ত সঞ্চালন ভালো হবে। প্রথমে মোটা দাঁতের চিরুনি দিয়ে ভালো করে জট ছাড়িয়ে নিন। সব চুল উল্টে পেছন থেকে সামনের দিকে কিছুক্ষণ আঁচড়ান।এরপর আবার সামনে সিঁথি করে আরেকবার আঁচড়ে নিন।
  • ঘুমানোর আগে অনেকেই চুল বেঁধে ঘুমান, কেউ বেণি করে আবার কেউবা চুলে খুলে ঘুমাতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। কিন্তু ঘুমানোর সময় কখনো চুল খোলা রেখে ঘুমাবেন না। এতে চুল জট লাগতে পারে।
  • চুল সুন্দর রাখতে রাতে শুতে যাবার সময় নারকেল তেলের সঙ্গে একটি ভিটামিন ই ক্যাপসুল ভাল করে মিশিয়ে নিয়ে চুলের মধ্যে লাগিয়ে নিন।
  • রাতে ঘুমানোর আগে চুল বাঁধার জন্য, ইলাস্টিক ব্যান্ডের বদলে কাপড় ভিত্তিক কোনও ব্যান্ড বা ফিতে ব্যবহার করুন। রাতে ঘুমানোর সময় ইলাস্টিক ব্যান্ডে চুল জড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে, যার ফলে চুলে টান পড়া অথবা চুল একটুতেই ছিঁড়ে যেতে পারে।
  • সিন্থেটিক বালিশের কাভারের ঘষায় চুলের ক্ষতি হতে পারে। নরম সুতি বা সিল্কের বালিশের কাভার চুলের জন্য নিরাপদ। চুলের যত্নে ব্যবহার করতে পারেন এ ধরনের বালিশের কাভার।

শ্যাম্পু করার পর চুলের যত্ন

শ্যাম্পু করার পর চুল সঠিক ভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করে নেওয়া চুলের যত্নের জন্য সবচেয়ে বেশি দরকার। চুল ধুয়ে নেওয়ার এবং অন্যান্য ভাবে যত্ন করার জন্য কিছু নিয়ম মেনে চলা প্রয়োজন। তাই জেনে নিন, শ্যাম্পু করার পরে কীভাবে যত্ন নেবেন আপনার অমূল্য চুলের!

চুল মুছুন পাতলা কোনও কাপড় দিয়ে: শ্যাম্পু করার পর পুরোনো টি শার্ট বা খুব নরম কোনও তোয়ালেতে চুলটা মুড়ে রাখুন। খুব জোরে চুল থেকে পানি ঝেড়ে ফেলার চেষ্টা করবেন না।

চুল বেঁধে রাখবেন না: আগেই বললাম, ভেজা চুল অনেক বেশি ভঙ্গুর হয়, তাই শ্যাম্পু করার পর ভেজা চুল বাঁধলে চুল উঠে যাওয়া খুব স্বাভাবিক! ভেজা চুল বাঁধলে মাথা চুলকোয়, খুসকিও হতে পারে। তাই বাঁধার আগে চুল শুকোনো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।

ভিজে চুল আঁচড়াবেন না: ভিজে চুল আঁচড়ানো বা স্টাইলিং করা, দুটোই সমান খারাপ। অর্ধেক শুকনো না হলে চিরুনি ছোঁয়ানোর দরকারই নেই। চেষ্টা করুন ড্রায়ার ব্যবহার না করে প্রাকৃতিকভাবেই চুল শুকনো করে নেওয়ার।

কতদিন পর পর চুলে শ্যাম্পু করা উচিত

বিশেষজ্ঞদের মতে, সপ্তাহে একজন মানুষের অন্তত ৩ বার শ্যাম্পু করা উচিত। মাথার ত্বকে বিদ্যমান তেল, ময়লা ও রাসায়নিক সমৃদ্ধ জিনিস দূর করা প্রয়োজনীয় এবং জরুরি। মনে রাখবেন, চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য প্রথমে মাথার ত্বক পরিষ্কার করা উচিত। মাথার ত্বক যদি তৈলাক্ত হয় তাহলে একদিন পরপর শ্যাম্পু করুন।

রুক্ষ চুলের যত্ন

চুলের রুক্ষ, শুষ্ক (Dry Hair) ভাব দূর করার জন্য প্রতিদিন চুলের পরিচর্যা (Hair Care Tips) করার সময় কিছু নিয়ম মেনে চলা প্রয়োজন। যাঁদের চুল খুব রুক্ষ এবং শুষ্ক, তাঁরা শ্যাম্পু করার আগে তেল ম্যাসাজ করুন। আর শ্যাম্পুর পরে অবশ্যই ব্যবহার করুন কন্ডিশনার এবং হেয়ার সিরাম। রুক্ষ, শুষ্ক চুলের সমস্যা দূর করতে কন্ডিশনার এবং হেয়ার সিরাম ছাড়াও চুলে ব্যবহার করা প্রয়োজন হেয়ার মাস্ক।


চুলের রুক্ষতা দূর করতে ডিম দারুণ উপকারী। অপরদিকে অলিভ অয়েল চুলে আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। এই দুই উপাদান দিয়ে তৈরি প্যাক রুক্ষ চুলের জন্য আদর্শ। ১/৪ কাপ আমন্ড অয়েলের সঙ্গে ১টা কাঁচা ডিম ফেটিয়ে নিয়ে মিশিয়ে নিন। এরপর মিশ্রণ ভালভাবে মিশে গেলে তা স্ক্যাল্পসহ পুরো চুলে লাগিয়ে রাখুন। ৪০-৪৫ মিনিট পর শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহার করে চুল ধুয়ে নিন।

পেঁয়াজের রস কিভাবে ব্যবহার করব

নতুন চুল গজানোর জন্য অনেকেই পেঁয়াজের রস ব্যবহার করেন। চুলের যত্ন ঘরোয়া উপায়ে পেঁয়াজের রস ব্যবহারের ফলে চুলপড়া যেমন কমে, তেমনি চুলের গোড়া শক্তও হয়। তবে অনেকেই জানেন না কীভাবে পেঁয়াজের রস ব্যবহার করতে হয়। জেনে নিন চুল পড়া বন্ধ করতে পেঁয়াজের রস কীভাবে ব্যবহার করবেন।
  • পেঁয়াজ কেটে ভালো করে ব্লেন্ড করে নিন। তারপর তুলা ভিজিয়ে পেঁয়াজের রস মাথার স্ক্যাল্পে ব্যবহার করুন। ১৫-২০ মিনিট রেখে মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে মাথা ধুয়ে ফেলুন।
  • পেঁয়াজের রসের সঙ্গে নারকেল তেল এবং কয়েক ফোটা এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে মাথার ত্বকে লাগাতে পারেন। ঘণ্টাখানেক পর শ্যাম্পু দিরে ধুয়ে ফেলুন।
  • পেঁয়াজ ভালো করে ব্লেন্ড করে নিয়ে অলিভ অয়েলের সঙ্গে মিশিয়ে মাথার ত্বকে লাগান। তার পর দুই ঘণ্টা অপেক্ষা করে শ্যাম্পু দিরে ধুয়ে ফেলুন। তারপর নিজেই দেখুন ফলাফল।
  • ক্যাস্টর অয়েল ও পেঁয়াজের রসের ব্যবহারে চুল বড় হয়। এটি চুল পড়া বন্ধ করে। প্রথমে দুই টেবিল চামচ ক্যাস্টর অয়েল ও দুই টেবিল চামচ পেঁয়াজের রস মিশিয়ে নিন। এরপর মিশ্রণটি মাথার ত্বকে ভালোভাবে ম্যাসাজ করুন। এক ঘণ্টা রেখে মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে মাথা ধুয়ে ফেলুন।
  • পেঁয়াজের রস ব্যবহারের আগে অবশ্যই অ্যালার্জি পরীক্ষা করে নিন। এ জন্য আপনি প্রথমে আপনার মাথার ত্বকের অল্প জায়গায় এটি লাগিয়ে রাখুন। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিলে এটি ব্যবহার না করাই ভাল।

শেষ কথা

প্রিয় পাঠক, আশা করি চুলের যত্ন ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জানতে পেরেছেন। আপনারা যদি আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ে উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিবেন। এতক্ষণ ধরে আমার লেখা আর্টিকেলটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এইরকম আরো নতুন নতুন আর্টিকেল চাইলে আমার ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

Umme Haney'র নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url