Ielts ছাড়া ইউরোপের কোন কোন দেশে যাওয়া যায়

প্রিয় পাঠক, আপনি যদি Ielts ছাড়া ইউরোপের কোন দেশে যেতে চান, তবে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্যই। আজকের এই আর্টিকেলে আপনাদের সাথে আলোচনা করব Ielts ছাড়া ইউরোপের কোন কোন দেশে যাওয়া যায় এই বিষয় নিয়ে। আশা করি আপনাদের অনেক ভালো লাগবে আমাদের এই আর্টিকেলটি পড়ে এবং অনেক উপকারে আসবে।
Ielts ছাড়া ইউরোপের কোন কোন দেশে যাওয়া যায়
আপনারা যদি এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে পারেন তাহলে অবশ্যই আপনারা আপনাদের কাঙ্খিত সব প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।

ভূমিকা

ইউরোপের মধ্যে এমন অনেক দেশ আছে যে দেশগুলোতে যাওয়ার জন্য বাধ্যতামূলক Ielts করতে হয়। আবার ইউরোপের এমন কিছু দেশ আছে, যে গুলোতে আপনি Ielts ছাড়াই যেতে পারবেন। আজকে আমরা ইউরোপের সেই দেশগুলোর নাম সম্পর্কে জানাবো যে দেশগুলোতে আপনি Ielts ছাড়াই যেতে পারবেন।


এছাড়াও এই আর্টিকেলটি পড়লে আপনারা আরো জানতে পারবেন, কম খরচে ইউরোপের কোন দেশে যাওয়া যায়, ইউরোপের কোন দেশের ভিসা সহজে পাওয়া যায়,আইইএলটিএস ছাড়া স্কলারশিপ, সরকারিভাবে কোন কোন দেশে যাওয়া যায়, ইউরোপের কোন দেশে যেতে কত টাকা লাগে এই সকল বিষয় বিস্তারিত ভাবে জানতে পারবেন।

Ielts ছাড়া ইউরোপের কোন কোন দেশে যাওয়া যায়

Ielts ছাড়া আপনি ইউরোপের অনেক দেশে যেতে পারবেন। এসব দেশে কাজ করার জন্য হোক কিংবা পড়াশোনা করার জন্য, কোন প্রকার Ielts স্কোর প্রয়োজন হবে না। আপনি যদি লেখাপড়া করার জন্য অন্য দেশে যেতে চান এবং আপনার Ielts স্কোর ভালো না হয়, তবে Ielts ছাড়া ইউরোপের অনেক দেশে যেতে পারবেন।


আমাদের মধ্যে যে সকল মানুষ জানতে চান যে,Ielts ছাড়া কোন কোন দেশে যাওয়া যায়। তাদের জন্য এবার বেশ কিছু দেশের নাম শেয়ার করা হলো। যে দেশগুলোতে আপনি Ielts ছাড়াই যেতে পারবেন। যে দেশগুলোতে আপনি কোন প্রকার Ielts না করেও উচ্চ শিক্ষা নিতে পারবেন। আর সেই দেশগুলোর নাম নিচের তালিকায় শেয়ার করা হলো।
  • সুইজারল্যান্ড
  • পোল্যান্ড
  • ফ্রান্স
  • ইতালি
  • পর্তুগাল
  • হাঙ্গেরি
  • রোমানিয়া
  • ক্রোয়েশিয়া
  • বুলগেরিয়া
  • আইসল্যান্ড
  • আয়ারল্যান্ড
  • ডেনমার্ক
  • ফিনল্যান্ড
  • অস্ট্রেলিয়া
  • নেদারল্যান্ড
  • স্পেন
  • সুইডেন
  • নরওয়ে
  • গ্রিস
  • সার্বিয়া
  • জাপান
  • থাইল্যান্ড
  • সুইডেন
  • ভিয়েতনাম
  • কানাডা
  • মালটা
উপরের তালিকায় আপনি মোট ২৬ টি দেশের নাম দেখতে পাচ্ছেন। তো আপনারা যারা Ielts ছাড়া বিদেশে পড়াশোনা করতে যাচ্ছেন তারা উপরের দেশগুলোতে যাওয়ার চেষ্টা করবেন। কেননা, এই দেশগুলোর অনেক বিশ্ববিদ্যালয় আছে যারা Ielts না করা শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা করার সুযোগ দেয়। আপনিও যদি এসব দেশে যেতে চান তবে কোন প্রকার Ielts জানা লাগবে না।

কম খরচে ইউরোপের কোন দেশে যাওয়া যায়

দেশে অধিকাংশ মানুষ বিদেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে ইউরোপের দেশগুলোকে প্রাধান্য দিয়ে থাকে। কারণ ইউরোপের প্রায় সব দেশেই জীবনযাত্রার মান উন্নত। ঘুরে বেড়ানো থেকে শুরু করে জীবিকার জন্য সকলের ইচ্ছা থাকে ইউরোপীয় দেশগুলোতে যাবার। কম খরচে ইউরোপে কোন কোন দেশের যেতে পারবেন তার তালিকা সম্পর্কে আজ আমরা আলোচনা করব।

কম খরচে ইউরোপে যে সকল দেশে যাওয়া যায়,
  • সুইজারল্যান্ড
  • নেদারল্যান্ড
  • ফ্রান্স
  • মালটা
  • পর্তুগাল
উপরে এই দেশগুলোতে বাংলাদেশ থেকে কম খরচে যেতে পারবেন। নিচে দেশগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা হলো। চলুন তাহলে শুরু করি।

সুইজারল্যান্ডঃ খরচের কথা চিন্তা করলে কম খরচে ইউরোপ ভ্রমণ করার জন্য সবচেয়ে ভালো দেশ হতে পারে সুইজারল্যান্ড। সুইজারল্যান্ডকে ইউরোপের হৃদপিন্ড বলা হয়। সুইজারল্যান্ডের সৌন্দর্য আপনাকে মোহিত করবেই। প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে ইউরোপে ভ্রমণের জন্য যে সকল দেশে যাওয়া যায় তার মধ্যে অন্যতম হলো সুইজারল্যান্ড।

বর্তমানে সুইজারল্যান্ডের ভিজিটি ভিসা এবং স্টুডেন্ট ভিসা সহজে পাওয়া যাচ্ছে। আর ইউরোপের অন্যান্য দেশে তুলনায় সুইজারল্যান্ডে খরচ অনেক কম।

নেদারল্যান্ডঃ কম খরচে ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে নেদারল্যান্ড হলো অন্যতম। কারণ নেদারল্যান্ড ভিসার জন্য আপনাকে বেশি শর্ত মানতে হবে না। এছাড়া বেশি টাকা খরচ করতে হবে না। আবার বাংলাদেশ থেকে যারা পড়াশোনা করতে নেদারল্যান্ড ভিসার জন্য আবেদন করবে তাদের জন্য রয়েছে সুবর্ণ সুযোগ।

এর কারণ হলো ইউরোপের একটি মাত্র দেশে স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়া যায় একদম সহজ হবে সেটি হলো নেদারল্যান্ড। তাহলে আর দেরি না করে আপনারা যারা পড়াশোনা জন্য নেদারল্যান্ড যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছেন তারা খুব কম খরচের মাধ্যমে যেতে পারবেন।

ফ্রান্সঃ ফ্রান্স অর্থনৈতিকভাবে বেশ শক্তিশালী একটি দেশ। ফ্রান্সের টুরিস্ট ভিসা পাওয়া যায় সহজেই। তবে সে ক্ষেত্রে ভিসা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে শর্তগুলো পূরণ করতে হবে। ফ্রান্স স্টুডেন্ট ভিসাও সহজে পাওয়া যায়। কিন্তু কাজের জন্য ভিসা পাওয়া কিছুটা কঠিন। তবে নিয়ম মেনে চেষ্টা করলে খুব সহজে কাজের জন্য ভিসা পেয়ে যাবেন।


মালটাঃ ইউরোপের অন্যতম একটি সুন্দর দেশ মালটা। মালটাকে দ্বীপের দেশ বলা হয়। কারণ সাতটি দ্বীপ নিয়ে মালটা দেশ গঠিত হয়, যা মালটাকে আরো সুন্দর করে তুলেছে। প্রত্যেক বছর বিভিন্ন দেশ থেকে মালটা হাজার হাজার লোক আমদানি করে কাজের উদ্দেশ্যে। আপনি যদি ইউরোপে দেশ মালটার কাজে উদ্দেশ্যে যে চান তাহলে সহজে ভিসা পেয়ে যেতে যাবেন।

বর্তমানে বাংলাদেশ ও ভারত থেকে মালটার ভিসা নিয়ে হাজার হাজার মানুষ মালটায় যাচ্ছেন। মালটা ওয়ার্ক পারমিট ছাড়াও স্টুডেন্ট ভিসা এবং ভ্রমণ ভিসা সহজে পাওয়া যাচ্ছে। ইউরোপের অন্য দেশগুলোর তুলনায় মালটা যেতে খরচ বেশ কম।

পর্তুগালঃ অভিবাসীদের স্বর্গ বলা হয় পর্তুগালকে। কারণ পর্তুগালের নাগরিকত্ব পাওয়া সবচেয়ে সহজ। পর্তুগালে কাজের জন্য ভিসা পাওয়া বেশ সহজ। পর্তুগালের নাম শুনলে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে মনে পড়ে যায়। সেই রোনালদোর দেশে আপনি চাইলে কাজের ভিসা নিয়ে বাংলাদেশ থেকে দিতে পারবেন।

অন্যতম ধনী দেশ পর্তুগালের ভিজিট ভিসা, ওয়ার্কিং ভিসা, এবং স্টুডেন্ট ভিসায় যাওয়া যায়। পর্তুগালে যেতে বাংলাদেশ থেকে আপনাকে খুব বেশি খরচ করতে হবে না। কম খরচে ইউরোপের যে সকল দেশে যাওয়া যায় তার মধ্যে অন্যতম একটি দেশ হলো পর্তুগাল।

ইউরোপের কোন দেশের ভিসা সহজে পাওয়া যায়

আমাদের দেশ থেকে প্রত্যেক বছর হাজার হাজার মানুষ ইউরোপের দেশগুলোতে যেতে চাচ্ছে। কারণ ইউরোপের দেশে বসবাস করা অনেকটা স্বপ্নের মত। কারণ ইউরোপের শেনজেনভুক্ত একটি দেশের ভিসা পেলে ২৭টি দেশে বিনা ভিসায় ভ্রমণ করা যায়। বর্তমানে ইউরোপে যে দেশগুলোতে ভিসা সহজে পাওয়া যায় সেগুলোর মধ্যে রয়েছে-
  • হাঙ্গেরি
  • পর্তুগাল
  • মালটা
  • নেদারল্যান্ড
  • সুইজারল্যান্ড
  • লিথুনিয়া
  • লাটভিয়া
হাঙ্গেরি ভিসাঃ
পড়াশোনা করার জন্য বাংলাদেশ ও ভারত থেকে ভিসা নিয়ে অনেক ছাত্রছাত্রী উচ্চ শিক্ষার জন্য হাঙ্গেরিতে যায়। ইউরোপের একটি সহজে ভিসা পাওয়ার দেশ হচ্ছে হাঙ্গেরি। খুব শীঘ্রই হাঙ্গেরিতে যাওয়ার জন্য কাজের ভিসা চালু করা হবে। তাই ইউরোপ মহাদেশের ভিসা পেতে হলে হাঙ্গেরি দেশে যেতে পারেন।

পর্তুগালের ভিসাঃ
ইউরোপের অন্যান্য দেশগুলোর মতো পর্তুগালে বসবাস করা অনেকটা স্বপ্নের মত। পর্তুগালের কাজের জন্য ভিসা পাওয়া বেশ সহজ। এছাড়া ভ্রমণও পড়াশোনা জন্য সহজে ভিসা পাওয়া যায়। তবে স্টুডেন্ট ভিসা পেতে হলে IELTS স্কোর কমপক্ষে ৬.00 থাকতে হবে। পর্তুগাল আসার সবচেয়ে সহজ উপায় হলো চাকরির ভিসা খুব সহজে এখানে আসা যায়।

মালটার ভিসাঃ
ইউরোপের আরেক উন্নত দেশ হচ্ছে মালটা। এদেশের বর্তমানে ভিসার হার ৯১%। যেহেতু মালটা দেশটির চারপাশে সমুদ্র দিয়ে ঘেরা। তাই এদেশের শিপওয়ার্কের জন্য লোকের চাহিদা বেশি। তাছাড়া মালটা দেশের লোকেরা খুব ভোজনরসিক হয়ে থাকে। এ দেশের তাই রেস্টুরেন্টের সংখ্যা তুলনামূলক বেশি। তাই এদেশে আপনি চাইলে রেস্টুরেন্টের জব ভিসা দিতে পারবেন।

নেদারল্যান্ডের ভিসাঃ
নেদারল্যান্ডস এমন একটি দেশ যেখানে স্টুডেন্ট ভিসা খুব সহজেই পাওয়া যায়। এই দেশে স্টুডেন্ট ভিসার সাফল্যের হার ৯৯%। আপনি যদি নেদারল্যান্ডে আসতে চান আপনার অবশ্যই একটি বাধ্যতামূলক IELTS থাকতে হবে। আপনার যদি IELTS ৬.৫ থাকে তবে আপনি খুব সহজে নেদারল্যান্ড আসতে পারবেন।

সুইজারল্যান্ড ভিসাঃ
পর্যটনের অন্যতম একটি দেশ সুইজারল্যান্ড সব সময় বিশেষ করে বিভিন্ন দেশ থেকে এর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখার জন্য পর্যটকরা ভিড় জমান। বাংলাদেশ থেকে অনেক মানুষ স্টুডেন্ট ভিসা এবং টুরিস্ট ভিসা নিয়ে সুইজারল্যান্ডে যায়। সহজেই সুইজারল্যান্ডের টুরিস্ট ভিসা পাওয়া যায় বলে মানুষের পছন্দের তালিকায় সুইজারল্যান্ড থাকে।

লিথুনিয়া ভিসাঃ 
ইউরোপের অন্যতম দেশ হলো লিথুনিয়া। সুইডেন এর বিপরীত পাশে এই দেশটির শিক্ষার হার প্রায় ৯৯%। লিথুনিয়া দেশটিতে বাংলাদেশ থেকে সবচেয়ে বেশি স্টুডেন্ট ভিসায় সুবিধা পাওয়া যায়। ইউরোপের অন্যান্য দেশের মতো এই পৃথিবীর অনেক সুন্দর একটি দেশ। তাই প্রতিবছর হাজার হাজার পর্যটক এই দেশটিতে সৌন্দর্য উপভোগ করতে যায়।

লাটভিয়া ভিসাঃ
সাগরের পূর্ব দিকে অবস্থিত ভিসা পাওয়ার জন্য লাটভিয়া অনেক সহজ একটি দেশ। এছাড়া কাজের জন্য দেশটি ভিসা দিয়ে থাকে। সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী ইউরোপের দেশগুলো ভিসা পাওয়ার হার অনেক বেশি। সব ধরনের প্রক্রিয়া সঠিকভাবে গ্রহণ করলে খুব সহজেই পেয়ে যাবেন ভিসা।

আইইএলটিএস ছাড়া স্কলারশিপ

আমরা অনেকেই জানতে চাই যে, আইইএলটিএস ছাড়া স্কলারশিপ পাওয়া যাবে কিনা। তো যারা এই বিষয়ে জানতে চান, তাদের বলবো আপনি অবশ্যই আইইএলটিএস ছাড়া স্কলারশিপ পাবেন। বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর বিপুল শিক্ষার্থী বিদেশে পড়তে যান। বিদেশে উচ্চ শিক্ষায় ভাষাগত যোগ্যতা প্রয়োজন।বিশ্বের অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয় পড়াশোনার মাধ্যমে ইংরেজি।


তাই আন্তর্জাতিক এই ভাষার দক্ষতার প্রমাণ একটি পরীক্ষা দিতে হয়। যা আইইএলটিএস নামে পরিচিত। কিন্তু ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা প্রমাণে আইইএলটিএস নিয়ে হয়তো পিছিয়ে পড়েছেন অনেকে। তবে তাদের জন্য নতুন সুযোগ তৈরি হয়েছে। আইইএলটিএস ছাড়া স্কলারশিপ পেতে চান তারা ইউরোপের বেশ কিছু দেশকে টার্গেট করতে হবে।

জার্মানিতে আইইএলটিএস ছাড়া স্কলারশিপঃ অল্প বাজেটে ভালো বিশ্ববিদ্যালয় পড়াশোনা করতে জার্মান দেশটিকে বেছে নিতে পারেন। তাছাড়া প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে এই দেশটির শিক্ষা কার্যক্রম ইউরোপের অন্যান্য দেশের শিক্ষার কার্যক্রমের চাইতে বেশ উন্নত। এক্ষেত্রে বেশ কিছু নির্দিষ্ট জার্মান বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজ রয়েছে যেখানে পড়তে হলে আপনাকে কোন আইইএলটিএস এক্সাম দিতে হবে না।

অস্ট্রিয়ায় আইইএলটিএস ছাড়া স্কলারশিপঃ অস্ট্রিয়ার শিক্ষা ব্যবস্থা খুবই মানসম্মত। অস্ট্রিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বদা বিশ্ব র‍্যাঙ্ককিং শীর্ষ সারিতে থাকে। বর্তমানে অস্ট্রিয়া পড়তে যাওয়ার শিক্ষার্থীর সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর প্রধান কারণ হচ্ছে অস্ট্রিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে রয়েছে বিনা বেতনে উচ্চশিক্ষা অর্জনের সুযোগ।

সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিষয় হলো অস্ট্রিয়ার বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির জন্য আইইএলটিএস দরকার হয় না। এর পাশাপাশি থাকে সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন স্কলারশিপ পাওয়ার সুযোগ।

কানাডায় আইইএলটিএস ছাড়া স্কলারশিপঃ কানাডায় ৫টি বিশ্ববিদ্যালয় আইইএলটিএস ছাড়া স্কলারশিপের সুযোগ দিচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় নামগুলো হল কার্লটন বিশ্ববিদ্যালয়, কনকর্ডিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, ইউনিভার্সিটি অব উইনিপেক, ইউনিভার্সিটি অব সাসকাচেওয়ান, ইউনিভার্সিটি অব ব্রিটিশ কলম্বিয়া। 

পোল্যান্ডের আইইএলটিএস ছাড়া স্কলারশিপঃ আইইএলটিএস ছাড়াই পোল্যান্ডের বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যয়নের জন্য আবেদন করার সুযোগ রয়েছে। পোল্যান্ডের অনেক বিশ্ববিদ্যালয় আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের ইংরেজিতে দক্ষতা প্রমাণের জন্য আইইএলটিএস বা টোফেলের পরীক্ষা দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে অভিবাসনের জন্য। তবে কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান আইইএলটিএস ছাড়াই শিক্ষার্থীদের ভর্তি সুযোগ দেয়।

সরকারিভাবে কোন কোন দেশে যাওয়া যায়

বিদেশে যাওয়ার স্বপ্ন সবার থাকে। তবে সেটা যদি সরকারি ভাবে যাওয়া হয় তাহলে সেটা বিশ্বাসযোগ্য ও নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হয়। বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছরের প্রায় অসংখ্য মানুষ বিদেশে কাজের উদ্দেশ্যে গিয়ে থাকেন। বর্তমানে সরকারিভাবে বিভিন্ন দেশে গমন করা যায়।সরকারিভাবে বিদেশে ভ্রমনের আগে সরকারিভাবে যে সকল দেশে ভ্রমণ করা যায় তা জানা প্রয়োজন।


বর্তমানে আপনি পৃথিবীর মোট ১৭২ টি দেশে সরকারি ভাবে যেতে পারবেন। আর যারা আসলে জানতে চান সরকারিভাবে কোন কোন দেশে যাওয়া যায়।বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে সরকারিভাবে অনেকগুলো দেশই ভ্রমণ করা যায়। চলুন জেনে নেই চলতি বছরে খুব সহজেই সরকারিভাবে যে সকল দেশের ভ্রমণ করা যায়, সেই সব দেশের নামের তালিকা নিচে দেওয়া হল-
  • সৌদি আরব
  • সংযুক্ত আরব আমিরাত
  • মালয়েশিয়া
  • ওমান
  • কাতার
  • কুয়েত
  • সিঙ্গাপুর
  • অস্ট্রেলিয়া
  • ভারত
  • সুইজারল্যান্ড
  • মালদ্বীপ
  • লন্ডন
  • নিউজিল্যান্ড
  • জাপান
  • থাইল্যান্ড
  • শ্রীলংকা
  • চীন
  • ফিনল্যান্ড
  • ডেনমার্ক
  • ফ্রান্স
  • ইরাক
  • জর্ডান
  • ইতালি
  • বাহারাইন
  • দুবাই
  • জার্মানি
  • আয়ারল্যান্ড
  • নরওয়ে
  • যুক্তরাজ্য
  • যুক্তরাষ্ট্র
  • জর্ডান
  • ফ্রান্স
  • কম্বোডিয়া
  • দক্ষিণ কোরিয়া
  • নেপাল
  • ভুটান
  • জ্যামাইকা
  • লিবিয়া
  • রোমানিয়া
  • ইরাক
  • মরিশাস
উল্লিখিত দেশগুলো ছাড়াও আরো অনেক দেশ রয়েছে যেসব দেশে সরকারিভাবে যাওয়া যায়।

ইউরোপের কোন দেশে যেতে কত টাকা লাগে

উন্নত বিশ্বের প্রধান দেশগুলোর মধ্যে ইউরোপীয় দেশগুলো অন্যতম। সব মানুষেরই স্বপ্ন রয়েছে ইউরোপের কোন এক দেশে যাওয়ার জন্য।অন্যান্য দেশে তুলনায় ইউরোপের দেশগুলোতে যেতে অনেক বেশি পরিমাণ টাকা লাগে। তবে এটা সম্পূর্ণ নির্ভর করে আপনি ইউরোপের কোন দেশে যেতে চাচ্ছেন তার উপরে।


স্বাভাবিকভাবেই উন্নত সেই দেশগুলোতে সহজে ভিসা পাওয়া যায় না এবং ভিসার খরচও খুব বেশি থাকে। ইউরোপে যাওয়ার স্বপ্ন থাকলে অবশ্যই জানতে হয় ইউরোপে কোন দেশে যেতে কত টাকা লাগে। আজ আমরা এখানে ইউরোপের কোন কোন দেশে যেতে কত টাকা লাগে এই বিষয়ে তথ্য শেয়ার করব। তো চলুন সময় নষ্ট না করে শুরু করা যাক।

বাংলাদেশ থেকে ইউরোপ যেতে কত টাকা লাগে

সাধারণত বাংলাদেশ থেকে ইউরোপ যেতে ৮-১০ লক্ষ টাকা লাগে। তবে ইউরোপের বিভিন্ন দেশের জন্য বাংলাদেশ থেকে যাওয়ার খরচ কম বেশি হয়ে থাকে। এবার জেনে নেওয়া যাক বাংলাদেশ থেকে ইউরোপের কোন দেশে যেতে কত টাকা লাগে।

সুইজারল্যান্ড যেতে কত টাকা লাগেঃ
বর্তমানে ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় সুইজারল্যান্ড যাওয়া কঠিন। তবে কাজের বিষয়ে সুইজারল্যান্ড যেতে ৮-১০ লক্ষ টাকা প্রয়োজন। এজেন্সির মাধ্যমে গেলে এই খরচ ১২-১৬ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। পৃথিবী ছাড়া সৌন্দর্যের দেশ সুইজারল্যান্ডে ভিজিট ভিসায় গিয়ে ভ্রমণ করে আসতে ৪-৫ লক্ষ টাকা খরচ হতে পারে।

পর্তুগাল যেতে কত টাকা লাগেঃ
অনেকেই জানতে চাচ্ছেন পর্তুগাল যেতে কত খরচ হয়। আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে পর্তুগাল যেতে চান তাহলে আপনার খরচ পড়বে প্রায় ৮ লক্ষ টাকা থেকে ৯ লক্ষ টাকা। অনেক সময় কোন এজেন্সি বা দালালের মাধ্যমে ভিসা করলে টাকা কম বেশি হতে পারে। আপনি সঠিকভাবে একটি এজেন্সির মাধ্যমে কন্টাক করে নিতে পারবেন। আপনি ৯ লক্ষ টাকা বাজেট করলে পর্তুগাল যেতে পারবেন।

ইতালি যেতে কত টাকা লাগেঃ
ইতালি যাওয়ার জন্য চার প্রকার ভিসা আছে। সিজনাল ভিসা, নন সিজনাল ভিসা, স্টুডেন্ট ভিসা ও ভিজিট ভিসা। সিজনাল ভিসায় তিন থেকে ছয় মাস অবস্থান করা যায় ও ৪ লাখ টাকা লাগে। নন সিজনাল ভিসা হল ওয়ার্ক ভিসা। এর জন্য ৯-১০ লাখ থেকে ১৮ লাখ টাকা লাগতে পারে। স্টুডেন্ট ভিসার জন্য খরচ ৬০ হাজার টাকা। ভিজিট বা ভ্রমন ভিসার খরচ ৪ লাখ টাকা।

ইংল্যান্ড যেতে কত টাকা লাগেঃ
বাংলাদেশের সিলেটের বেশিরভাগ মানুষ ইংল্যান্ডে বসবাস করে থাকে। ইংল্যান্ড যেতে চাইলে আপনার পরিচিত লোকের প্রয়োজন হবে। ইংল্যান্ড বা লন্ডনে যদি আপনার পরিচিত কেউ থাকে সেক্ষেত্রে আপনার ভিসা পেতে কোন সমস্যা হবে না। আর সেখান থেকে ভিসা আবেদন করে এবং ভিসা প্রসেসিং করে দিবে। আর আপনি তিন মাসের মধ্যে সেখানে যেতে পারবেন।

তখন আপনার খরচ পড়বে সর্বোচ্চ ৫ লক্ষ টাকার মত। যদি আপনার পরিচিত কেউ না থাকে সে ক্ষেত্রে আপনাকে ভিজিট ভিসা বা স্টুডেন্ট ভিসাতে ইংল্যান্ডে যেতে হবে। সে ক্ষেত্রে আপনার খরচ পড়বে ৪ লক্ষ টাকার মত।

জার্মানে যেতে কত টাকা লাগেঃ
জার্মানি যেতে ভিসা ফি, ভিসা প্রসেসিং, এয়ার টিকেট এবং আনুষঙ্গিক খরচ সহ মোট ৮-১২ লক্ষ টাকা লেগে থাকে। ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় জার্মানি যেতে চাইলে এই পরিমাণ খরচ হবে। তবে আপনি যদি জার্মানি উচ্চ শিক্ষার জন্য যেতে চান, তবে ৯-১০ লক্ষ টাকার মাঝে যেতে পারবেন। তবে এজন্য প্রথমেই জার্মানির ব্যাংক একাউন্টে নির্ধারিত পরিমাণে অর্থ জমা করতে হবে।

রোমানিয়া যেতে কত টাকা লাগেঃ
ইউরোপের যে দেশে যাওয়া সহজ তার মধ্যে অন্যতম একটি দেশ হলো রোমানিয়া। রোমানিয়ায় অনেক বাংলাদেশী কাজ করে থাকেন। আর বাংলাদেশ থেকে সহজেই রোমানিয়ার ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়া যায়। বাংলাদেশ থেকে রোমানিয়া কাজের ভিসা পেতে সাত থেকে আট মাস সময় লাগে আর খরচ হয় ৭-৮ লক্ষ টাকা। অন্যান্য ইউরোপের দেশ থেকে রোমানিয়াতে সহজে ভিসা পাওয়া যায়।

লেখকের মন্তব্য

প্রিয় পাঠক বন্ধুরা আমাদের আজকের আর্টিকেলটি থেকে আপনারা আইইএলটিএস ছাড়া ইউরোপের কোন কোন দেশে যাওয়া যায় সেই সকল প্রকার তথ্য আপনারা সংগ্রহ করতে পেরেছেন। আশা করি আপনাদের অনেক ভালো লেগেছে আমাদের এই আর্টিকেলটি। আর্টিকেলটি ভালো লাগলে ফ্রেন্ডস এবং ফ্যামিলির সাথে শেয়ার করতে পারবেন।


আমাদের মধ্যে এমন অনেক মানুষ আছেন। যারা আসলে জানতে চায় যে, আইইএলটিএস ছাড়া ইউরোপের কোন কোন দেশে যাওয়া যায় তো যারা আসলে এই বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলেন আশা করি আপনারা আপনাদের সঠিক প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পেয়েছেন। এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

Umme Haney'র নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url