মেকআপ করার জিনিসের নাম ও দাম

মানুষ সৌন্দর্যের পূজারী। নিজের সৌন্দর্য বাড়াতে কে না ভালোবাসে? মেকআপ হলো মানুষের সৌন্দর্য বর্ধনের অস্ত্র। অনেকেই আছেন মেকআপ করার জিনিসের নাম ও দাম সম্পর্কে জানেন না। আজকের এই আর্টিকেলে আপনাদের মেকআপ করার জিনিসের নাম ও দাম সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানাবো। তাহলে আপনারা আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন।
মেকআপ করার জিনিসের নাম ও দাম
প্রিয় পাঠক আপনারা যারা মেকআপ করার জিনিসের নাম ও দাম জানার জন্য ইন্টারনেটের সার্চ করে থাকেন তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেলটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

ভূমিকা

সুন্দর হচ্ছে আল্লাহতালার একটি বড় নেয়ামত আর এই সৌন্দর্য বাড়ানোর জন্য অনেক ধরনের কসমেটিক মেকআপ ব্যবহার করে থাকেন মেয়েরা। এমন কোন মেয়ে নেই যে মেকআপ করতে পছন্দ করে না। আজকের এই আর্টিকেলটি পড়লে জানতে পারবেন মেকআপ করার জিনিসের নাম ও দাম সম্পর্কে।


এছাড়াও আরো জানতে পারবেন মেকআপ করার জিনিসের নাম ও ব্যবহার, ভালো ফাউন্ডেশনের নাম ও দাম, ঘরে বসে মেকআপ করার নিয়ম, কোন ব্র্যান্ডের মেকআপ ভালো, প্রাইমার মেকাপের জিনিসের নাম এই সকল বিষয়ে আপনারা খুব ভালোভাবে জানতে পারবেন। তাহলে চলুন দেরি না করে শুরু করা যাক।

মেকআপ করার জিনিসের নাম ও দাম

বর্তমান সময়ে মেয়েরা সুন্দর থাকার জন্য নিত্য নতুন মেকআপ করে থাকেন। নিজেকে যদি সবার মাঝে সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই নিজেই সাজসজ্জার দিকে অনেক বেশি কেয়ারফুল হতে হবে তাই ভালো ব্র্যান্ডের রুচিশীল যে সমস্ত মেকআপ রয়েছে সেগুলো ব্যবহার করতে হবে। নিচে মেকআপ করার জিনিসের নাম ও দাম উল্লেখ করে দেওয়া হল।
  • ময়েশ্চারাইজার।
  •  দামঃ ২০০ টাকা থেকে শুরু করে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।
  • প্রাইমার।
  •  দামঃ ৫০ টাকা থেকে শুরু করে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।
  • কনসিলার।
  •  দামঃ ১০০ টাকা থেকে শুরু করে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।
  • ফাউন্ডেশন।
  •  দামঃ ১০০ টাকা থেকে শুরু করে ১০-১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।
  • ফেস কমপ্যাক্ট।
  •  দামঃ১০০ টাকা থেকে শুরু করে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।
  • মেকআপ স্পঞ্জ।
  •  দামঃ৫০ টাকা থেকে শুরু করে ২০০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।
  • মেক আপ ব্লাশার।
  •  দামঃ১০০ টাকা থেকে শুরু করে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।
  • আইশ্যাডো।
  •  দামঃ ১০০ টাকা থেকে শুরু করে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।
  • লিপবাম।
  •  দামঃ ২০ টাকা থেকে শুরু করে ১ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।
  • বেসিক লিপস্টিক প্যালেট
  •  দামঃ ২০০ টাকা থেকে শুরু করে ১ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।
  • আইভ্রু কিট।
  •  দামঃ ৮০ টাকা থেকে শুরু করে ৯ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।
  • আইলানার।
  •  দামঃ ৫০ টাকা থেকে শুরু করে ১ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।
  • লিপ লাইনার।
  •  দামঃ৩০ টাকা থেকে শুরু করে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।
  • সেটিং পাউডার।
  •  দামঃ ১৫০ টাকা থেকে শুরু করে ৫০০ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।
  • সেটিং স্প্রে। 
  • দামঃ ১০০ টাকা থেকে শুরু করে ৩-৪ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।
  • বিউটি ব্লেন্ডার। 
  • দামঃ৫০ টাকা থেকে শুরু করে ৫০০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।
  • মেকআপ ব্রাশ সেট। 
  • দামঃ ১৫০ টাকা থেকে শুরু করে ৮ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।
  • কাজল। 
  • দামঃ ১০ টাকা থেকে শুরু করে ১ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।
  • মাসকারা। 
  • দামঃ ৪০ টাকা থেকে শুরু করে ৬ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।
  • হাতের ক্রিম। 
  • দামঃ১০০ টাকা থেকে শুরু করে ৫০০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।
  • নেইল পেইন্ট। 
  • দামঃ ১০০ টাকা থেকে শুরু করে ১ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।
  • ঠোটের আভা। 
  • দামঃ ২৫০টাকা
  • লিপস্টিক। 
  • দামঃ ৫০ টাকা থেকে শুরু করে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।
  • ব্রোঞ্জার। 
  • দামঃ ৮৩ টাকা থেকে শুরু করে ৮ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।
  • মেকআপ অ্যাপ্লিকেটর। 
  • দামঃ ৫০০ টাকা থেকে শুরু করে ১ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।

মেকআপ করার জিনিসের নাম ও ব্যবহার

মেয়েরা নিজেদের সুন্দর দেখানোর জন্য মেকআপ করে থাকে। আমরা উপরে মেকআপ করা জিনিসের নাম তো জানলাম কিন্তু এগুলো কিভাবে ব্যবহার করতে হয় আমরা অনেকেই জানিনা। এখন জানাবো মুখের বিভিন্ন অংশ অনুযায়ী মেকআপ করা জিনিসের নাম এবং এদের সঠিক ব্যবহার। নিচে এদের সঠিক ব্যবহার উল্লেখ করে দেওয়া হল।

ময়েশ্চারাইজারঃ আমাদের মুখের আর্দ্রতা বজায় রাখতে মশ্চারাইজার একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রোডাক্ট। মেকআপ করার আগে মুখে ময়েশ্চারাইজার ভালো করে লাগিয়ে নিলে মেকআপ মুখে সুন্দরভাবে বসে যায়।

প্রাইমারঃ মেকআপ করার জিনিসের নামের তালিকা প্রথমেই আসে প্রাইমারের নাম। মেকআপ করার আগে প্রাইমার প্রয়োজন। প্রাইমার সমস্ত মেকআপ ঠিক রাখে। এটি এক ধরনের মেকআপ বেস যারা করাটা মেকআপ পিছলে যায় না এবং মেকাপ ঠিক রাখে।

কনসিলারঃ মেকআপ করার সময় মুখের অনাকাঙ্ক্ষিত দাগ গুলো দেখতে খুব খারাপ লাগে। মুখে বিভিন্ন দাগ, ডার্ক সার্কেল, ব্রণের দাগ, চোখের এবং ঠোঁটের আশপাশের কালো দাগ ইত্যাদি ঢাকতে কনসিলার ব্যবহার করা হয়।

ফাউন্ডেশনঃ সঠিক মেকআপ আপনাকে সুন্দর দেখাতে সাহায্য করে। যেখানে ভুল মেকআপ আপনার সৌন্দর্য নষ্ট করে দেয়। মেকআপ সুন্দর করার জন্য ফাউন্ডেশন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ফাউন্ডেশন সব সময় একটি ভালো ব্র্যান্ডের ব্যবহার করা উচিত যাতে আপনার ত্বকের জন্য উপযুক্ত এবং আপনার মেকআপ নষ্ট না করে।


ফেস কমপ্যাক্টঃ ফাউন্ডেশন, কনসিলার এবং অন্যান্য মেকআপ অন্য প্রয়োগ করার পর যদি আপনার ত্বক তৈলাক্ত দেখায় তবে এই কম্প্যাক্ট পাউডার ত্বকে তৈলাক্ত এবং চর্বিযুক্ত দেখায় না। কুৎসিত চেহারা এবং একটি মসৃণ এবং ম্যাট চেহারা থেকে পরিত্রাণ পেতে একমাত্র সমাধান হবে কমপ্যাক্ট পাউডার।

মেকআপ স্পঞ্জঃ এটি চোখের নিচের বৃত্তের এলাকায় কনসিলার চাপতে, মিশ্রিত করতে এবং মুখের কনট্যুর ও স্ক্যাল্প করতে ব্যবহার করা হয়। মেকআপ স্পঞ্জ স্যাঁতসেঁতে থাকলে তখন এটির প্রয়োগ সহজ করে তোলে।

মেকআপ ব্লাশারঃ সবচাইতে দরকারি জিনিস মেকআপ ব্লাশার। মেকআপ যতই কিনুন ভালো ব্লাশ ছাড়া মেকাপের ভালো ফিনিশিং আসবে না। গাল হাইলাইট করতে মেকআপ ব্লাশার ব্যবহার করা হয়। ব্লাশ লাগানো আপনার সামগ্রিক চেহারার ওপর একটি বিশাল প্রভাব ফেলতে পারে। বর্তমান সময়ে মেকআপ ব্লাশ খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

আইশ্যাডোঃ প্রাইমার, কনসিলার এবং ফাউন্ডেশন এর পর চোখের মেকআপে বেশি মনোযোগ দেওয়া হয়। কারণ সমস্ত মেকাপ চোখের মেকাপের উপর নির্ভর করে। চোখের মেকআপ ঠিকমতো না করলে মেকাপ মোটেও ভালো দেখায় না। স্মোকি আই, ব্রাইডাল লুক, গ্রেডিয়েন্ট লুক বিভিন্ন ধরনের লুকের জন্য আইশ্যাডো কৌশল ব্যবহার করা দরকার।

লিপবামঃ আমাদের ঠোঁটের নমনীতা ঠিক রাখতে এবং ঠোঁট গোলাপি করার জন্য লিপ বাম ব্যবহার করা হয়। বাজারে অনেক কালারের লিপ বাম পাওয়া যায়। লিপ বাম দিলে ঠোট ময়শ্চেরাইজ হয় এবং সুন্দর লাগে।

বেসিক লিপস্টিক প্যালেটঃ আপনি প্রচুর লাল, গোলাপি, খয়েরি এবং নুডসহ একটি প্যালেট পছন্দ করতে পারেন। আপনি যদি একটি নির্দিষ্ট ব্র্যান্ডের লিপস্টিক পছন্দ করেন যা প্যালেটে আসে না, তাহলে Vueset প্যালেটে ডেপুট করার কথা বিবেচনা করুন।

আইভ্রু কিটঃ আমাদের আইভ্রুকে আরো ঘন এবং আকর্ষণীয় করার জন্য এটি ব্যবহার করা হয়।আইভ্রু কিট বিভিন্ন শেডের হয়। এটি ব্যবহার করে খুব সহজেই আইভ্রুকে একটি সুন্দর শেপ দেওয়া হয়।

আইলানারঃ আইলাইনার আপনার চোখকে দেবে অসাধারণ একটা লুক। আপনার চোখের আকৃতি ভেদে এর আই লাইনার প্রয়োগ ভিন্ন হতে পারে। যেমন গোলাকৃতি কিংবা ছোট চোখের জন্য শুধু বাহিরের কোনায় অথবা শুধু উপরের পাতায় দিলে চলে। আই পেন্সিল দিয়ে আঁকা লাইনের উপরে একটু পাউডার দিলে লাইনটি আর ছড়িয়ে যাবে না এবং দীর্ঘস্থায়ী হবে।


লিপ লাইনারঃ আমাদের ঠোঁটের সীমানাকে স্পষ্টভাবে বোঝানোর জন্য তার লিপের শেপটা ডিফাইন করতে লিপ লাইনার বেশ উপকারী। আর নতুন মেকআপ করেন যারা তারা অনেক সময় সুন্দরভাবে লিপস্টিক লাগাতে গিয়ে জিনিসটা ঘেটে ফেলেন। তাই আপনি যদি লিপলাইনের ব্যবহার করে লিপস্টিক লাগান তাহলে ব্যাপারটা সহজ হয়ে যায়।

সেটিং পাউডারঃ যেকোনো লোক সেট করার জন্য পাউডার অবশ্যক। আপনি যদি পাউডার ব্লাশ, হাইলাইট এবং কনট্যুর ব্যবহার করেন তাহলে পাউডার লাগানোর আগে ফাউন্ডেশন সেট করে নিতে ভুলবেন না, না হলে সেগুলো মুখে লেগে থাকবে এবং মিশবে না।

সেটিং স্প্রেঃ আমাদের ফেস মেকআপ কে অনেকটা সময়ের জন্য ধরে রাখতে এবং মেকআপটি পারফেক্ট করতে সেটিংসস্প্রে ব্যবহার করা হয়। এটি একটি পানির মতো তরল যা মুখে স্প্রে করলে মেকআপ দীর্ঘ সময় ভালো থাকে।

বিউটি ব্লেন্ডারঃ মেকআপ করার জন্য বিউটি ব্লেন্ডার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনি মুখে বিউটি প্রোডাক্ট লাগাতে বা ব্লেন্ড করতে পারবেন। যেমন ফাউন্ডেশন লাগানো, বিবি ক্রিম লাগানো, কনসিলার লাগানো ইত্যাদি। মেকআপ করার সময় শুকনো বিউটি ব্লেন্ডার ব্যবহার করবেন না। বিউটি ব্লেন্ডার পানিতে ভিজিয়ে নিয়ে অতিরিক্ত পানি চিপে ফেলে দিন।

মেকআপ ব্রাশ সেটঃ মেকআপ কিটে আপনার সাথে একটি মেকআপ ব্রাশ সেট রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই মেকআপ ব্রাশ সেটা সাহায্যে আপনি পাউডার, হাইলাইটার,কনট্যুর, কনসিলার এবং বিভিন্ন পণ্য প্রয়োগ করতে পারবেন।

কাজলঃ কাজল আমরা চোখে নিজের পাতায় ব্যবহার করে থাকি। চোখের সৌন্দর্য বাড়াতে কাজল ব্যবহার করা হয়। বাজারে বিভিন্ন রকমের কাজল পাওয়া যায়। তবে চোখে সৌন্দর্য বহুগুণ বাড়িয়ে দেয় কালো কাজল।

মাসকারাঃ আপনার চোখের পাপড়িকে আরো আকর্ষণীয় করে তুলতে আপনি আপনার চোখের পাপড়িতে মশকরা ব্যবহার করতে পারেন। মূলত চোখের পাপড়ির কম ঘনত্বের জন্যই মাসকারা ব্যবহার করা হয়।

হাতের ক্রিমঃ হাতকে শুষ্কতা থেকে বাঁচাতে হাতের ক্রিম ব্যবহার করা হয়। এটি ব্যবহার করার ফলে হাতের শুষ্ক ভাব দূর হয়। হাতকে নরম ও কোমল করে তুলতে অসাধারণ ভূমিকা রাখে। হাতের ক্রিম ব্যবহার করার ফলে হাতকে সুন্দর এবং আকর্ষণীয় করে তুলে।

নেইল পেইন্টঃ মেকআপ অ্যাকসেসরিজের তালিকায় নেইল পেইন্ট থাকাটাও বেশ জরুরি। হাতের নখকে চাকচিক্যময় করতে এবং আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য এটা নখের ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

ঠোটের আভাঃ এটি ঠোঁটকে গোলাপী এবং সুন্দর করার জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এটি ব্যবহার করার ফলে মেকআপের সাথে ঠোঁট মানানসই হয়ে ওঠে। ঠোঁটকে আকর্ষণীয় করে তোলে।

লিপস্টিকঃ মেকআপের সময় ঠোঁটের সৌন্দর্য ফুটিয়ে তোলার অন্যতম জিনিস লিপস্টিক। বিভিন্ন রঙের বিভিন্ন সেডের লিপস্টিক সকলের নজর কাড়ে। আর লিপস্টিক ড্রাই, ম্যাট, শিমার, বুলেট আরো বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। আজকাল অনেক ধরনের লিপস্টিক পাওয়া যায়। তবে ওয়াটারপ্রুফ লিপস্টিক বেশ জনপ্রিয়।

ব্রোঞ্জারঃ আপনার মেকাপ আনুষঙ্গিক তালিকায় থাকা আবশ্যক কারণ এটি উষ্ণতা যোগ করতে এবং আপনার মুখের দিকে তাকানোর জন্য প্রধান প্রবেশদ্বারে ব্যবহার করা হয়। কনট্যুরিং ফেস কাটিং এবং ব্রোঞ্জার হাইলাইট করার জন্যেও ব্যবহার করা হয়।

মেকআপ অ্যাপ্লিকেটরঃ মেকআপ প্রয়োগ করার সময় আপনি যে জিনিস গুলো ব্যবহার করেন তাকে মেকাপ এপ্লিকেটর বলে। বিভিন্ন ধরনের মেকআপ অ্যাপ্লিকেটর আছে।

ভালো ফাউন্ডেশনের নাম ও দাম

মেয়েদের কাছে খুব পরিচিত একটি নাম হল ফাউন্ডেশন। আপনি যে ত্বকের ধরনের অনুযায়ী ভালো ফাউন্ডেশন গুলো ব্যবহার করেন ত্বকের ক্ষতির সম্ভাবনা কম থাকে। আপনারা যারা ভাল ফাউন্ডেশনের নাম জানেন না আমরা তাদের জন্য ভালো কিছু ফাউন্ডেশনের নাম জানিয়ে দেবো আর নামের পাশাপাশি দামটা জানিয়ে দেবো তাহলে আপনাদের কিনতে সুবিধা হবে।


মেবেলাইন ফিট মি ম্যাট (Maybelline Fit Me Matte+Poreless Foundation):
বিশ্বখ্যাত ব্র্যান্ড মেবেলাইন ফিট মি ম্যাট ফাউন্ডেশনটি সব ধরণের ত্বকের সাথে মানিয়ে যায়। হালকা এই ফাউন্ডেশনটি খুব সহজে ত্বকের সাথে মিশে যায়। ব্রণপ্রবণ তৈলাক্ত ত্বকের জন্য এটি একটি আর্দশ ফাউন্ডেশন। দামঃ ৮৪৯ টাকা।

রেভলন কালারস্টে লিকুইড ফাউন্ডেশন (Revlon ColorStay Foundation):
এটি একটি লিকুইড ফাউন্ডেশন। ত্বকে স্থায়ী হয় কমপক্ষে ১৬ ঘণ্টা পর্যন্ত। এতে রয়েছে এসপিএফ-৬। এটি ত্বক থেকে তেল সরিয়ে ত্বকে ফ্রেস ভাব আনে এবং আরও আগের থেকেও বেশি উজ্জ্বল করে তোলে। দামঃ ২৫০-১২০০ টাকা

ল্যাকমে 9 টু 5 প্রাইমার+ম্যাট পারফেক্ট কভার ফাউন্ডেশন (Lakme 9 To 5 Primer + Matte Perfect Foundation):
এই চমৎকার ফাউন্ডেশনটি হলো আমাদের ভারতীয় জনপ্রিয় ব্র্যান্ডের ল্যাকমের। এই প্রোডাক্টটি তৈরি করা হয়েছে প্রাইমার দিয়ে, যার জন্য এই ফাউন্ডেশন আমাদের একটি নিখুঁত সুন্দর আস্তরণ দিয়ে থাকে যা দীর্ঘস্থায়ী। এই ফাউন্ডেশন ব্যবহারের ফলে একটি প্রকৃত ও নিখুঁত চেহারা আপনাকে উপহার দিবে। দামঃ ২২০-৪৫০টাকা।

লরিয়াল প্যারিস ইনফালিবল 24HR ম্যাট কভার ফাউন্ডেশন (Loreal Paris Infallible Mate 24HR Cover Foundation):
আরো একটি ফাউন্ডেশন রয়েছে, এটি বাজারের সেরা ফাউন্ডেশন গুলোর মধ্যে লরিয়াল এর ফাউন্ডেশন টি হল সবচেয়ে সস্তা। এটি ঘামরোধক ফাউন্ডেশন। যা ব্যবহার করার পর মুখোশও পড়তে পারবেন। আমাদের মেকাপের জন্য ফাউন্ডেশন টি সম্পূর্ণ কভারেজ দিয়ে থাকে। দামঃ ৪৫০-১২০০।


ল্যাকমে নাইন টু ফাইভ ওয়েটলেস মুজ ফাউন্ডেশন (Lakme 9 to 5 Weightless Mousse Foundation):
স্বাভাবিক ত্বক পাওয়া আশীর্বাদের মতো। আপনার যদি স্বাভাবিক ত্বক হয়, তা হলে পছন্দমতো যে কোনও ফাউন্ডেশন লাগাতে পারেন। এই ফাউন্ডেশন হালকা হওয়ায় ত্বকের সঙ্গে নিখুঁতভাবে মিশে যায় এবং একটি সুন্দর ম্যাট ফিনিশ এনে দেয় যা সারাদিন ঠিক থাকে। মুজ ফর্মুলার কারণে ত্বক নরম আর হালকা থাকে, ফলে এই ফাউন্ডেশন আপনি প্রতিদিন ব্যবহার করতে পারেন। দামঃ ২২০-৪৫০টাকা।

টিপসঃ ফাউন্ডেশন ব্যবহারের সময় অল্প অল্প প্রোডাক্টস নিয়ে ব্লেন্ড করতে হবে পুরো মুখে। অতিরিক্ত প্রোডাক্ট নিলে মেকআপ cakey হয়ে যায় যেটি দেখতে ভালো লাগে না। ফাউন্ডেশন কেনার সময় খেয়াল রাখবেন ফাউন্ডেশন নিজের স্কিন শেডের নেওয়ার।

ঘরে বসে মেকআপ করার নিয়ম

আমরা সকলেই নিজেকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে চাই। নিজেকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করার জন্য নিজেদেরকে পরিপাটি হয়ে থাকতে হয়। আর আমাদের এই পরিপাটি হয়ে থাকার জন্য কিছু প্রসাধনী সামগ্রী ব্যবহার করে করতে হয় যা হচ্ছে মেকআপ। নিজের চেহারাকে আরো সুন্দর ও আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য মেকআপ এর কোন বিকল্প নেই।


অনেকেই আছে পার্লারে গিয়ে মেকআপ করতে চান না। যারা পার্লারে গিয়ে মেকআপ করতে চান না।তারা ঘরে বসেই মেকআপ করতে বেশি পছন্দ বোধ করে। ঘরে বসে মেকআপ করার বেশ কিছু নিয়ম রয়েছে যেগুলো ফলো করলে আপনি খুব সহজেই পার্লারের মত পারফেক্ট মেকআপ লুক বাসায় বসেই করে ফেলতে পারবেন। তাহলে চলুন নিয়ম গুলো জেনে নেই।
  • মেকআপ করার আগে সর্বপ্রথম আপনাকে আপনার মুখ পরিষ্কার করে নিতে হবে। আর মুখ পরিষ্কার করার জন্য আপনি যেকোনো ভালো মানের ফেসওয়াশ বা স্ক্রাব ব্যবহার করতে পারেন । এতে করে মেকআপ ফেস এ ভালো ভাবে বসবে।
  • শুধুমাত্র ফেসওয়াশ ব্যবহারে ত্বকের গভীরে থাকা ময়লা সম্পূর্ণরূপে পরিষ্কার হয় না। তাই মুখ পরিষ্কারের কাজটি সম্পূর্ণ করতে ব্যবহৃত হয় টোনার। একটি তুলোর বলে সামান্য পরিমাণ টোনার ঢেলে নিতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে যেন টোনার তুলোর বলে খুব বেশি শুষে না যায়। এরপর আলতো করে সারা মুখে টোনারটি লাগিয়ে নিতে হবে।
  • আপনাকে একটি ভাল মানের ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে। আপনি যদি দিনের বেলা বাইরে বের হন তাহলে আপনাকে ময়েশ্চারাইজার ইউজ করার পরে আপনাকে সানস্ক্রিন ক্রিম অবশ্যই ব্যবহার করতে হবে। তা না হলে মুখ এ কালচে হয়ে যাবে।
  • তারপর আপনাকে ফেস মেকআপ করার জন্য ফাউন্ডেশন এবং কনসিলার ভালো করে ব্লেন্ড করে নিতে হবে। যাতে করে ফেস এ বসে সুন্দর করে ।
  • এরপর কম্প্যাক্ট পাউডার ব্যবহার করে ফাউন্ডেশন ও কাউন্সিলরকে ভালোভাবে সেট করে নিতে হবে।
  • এরপর আপনাকে আপনার ফেসে হাইলাইটার ব্যবহার করতে হবে। এতে করে আপনার মেকআপ আরো বেশি আকর্ষণীয় সুন্দর হবে।
  • এরপর চাইলে আপনি পার্টির ধরন অনুসারে আপনার চোখে সাজিয়ে তুলতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনি আইলাইনার, মাস্কারা, কাজল, আইশ্যাডোর সাহায্য নিতে পারেন। এইসবের সাহায্যে আপনার চোখে আপনি আরও সুন্দর ভাবে সাজিয়ে তুলতে পারবেন।
  • এরপর আপনার ইচ্ছে এবং রুচি অনুযায়ী লিপিস্টিক ব্যবহার করতে পারেন
  • সর্বশেষে আপনার সম্পূর্ণ ফেস মেকআপ ভালো হবে সেট করার জন্য সেটিং স্প্রে দিবেন। তবে মনে রাখবেন দেওয়ার সময় আপনার চোখ এবং নিশ্বাস বন্ধ করতে হবে।

কোন ব্র্যান্ডের মেকাপ ভালো

সুন্দর দেখাতে বিভিন্ন ধরনের মেকাপের প্রয়োজন হয় এবং অনেকেই তা বেছে নিতে ভুল করেন, যার কারণে তাদের মেকআপ খুব খারাপ দেখায়। ভালো করে মেকাপ করতে গেলে আপনার কাছে কিছু ভালো ব্র্যান্ডের মেকআপ প্রোডাক্ট থাকাটা অবশ্যই দরকার। ভালো ব্র্যান্ডের মেকআপ ব্যবহার করলে ত্বকের তেমন ক্ষতি হয় না।


ল্যাকমি ব্র্যান্ড, লরিয়েল ব্র্যান্ড,মেবেলাইন ব্র্যান্ড, নিভিয়া ব্র্যান্ড, রেভলন ব্র্যান্ড, ল্যানবাম ব্র্যান্ড, এই সকল ব্র্যান্ডের মেকআপ গুলো খুবই ভালো। এই সকল ব্যান্ডের মেকআপ আপনার পছন্দের তালিকায় রাখতে পারেন। কারণ এগুলো খুব দামি ব্রান্ডের মেকআপ। এই ব্র্যান্ডের মেকআপ গুলো ব্যবহার করলে আপনার চেহারা আরো সুন্দর ও আকর্ষণীয় করে তুলে।

প্রাইমার মেকআপের জিনিসের নাম

মেকাপের তালিকায় প্রথমে আসে প্রাইমার। মেকআপ করার আগে প্রাইমার প্রয়োজন হয়। কারণ এটি সব মেকআপ ঠিক রাখে। এটি এক ধরনের মেকআপ বেস, যার কারণে মেকাপ পিছলে যায় না এবং মেকআপ ধরে রাখে। প্রাইমার ব্যবহার করলে আপনার মুখের খোলা ছিদ্র লুকিয়ে রাখবে,সেই সাথে আপনার মুখে সূক্ষ্মরেখা কমবে। নিচে প্রাইমার মেকাপের জিনিসের নাম উল্লেখ করে দেয়া হলো।
  • আই প্রাইমার
  • কনসিলার
  • ফাউন্ডেশন
  • ব্রাশ সেট
  • কনট্যুরিং প্যালেট
  • ব্রোঞ্জার
  • ব্লাশ
  • হাইলাইটার

লেখকের মন্তব্য

প্রিয় পাঠক মেকআপ করার জিনিসের নাম ও দাম সম্পর্কে আপনারা বিস্তারিতভাবে জানতে পেরেছেন। মেকআপ করার পাশাপাশি আপনার ত্বকের যত্ন নিতে হবে। এখানে প্রত্যেকটা মেকাপ করা জিনিসের দাম আমরা ঠিকমতো বলে দিলেও বাজারে এর দাম কম/বেশি হতে পারে। আর যদি এই আর্টিকেলে কোন ভুল ভ্রান্তি হয়ে থাকে তাহলে তা ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।

আজকের আর্টিকেলটি যদি ভালো লেগে থাকে অবশ্যই সবার মাঝে শেয়ার করবেন। আমার লেখা আর্টিকেলটি এতক্ষণ ধরে পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

Umme Haney'র নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url