এশার নামাজ কয় রাকাত - এশার নামাজের নিয়ম

সুপ্রিয় পাঠক বৃন্দ আসসালামুয়ালাইকুম। আজ আমরা জানাবো এশার নামাজ কয় রাকাত - এশার নামাজের নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য। আপনি যদি এশার নামাজ সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার অনেক উপকার করবে। সালাত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত।নামাজের মাধ্যমে বান্দা আল্লাহ তায়ালার বেশি নৈকট্য লাভ করতে পারে।
এশার নামাজ কয় রাকাত - এশার নামাজের নিয়ম
প্রিয় পাঠক আপনারা যদি আজকের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে পারেন তাহলে এশার নামাজ সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানতে পারবেন।

ভূমিকা

আল্লাহ তায়ালা আমাদের দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায়ের নির্দেশ দিয়েছেন। দিনরাত পাঁচ ওয়াক্ত সালাত জীবনের প্রতি মুহূর্তে আল্লাহ তায়ালার কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। নামাজের মাধ্যমে মানুষ নিষ্পাপ হয়ে যায়। মহানবী (স) বলেছেন,''সালাত জান্নাতের চাবি''। সালাত মানুষকে সব রকম অশ্লীল ও অন্যায় কাজ থেকে বিরত রাখে।


কুরআন মজিদে বার বার সালাত কায়েমের হুকুম দেয়া হয়েছে। আজকের এই আর্টিকেলটি থেকে আপনি জানতে পারবেন এশার নামাজ কয় রাকাত , এশার নামাজের নিয়ম, এশার নামাজ কয় রাকাত সুন্নত কয় রাকাত ফরজ, এশার নামাজের নিয়ত, এশার বেতের নামাজের নিয়ম এই সকল বিষয় আপনারা খুব ভালোভাবে জানতে পারবেন।

এশার নামাজ কয় রাকাত

সময়মত নামাজ আদায় করা আল্লাহর হুকুম। যথাসময়ে নামাজ আদায় না করলে নামাজ আদায় হয় না। এ সম্বন্ধে আল্লাহতালা বলেন,'' নিশ্চয়ই সঠিক সময়ে সালাত কায়েম করা মুমিনের জন্য ফরজ''।(সূরা আন নিসা, আয়াতঃ১০৩) সঠিক সময়ে সঠিক নিয়মে আমাদের নামাজ আদায় করতে হবে। মাগরিবের সময় শেষ হলেই এশার সালাতের ওয়াক্ত শুরু হয়

এবং সুবহে সাদিকের পূর্ব পর্যন্ত বিদ্যমান থাকে। তবে মধ্যরাতের আগে আদায় করা উত্তম। প্রতি ওয়াক্ত নামাজের আলাদা আলাদা রাকাত আছে। অর্থাৎ প্রতি ওয়াক্ত নামাজে নির্দিষ্ট পরিমাণ রাকাত নামাজ আদায় করতে হবে। কেউ চাইলে অতিরিক্ত নফল নামাজ আদায় করতে পারেন। এশার নামাজ মূলত ১৭ রাকাত।


এশার নামাজ ১৭ রাকাত হচ্ছে, ৪ রাকাত সুন্নত, ৪ রাকাত ফরজ, ২ রাকাত সুন্নত, ২ রাকাত নফল, ৩ রাকাত বেতের এবং ২ রাকাত নফল। এই মোট ১৭ রাকাত এশার নামাজ। ১৭ রাকাত এশার নামাজ আদায় করা উত্তম। রাসুল (সা) বলেছেন,'' যে ব্যক্তি জামাতের সঙ্গে এশার নামাজ আদায় করল, সে যেন অর্ধেক রাত পর্যন্ত (নফল) নামাজ আদায় করল''।

এশার নামাজের নিয়ম

এশার ৪ রাকাত সুন্নত নামাজ

প্রতিটি নামাজ যেভাবে পড়া হয় এশার নামাজও কিন্তু ঠিক একইভাবে পড়া হয়। এশার চার রাকাত নামাজকে সুন্নাতে যায়েদা বা গায়েরে সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ ও বলা হয়। প্রথমে এশার ৪ রাকাত সুন্নত নামাজ আদায় করতে হবে। অজু করে জায়নামাজে দাঁড়াতে হবে। জায়নামাজের দাঁড় হওয়ার পূর্বে যারা জায়নামাজের দোয়া পড়তে হবে। এরপর নিজের ধাপগুলো অনুসরণ করতে হবে।
  • প্রথমে তাকবীরে তাহরীমা আল্লাহু আকবার বলে চার রাকাত সুন্নত নামাজের নিয়ত বাঁধতে হবে। এরপর আল্লাহু আকবার বলে হাত বেঁধে নামাজ শুরু করতে হবে।
  • তারপর ছানা পড়তে হবে।
  • ছানাঃ (সুবহানাকা আল্লাহুম্মা ওয়া বিহামদিকা ওয়া তাবারাকা কাছমুকা ওয়া তা'আলা জাদ্দুকা ওয়ালা ইলাহা গাইরুকা)।
  • ছানা পাঠ করার পর সূরা ফাতিহা পড়তে হবে এবং সূরা ফাতিহা পড়ার পর নিজের মুখস্থ যেকোনো একটি সূরা কিংবা কোরআনের ছোট্ট তিন আয়াত পরিমাণ আয়াত পাঠ করতে হবে। শেষে আল্লাহু আকবার বলে রুকুতে যেতে হবে এবং রুকু্র তাসবিহ পড়তে হবে।
  • তারপর 'সামিয়াল্লাহু লিমান হামিদা' পড়ে উঠে দাঁড়িয়ে 'রাব্বানা লাকাল হামদ' পড়তে হবে। আল্লাহু আকবার বলে সিজদায় যেতে হবে। দুইবার সেজদা করতে হবে।
  • এরপর আবারো উঠে দাঁড়িয়ে একই ভাবে নামাজ আদায় করতে হবে। সিজদা করার পর বসতে হবে এবং তাশাহুদ পড়তে হবে। এরপর উঠে দাঁড়িয়ে আবারো একইভাবে দুই রাকাত নামাজ আদায় করতে হবে।
  • মোট ৪ রাকাত নামাজ আদায় হলে শেষ বৈঠকে বসতে হবে। শেষ বৈঠকে বসে তাশাহুদ, দরুদ ও দোয়া মাসুরা পড়ে সালাম ফিরিয়ে নামাজ শেষ করতে হবে।
এশার ৪ রাকাত ফরজ নামাজ
  • এশার চার রাকাত ফরজ নামাজ আদায় করার জন্য প্রথমে আপনাকে নিয়ত করে জায়নামাজের উপর দাঁড়াতে হবে।
  • এরপর আল্লাহু আকবার বলে হাত বাঁধবেন এবং সানা পড়ার পর সূরা ফাতিহা পড়বেন এবং সাথে অন্য একটি সূরা মিলাবেন।
  • তারপর আল্লাহু আকবার বলে রুকুতে যেতে হবে। রুকুতে যাওয়ার পর রুকুর তাসবিহ পড়বে,'' সুবহানা রাব্বিয়াল আজিম''। তিন বার অথবা পাঁচ বার তবে বিজোড় সংখ্যা পড়লে উত্তম।
  • রুকু হতে ওঠার সময় 'সামি আল্লাহু লিমান হামিদা' বলতে হবে এবং সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে পড়তে হবে 'রাব্বানা লাকাল হামদ'।
  • দাঁড়ানো থেকে আল্লাহু আকবার বলে সেজদায় যেতে হবে এবং সিজদার তাসবিহ সুবহানা রাব্বিয়াল আলা তিনবার পড়তে হবে করতে হবে।
  • প্রথমবার সিজদা দেওয়ার পর সোজা হয়ে বসে আবার দ্বিতীয়বার সিজদা দিতে হবে আবার তিনবার 'সুবহানা রাব্বিয়াল আলা' পড়তে হবে।
  • এবার আল্লাহু আকবার বলে দাঁড়িয়ে যেতে হবে এভাবে প্রথম রাকাত শেষ করতে হবে।
  • এবার দ্বিতীয় রাকাতের জন্য দাঁড়িয়েছে সূরা ফাতিহা পড়বেন এবং সূরা ফাতিহার সাথে অন্য একটি সূরা মিলিয়ে পড়বেন এবং আগের মত করে রুকু এবং দুই সিজদা করার পরে তাশাহুদ পড়বেন।
  • তাশাহুদ শেষ করে আল্লাহু আকবার বলে তৃতীয় রাকাতের জন্য দাঁড়িয়ে যাবেন এবং শুধু সূরা ফাতিহা পড়বেন। সূরা ফাতিহা পড়ার পর রুকু ও দুই সিজদা করবেন। দুই সিজদার পর চতুর্থ রাকাতের জন্য আল্লাহু আকবার বলে দাঁড়িয়ে যাবেন।
  • এভাবে চতুর্থ রাকাতেও তৃতীয় রাকাতের মত করে শুধু সুরা ফাতিহা পড়ে রুকু ও দুই সিজদা করে বসতে হবে। বসা অবস্থায় তাশাহুদ, দরুদ ও দোয়া মাসুরা পড়ে সালাম ফিরতে হবে।
  • এভাবে এশার চার রাকাত ফরজ নামাজ আদায় করতে হবে।
এশার ২ রাকাত সুন্নত নামাজ
  • একইভাবে সুন্নত নামাজের নিয়ত পড়ে নামাজ শুরু করতে হবে
  • উপরোক্ত নিয়মে দুই রাকাত নামাজ আদায় করতে হবে।
  • দুই রাকাতের সুরা ফাতিহার সাথে অন্য সূরা মিলিয়ে পড়তে হবে।
  • শেষ বৈঠকে তাশাহুদ, দরুদ শরীফ ও দোয়া মাসুরা পড়ে সালাম ফিরিয়ে নামাজ শেষ করতে হবে।
এশার ২ রাকাত নফল নামাজ
  • এশার দুই রাকাত নফল নামাজ পড়ার জন্য সুন্নত নামাজ আদায়ের নিয়ম অনুসরণ করতে হবে। একইভাবে দুই রাকাত নফল নামাজ আদায় করতে পারবেন।
  • শুধুমাত্র নামাজ পড়ার পূর্বে নফল নামাজের নিয়ত করে নিতে হবে।
  • যে কোন দুই রাকাত নামাজ আদায় করার নিয়ম একই। শুধুমাত্র নামাজ আদায় করার পূর্বে নিয়ত ভিন্ন করতে হয়।
  • প্রতি রাকাত নামাজে সূরা ফাতিহার সঙ্গে অন্য একটি সূরা মিলিয়ে পড়তে হয়।
এশার ৩ রাকাত বেতের নামাজ

বেতেরের তিন রাকাত নামাজে নিয়ত করে তাকবিরে তাহরীমা বেঁধে যথারীতি দুই রাকাতের পর বসে তাশাহুদ পাঠ করে দাঁড়িয়ে তৃতীয় রাকাতে সূরা কিরাত পাঠ করে পুনরায় তাহরিমা বেঁধে দোয়া কুনুত পাঠ করে যথারীতি রুকু সিজদা ও শেষ বৈঠকের পর সালাম ফিরিয়ে নামাজ সমাপ্ত করতে হবে।

এশার ২ রাকাত নফল নামাজ

যদি আমরা বিভিন্ন হাদিস পড়ি তাহলে দেখতে পাবো এশার নামাজের শেষের দিকে দুই রাকাত নফল নামাজের কথাও পাওয়া যায়। অর্থাৎ যদি আমরা বেতের নামাজ এরপরে দুই রাকাত নফল নামাজ আদায় করি তাহলে আমাদের এশার নামাজটি সম্পূর্ণ পড়া হয়ে যাবে।

এশার নামাজ কয় রাকাত সুন্নত কয় রাকাত ফরজ

কিয়ামতের দিন সর্বপ্রথম নামাজের হিসাব নেওয়া হবে। নামাজ ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে একটি। দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ গুলোর মধ্যে এশার নামাজ পঞ্চম। এশার নামাজ আদায় করলে অর্ধেক রাত ইবাদত করার সওয়াব পাওয়া যায়। এশার নামাজ কয় রাকাত সুন্নত কয় রাকাত ফরজ তা নিচে উল্লেখ করে দেয়া হলো।
  • এশার ৪ রাকাত সুন্নত
  • এশার ৪ রাকাত ফরজ
  • এশার ২ রাকাত সুন্নত
  • এরশার ২ রাকাত নফল
  • এশার ৩ রাকাত বেতের
  • এশার ২ রাকাত নফল

এশার নামাজের নিয়ত

এশার চার রাকাত সুন্নত নামাজের নিয়ত

বাংলা উচ্চারণঃ নাওয়াইতু আন উসাল্লিয়া লিল্লাহি তা’আলা আরবা'আ রাকআতি সালাতিল এশাই সুন্নাতু রাসূলিল্লাহি তা'আলা মুতাওয়াজ জিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।

এশার চার রাকাত ফরজ নামাজের নিয়ত

বাংলা উচ্চারণঃ নাওয়াইতু আন উসাল্লিয়া লিল্লাহি তা'আলা আরবা'আ রাকআতি সালাতিল এশাই ফারদুল্লাহি তা'আলা মুতাওয়াজ জিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।

এশার দুই রাকাত সুন্নত নামাজের নিয়ত

বাংলা উচ্চারণঃ নাওয়াইতু আন উসাল্লিয়া লিল্লাহি তা'আলা রাকআতি সালাতিল এশাই সুন্নাতু রাসূলিল্লা-হি তা'আলা মুতাওয়াজ জিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।

এশার দুই রাকাত নফল নামাজের নিয়ত

বাংলা উচ্চারণঃ নাওয়াইতু আন উসাল্লিয়া লিল্লাহি তা'আলা রাকআতি সালাতিল নফলে মুতাওয়াজ জিহান ইলা জিহাতিল কা'বাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।

এশার তিন রাকাত বেতের নামাজের নিয়ত

বাংলা উচ্চারণঃ নাওয়াইতু আন উসাল্লিয়া লিল্লাহি তাআলা ছালাছা রাকয়াতি সালাতিল বেতের ওয়াজিবাল্লা-হি তাআলা মুতাওয়াজজিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।

এশার বেতের নামাজের নিয়ম

বিতর নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। বিতর আরবি শব্দ। অর্থ হচ্ছে বিজোড়। এ নামাজ তিন রাকাত বিধায় এটিকে বিতর বলা হয়। বিতর নামাজ প্রায় অন্য ফরয নামাজের মতই। তবে নিয়মের ক্ষেত্রে কিছুটা ভিন্ন থাকলেও খুবই সহজ। কিন্তু অনেকেই জানেন না বেতের নামাজ কিভাবে পড়তে হয়। নিচে বেতের নামাজের নিয়ম গুলো উল্লেখ করে দেওয়া হল।
  • অন্যান্য ফরজ নামাজের মতই দুই রাকাত নামাজ পড়ে প্রথম বৈঠকে বসে তাশাহুদ পড়া।
  • তারপর তৃতীয় রাকাত পড়ার জন্য উঠে সুরা ফাতিহার সঙ্গে অন্য কোন সূরা বা আয়াত মিলানো।
  • কিরাআত (সূরা বা অন্য আয়াত মিলানোর পর) শেষ করার পর তাকবির বলে দুই হাত কান পর্যন্ত উঠিয়ে তাকবীরে তাহরিমার মতো হাত বাঁধতে হবে।
  • তারপর দোয়া কুনুত পড়তে হবে। দোয়া কুনুত পরে পূর্বের ন্যায় রুকু সিজদার পর শেষ তাশাহুদ, দরুদ, দোয়া মাসুরা পড়তে হবে।
  • তাশাহুদ, দরুদ, ও দোয়া মাসুরা পড়ার পর সালাম ফিরানোর মাধ্যমে বেতের নামাজ শেষ করতে হবে।
এশার নামাজের পর আমলঃ এশার নামাজের পর ১০ বার দরুদ শরীফ পাঠ করলে পাঠকারী কিয়ামতের দিন রাসুল (সা) এর শাফাআত লাভ করবে। এশার নামাজের পর ''হুয়াল লাতিফুল খাবীর'' পাঠ করা উত্তম। এশার নামাজের পর সূরা মুলক পাঠ করলে অনেক ভালো ফজিলত পাওয়া যায়। নবী করীম (সা) সূরা মুলক পাঠ করা ছাড়া ঘুমাতেন না। সুতরাং এর গুরুত্ব অনেক।

উপসংহার

প্রিয় পাঠক এশার নামাজ কয় রাকাত - এশার নামাজের নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জানতে পেরেছেন। নামাজই একমাত্র পথ যার ফলে দুনিয়া ও আখেরাতের কল্যাণ সুনিশ্চিত করা যায়। তাই প্রত্যেক মুসলিম নর নারীর উচিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করার মাধ্যমে আমরা আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করতে সক্ষম হব।


এতক্ষণ আমার লেখা আর্টিকেলটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আমার লেখা আর্টিকেলটি পড়ে আপনারা যদি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে আপনাদের বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিবেন। এরকম আরো নতুন নতুন আর্টিকেল পেতে আমার ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

Umme Haney'র নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url