কোন দেশে কত ielts স্কোর লাগে
বিশ্বজুড়ে IELTS হচ্ছে সবচেয়ে স্বীকৃতিদিন পরীক্ষা।যারা উচ্চ শিক্ষার জন্য দেশের বাহিরে পাড়ি জমাতে ইচ্ছুক তাদের কোন দেশে IELTS স্কোর কত লাগে এটি জেনে রাখা আবশ্যক। আজকের এই পোস্টে কোন দেশে কত ielts স্কোর লাগে তা নিয়ে বিস্তারিত বিস্তারিত আলোচনা করব। পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়লে গুরুত্বপূর্ণ সকল তথ্য জানতে পারবেন।
কোন দেশে কেমন স্কোর প্রয়োজন তা অনেকেই জানেন না। চলুন আজকের এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে কোন দেশে কত ielts স্কোর লাগে তা জেনে নেওয়া যাক।
ভূমিকা
ইংরেজি হচ্ছে একটি আন্তর্জাতিক ভাষা। তাই বিশ্বের অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনার মাধ্যম হচ্ছে ইংরেজি। তাই বিদেশে উচ্চ শিক্ষার জন্য ইংরেজি জানা আবশ্যক। তাই বিদেশি লেখাপড়া করার জন্য ielts করা প্রয়োজনীয়। বিশ্বের অধিকাংশ দেশে ইংরেজি ভাষার উপর দক্ষতা যাচাই করা হয়ে থাকে ielts স্কোর এর ভিত্তিতে।
আরও পড়ুনঃ অনার্সে ফার্স্ট ক্লাস পাওয়ার উপায়
কোন দেশে কত ielts স্কোর লাগে,Ielts কোর্স কত দিনের,আইইএলটিএস খরচ,কোন দেশে সহজে স্কলারশিপ পাওয়া যায়,আইইএলটিএস এর মেয়াদ,Ielts করতে কত মাস সময় লাগে এ সম্পর্কিত বিষয়গুলো আজকে আপনারা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে জানতে পারবেন। এই বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
কোন দেশে কত ielts স্কোর লাগে
পুরো পৃথিবীজুড়ে ইংরেজি ভাষার উপর দক্ষতা নির্ধারণ করার জন্য যে পরীক্ষা নেওয়া হয়ে থাকে, সেটি হচ্ছে ielts বা International English Language Testing System। আপনার যদি ielts স্কোর ভালো থাকে, তবে বিশ্বের প্রায় ১৪০টিরও বেশি দেশে পারি জমাতে পারবেন। বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন ধরনের IELTS স্কোর লাগে। এক্ষেত্রে আপনি কোন দেশে যাবেন
তার ওপর ভিত্তি করে আপনার IELTS পরীক্ষার স্কোর করতে হয়। তো এবার আমি আপনাকে একটি তালিকা প্রদান করব। যে তালিকায় আপনি দেখতে পারবেন যে, কোন দেশে কত ielts স্কোর লাগে। আর উক্ত তালিকাটি নিচে দেওয়া হলো-
- অস্ট্রেলিয়া (৬.০-৭.০)
- কানাডা (৬.০-৬.৫)
- ফ্রান্স (৫.৫-৭.৫)
- আয়ারল্যান্ড (৬.০-৬.৫)
- নিউজিল্যান্ড (৬.০-৬.৫)
- আমেরিকা (৬.০-৬.৫)
- ইংল্যান্ড (৬.৫-৭.০)
- মালয়েশিয়া (৬.০-৬.৫)
- জার্মানি (৬.০-৬.৫)
- ইতালি (৬.০-৬.৫)
- কানাডা (৬.০)
- ইরান (৬.৫)
- স্পেন (৬.৫)
- ফ্রান্স (৬.৫)
বর্তমান সময়ে বিশ্বের কোন দেশে যেতে কত IELTS স্কোর দরকার হয়। তার মধ্যে কিছু দেশের নাম উপরের তালিকায় শেয়ার করা হয়েছে। ভিসার প্রকারভেদ ও দেশ অনুযায়ী Ielts স্কোরের পরিমাণ কম /বেশি হতে পারে।
Ielts কোর্স কত দিনের
Ielts পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য আপনাকে ইংরেজি ভালো জানতে হবে। যদি ইংরেজিতে দুর্বলতা থাকে,তবে বিভিন্ন অনলাইন কোর্স বা অফলাইন কোর্সে জয়েন করতে পারেন। অনেক প্রতিষ্ঠানে বাংলাদেশে Ielts কোর্স করাচ্ছে। Ielts কোর্স সাধারণত ১ মাস থেকে ৬ মাস অব্দি হয়ে থাকে।
ইংরেজিতে আপনার বেসিক দক্ষতা কেমন, তার ওপর নির্ভর করবে আপনি কত দ্রুত Ielts কোর্স শেষ করতে পারবেন। ইংরেজিতে ভালো হতে Ielts প্রিপারেশন কোর্স অনেক দ্রুত শেষ করতে পারবেন।
আইইএলটিএস খরচ
আইইএলটিএস পরীক্ষা দুইটি মাধ্যমে হয়ে থাকে। একটি হচ্ছে আইইএলটিএস অন পেপার এবং অন্যটি হচ্ছে আইইএলটিএস অন কম্পিউটার। আপনি যেকোনো একটির মাধ্যমে পরীক্ষা দিতে পারবেন। ব্রিটিশ কাউন্সিল অনুযায়ী, বর্তমানে আইইএলটিএস একাডেমিক পরীক্ষা অথবা জেনারেল ট্রেনিং পরীক্ষা ফি ২০,২৫০ টাকা। অর্থাৎ আইইএলটিএস একাডেমিক পরীক্ষা
আরও পড়ুনঃ পড়াশোনায় মন বসানোর পাঁচটি উপায়
বা জেনারেল ট্রেনিং যেকোনো একটি করতে ২০,২৫০ টাকা লাগবে। তবে এই পরীক্ষার ফি সাধারণত প্রতিবছরের নির্দিষ্ট হারে বাড়ে। যেমন গত বছর আইইএলটিএস পরীক্ষা দিতে ১৮,৭৫০ টাকা লাগতো। কিন্তু বর্তমানে আইইএলটিএস করার জন্য ২০,২৫০ টাকা খরচ করতে হয়। আশা করি আইইএলটিএস খরচ কেমন তার সঠিক তথ্য পেয়েছেন।
কোন দেশে সহজে স্কলারশিপ পাওয়া যায়
স্কলারশিপ নিয়ে যারা বাহিরের দেশে পড়তে চান আর্টিকেলটি শুধু তাদের জন্য। আজ আমরা শেয়ার করব কোন দেশের সহজে স্কলারশিপ পাওয়া যায় সে বিষয়ে একটি গাইডলাইন ভিত্তিক আলোচনা। এমন কিছু দেশ আছে যারা অন্যদের তুলনায় সহজ স্কলারশিপ পাওয়ার জন্য সবচেয়ে ভালো। সহজে স্কলারশিপ পাওয়া যায় এমন দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে-
- চীন
- জাপান
- জার্মানি
- পোল্যান্ড
- ইতালি
- ফ্রান্স
- সৌদি আরব
- ভারত
- গ্রিস
- অস্ট্রেলিয়া
- ইতালি
- স্পেন
- চেক রিপাবলিক
- তাইওয়ান
- নরওয়ে
- বেলজিয়াম
- আর্জেন্টিনা
- ব্রাজিল
আইইএলটিএস এর মেয়াদ
ইমিগ্রেশনের অ্যাপ্লিকেশানের গুরুত্ব আপনাকে আইইএলটিএস পরীক্ষা দিতে হবে। একবার আইইএলটিএস পরীক্ষা দিলে এর মেয়াদ থাকবে ২ বছর। তবে আপনি যখন ইমিগ্রেশন এর জন্য চূড়ান্ত ভাবে এপ্লাই করবেন তার ১.৫ বছর আগের সময়ের মধ্যে যদি আপনার আইইএলটিএস পরীক্ষা দেয়া থাকে, তাহলে সেটা দিয়েই আপনি অ্যাপ্লাই করতে পারবেন,
আরও পড়ুনঃ ssc তে golden a+ পাওয়ার উপায়
এপ্লাই করতে পারবেন,অর্থাৎ এপ্লাইয়ের সময় অন্তত ছয় মাস মেয়াদ থাকা লাগবে।তবে একবার ফাইনাল অ্যাপ্লিকেশন সাবমিট করার পরে আপনার ielts এর মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে সাধারণত আপনাকে আর আরইএলটিএস পরীক্ষা দিতে হবে না। অনেক সময় ইমিগ্রেশন কর্তৃক প্রয়োজন মনে করলে আবার স্কোর চাইতে পারে সেটা ব্যতিক্রম।
Ielts করতে কত মাস সময় লাগে
আপনি যে দেশে যেতে চাচ্ছেন সেটার উপরে Ielts স্কোরের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক রেখে আপনারIelts স্কোরের টার্গেট করতে হবে। Ielts করতে কত মাস সময় লাগবে তা সাধারণত নির্ভর করে আপনার বেসিক ইংরেজি দক্ষতার উপর। যদি আপনার বেসিক ইংরেজি দক্ষতা ভালো হয় তাহলে আপনার তিন মাসের প্রিপারেশনে যথেষ্ট Ielts কমপ্লিট করতে। আর যদি বেসিক ভালো না হয় তাহলে প্রায় ছয় মাস সময় লাগবে। তাই লক্ষ্য ঠিক করে Ielts প্র্যাকটিস করা উচিত।
শেষ কথা
আজকের এই পোস্টে আপনাদের সাথে কোন দেশে Ielts স্কোর কত লাগে তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।আপনি যদি সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই এতক্ষণে জেনে গেছেন কোন দেশে যেতে কত স্কোর লাগবে। আপনি যদি পোস্টটি পড়ে উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনাদের বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করবেন।
Umme Haney'র নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url