ঘরোয়া পদ্ধতিতে গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায়
সম্মানিত পাঠক,আপনি কি গ্যাস্ট্রিকে আক্রান্ত? আপনি কি গ্যাস্ট্রিক দূর করার ঘরোয়া উপায় খুজতেছেন? তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা আজকের আর্টিকেলে ঘরোয়া পদ্ধতিতে গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। আশা করছি শেষ পর্যন্ত আর্টিকেলটি পড়লে আপনি উপকৃত হবেন।
আজ আমরা গ্যাস্ট্রিক ঘরোয়া পদ্ধতিতে কিভাবে দূর করা যায় তা সম্পর্কে জানব। আশা করছি শেষ পর্যন্ত আর্টিকেলটি পড়লে আপনি অনেক উপকৃত হবেন।
ভূমিকা
গ্যাস্ট্রিক বা এসিডিটি নাই এমন লোক খুব কমই পাওয়া যায়। সাধারণত আমাদের খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তনের কারণে এখন প্রায় সকলেই এই গ্যাস্ট্রিক নামক রোগে আক্রান্ত। গ্যাস্ট্রিক সহজে কমানোর অনেক ওষুধ থাকলেও ঘরোয়া উপায়ে গ্যাস্ট্রিক কমানোর চেষ্টা করা সবচেয়ে উত্তম। আজ এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাদেরকে জানাবো
আরও পড়ুনঃ হঠাৎ হাই প্রেসার কমানোর ঘরোয়া উপায়
ঘরোয়া পদ্ধতিতে গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায়,গ্যাস্ট্রিক দূর করার খাবার,গ্যাস্ট্রিক দূর করার ঔষধ,গ্যাস্ট্রিক আলসার দূর করার উপায়,গ্যাস্ট্রিক বুকে ব্যাথা দূর করার উপায়।আশা করি আমরা আর্টিকেল থেকে আপনারা উপকৃত হবেন। তাই আর দেরি না করে পুরো আর্টিকেলটি পড়া শুরু করুন।
ঘরোয়া পদ্ধতিতে গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায়
অনেকের মুখে অহরহ শোনা যায় আমার গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা। ওষুধ খাচ্ছেন, তবুও সমস্যার সমাধান হচ্ছে না। আর গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা যে কত যন্ত্রণাদায়ক তা কেবল যারা ভোগেন তারাই ভালো বলতে পারবেন। গ্যাস্ট্রিকের সমস্যার সমাধান আপনি নিজেই করতে পারেন ঘরে এবং সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায়েই। গ্যাস্ট্রিকের হাত থেকে নিস্তার পেতে জেনে রাখুন কিছু ঘরোয়া উপায়।
পানিঃ পানি পানের সুফলের কথা সবাই জানেন। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে দুই গ্লাস করে পানি পান করবেন, দেখবেন সারাদিন আর গ্যাস্ট্রিকের যন্ত্রণা সহ্য করতে হবে না। পানি হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। তাছাড়া পানি পরিপাকতন্ত্র পরিষ্কার রাখতেও কাজ করে। এর জন্য নিয়মিত প্রতিদিন অন্তত ৬ থেকে ৮ গ্লাস পানি পান করতে হবে।
লবঙ্গঃ একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, লবঙ্গে উপস্থিত একাধিক উপকারী উপাদান শরীরে প্রবেশ করার সাথে সাথে গ্যাসের প্রকোপ কমতে সময় লাগে না। তাই এবার থেকে বেশি মাত্রায় খাবার খাওয়ার পর বুক জ্বালা ও ঢেকুর উঠলে দুই একটি লবঙ্গ খেয়ে ফেলতে ভুলবেন না।
রসুনঃ গ্যাস্ট্রিক বা অ্যাসিডিটির সমস্যা কমাতে রসুনের কোন বিকল্প হয় না বললেই চলে। এক্ষেত্রে এক কোয়া রসুন খেয়ে ফেললেই স্টমাকে অ্যাসিড ক্ষরণের মাত্রা স্বাভাবিক হতে শুরু করে। ফলে গ্যাস সংক্রান্ত বিভিন্ন উপসর্গ ধীরে ধীরে কমে যেতে শুরু করে।
আদাঃ আদর এন্টি-ইনফ্লামেটরি উপাদান এসিডিটির সমস্যা দূর করতে দারুন কার্যকরী। আদা কুচি করে সামান্য লবন সহযোগে চিবিয়ে খেলে এসিডিটি অনেকটাই উপশম হয়ে আসে। আবার চাইলে আদা কুচি পানিতে সিদ্ধ করে সেই পানিও খেতে পারেন। তবে পরিমাণে খুব বেশি নয়, তা না হলে উল্টো আপনার সমস্যা বেড়ে যেতে পারে।
পুদিনা পাতাঃ পুদিনা পাতা গ্যাসের সমস্যার সমাধানে অনেক বেশি কার্যকরী। এর পাশাপাশি এটি আপনার বমি ভাবও দূর করতে পারে। কিছু পরিমাণে পুদিনা পাতা মুখে নিয়ে ভালো করে চিবালেই কমে যাবে গ্যাসের সমস্যা।
শসাঃ শসা পেট ঠান্ডা রাখতে অনেক বেশি কার্যকরী। এতে রয়েছে ফ্লেভানয়েড ও এন্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান যা পেটে গ্যাসের উদ্বেগ কমায়।
মেথিঃ এক গ্লাস পানিতে এক চা-চামচ মেথি গুঁড়া মিশিয়ে খেলে এসিডিটির জ্বালাপোড়া অনেকাংশে কমে যায়। অথবা এক চা-চামচ মেথি দানা এক গ্লাস পানিতে ভিজিয়ে রেখে সকালে খালি পেটে সেটা খেলেও উপকার পাওয়া যায়।
কলাঃ যারা বেশি করে লবণ খান, তাদের গ্যাস ও হজমের সমস্যা হতে পারে। কলায় যে পটাশিয়াম থাকে, তাতে শরীরের সোডিয়াম ও পটাশিয়ামের ভারসাম্য বজায় থাকে। কলা হজমে সাহায্য করে। দেহ থেকে দূষিত পদার্থ বের করে দেয়। প্রতিদিন একটি করে কলা খেলে আপনার আর কখনো গ্যাস অম্বলের সমস্যা হবে না।
মৌরিঃ মৌরি খুব দ্রুত গ্যাসের ব্যথা কমাতে কাজ করে। সে কারণে খাওয়ার পরে মৌরি চিবিয়ে খেতে হবে। অ্যাসিড হওয়ার কোন ভয় থাকে না। এছাড়া রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে পরিষ্কার পানিতে মৌরি ভিজিয়ে ঢেকে রেখে দিন। পরের দিন সকালে উঠে পানিটুকু ছেকে নিন। এবার সেই পানি খালি পেটে পান করুন। সারাদিন আর গ্যাসের সমস্যা হবে না। পেটও ফুলে থাকবে না।
ডাবের পানিঃ ডাবের পানি পাকস্থলীতে শ্লেষ্মা উৎপাদনে সহায়ক। যা পাকস্থলীকে অতিরিক্ত গ্যাস সৃষ্টির ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করে। নিয়মিত ডাবের পানি পান করলে দেহের পিএইচ এসিডিক লেভেল ক্ষারীয় হয়ে আসে। ফলে গ্যাস অম্বলের সমস্যা দূর হয়।
গ্যাস্ট্রিক দূর করার খাবার
হজমের সমস্যার সঙ্গী হয়ে আসে গ্যাস্ট্রিক। খাবারের বিষয়ে আমরা তো বরাবরই অসতর্ক। আবার চারপাশে এমন সব লোভনীয় খাবার থাকে যে, চাইলেও নিজেকে সংযত রাখা যায় না। ফলস্বরূপ গ্যাস্টিক হয় সঙ্গী। সঠিক চিকিৎসা না করলে এ সমস্যা বাড়তে থাকে। এজন্য অবশ্যই বুঝে শুনে খাবার খেতে হবে।
এমন অনেক খাবার আছে যা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা কমায় আর পেটের পিএইচ লেভেল ঠিক রাখে। এছাড়া গ্যাস্ট্রিক কমাতে কখনোই পেট খালি রাখা যাবে না। সবচেয়ে ভালো হয় ওষুধ না খেয়ে গ্যাস্ট্রিক দূর করতে পারলে। চলুন জেনে নেওয়া যাক কোন খাবারগুলো নিয়মিত খেলে ওষুধ ছাড়া গ্যাসটি দূর করা যাবে-
তুলসী পাতাঃ পেটে যে কোনো সমস্যা দূর করতে তুলসী পাতার ব্যবহার বেশ পুরনো। এই পাতার নির্যাস গ্যাস্ট্রাইটিসে আক্রান্ত ইঁদুরের গ্যাস্ট্রিক মিউকোসার প্রদাহ কমানোর ক্ষেত্রে কার্যকরী বলে গবেষণা প্রমাণিত হয়েছে। আপনি যদি নিয়মিত তুলসী পাতা খান তবে ওষুধ ছাড়াই দূর হবে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা।
পাকা পেঁপেঃ পেঁপেতে রয়েছে পাপায়া নামক এনজাইম যা হজম শক্তি বাড়ায়। নিয়মিত পাকা পেঁপে খাওয়ার অভ্যাস করলেও গ্যাসের সমস্যা কমে।
চাঃ গ্যাস্ট্রিকের ব্যথায় খেতে পারেন ভেষজ চা। বিভিন্ন ঔষধি গুন সম্পন্ন গাছ পাতা দিয়ে তৈরি এই চা শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও প্রদাহরোধী উপাদান সমৃদ্ধ। ভেষজ হজমে সাহায্য করে ও গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা কমায়। ভেষজ উপাদানের মধ্যে আদা,পুদিনা,ক্যামোমাইল ও লেবু।
আপেল সিডার ভিনেগারঃ আপেল সিডার ভিনেগার পেটের পিএইচ ব্যালেন্স ঠিক রাখতে সাহায্য করে। হজমের সমস্যা দূর করে আপেল সিডার ভিনেগার। এক গ্লাস পানির সাথে এক থেকে দুই চামচ আপেল সিডার ভিনেগার মিশিয়ে খেয়ে নিন প্রতিদিন।
খাবারে সরষে যোগ করুনঃ সরষে গ্যাস দূর করতে সাহায্য করে। বিভিন্ন খাবারের সাথে সরষে যোগ করা হয় যাতে সেইসব খাবারে পেটে গ্যাস সৃষ্টি করতে না পারে।
ক্যামোমিল চাঃ গ্যাস্ট্রিকের সমস্যার জন্য আরেকটি সহজ ও কার্যকরী খাবার হল ক্যামোমিল টি। এই ভেষজ চা নিয়মিত খেলে ওষুধ ছাড়াই দূর হবে গ্যাস্ট্রিক।ক্যামোমিল টি গ্যাস্ট্রিকের কারণে সৃষ্ট প্রদাহ কমানোর পাশাপাশি মুক্তি দেয় আলসার থেকেও। প্রতিদিন এক কাপ ক্যামোমিল টি পান করলে আপনার হজম ক্ষমতা বাড়তে কাজ করবে।
দইঃ দইয়ে থাকা বিভিন্ন উপকারী ব্যাকটেরিয়া দ্রুত খাবার হজম করে সাহায্য করে যার ফলে গ্যাসের সমস্যা হয় না। এজন্য দেখবেন অনেকেই খাবার পরে দই খেয়ে থাকেন। কারণ দই গ্যাস্টিক দূর করার উপকারী বন্ধু।তাই দই খেলে হজম ভালো হয় গ্যাস কমে।
গ্যাস্ট্রিক দূর করার ঔষধ
গ্যাসের সমস্যা থেকে পরিত্রাণের জন্য গ্যাস্ট্রিকের ওষুধের নাম খোঁজ করে না এমন মানুষ খুব কমই আছে । খোঁজ নিয়ে দেখুন সারাদেশে যে পরিমাণ গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ বিক্রি হয় অন্য সব রোগ মিলেও এ পরিমাণ হয় না। গ্যাস্ট্রিকের যন্ত্রণা প্রতিটি মানুষেরই কম বেশি হয়ে থাকে। তাই আজকে কথা বলব গ্যাস্ট্রিক দূর করার ওষুধ নিয়ে। তাহলে চলুন জেনে নেই।
গ্যাসট্রিক ঔষুধের নামঃ
- সেকলো
- সারজেল
- ম্যাক্সপ্রো
- লোসেকটিল
- রেনিটিডিন
- ফিনিক্স ২০
- এন্টাসিড
বিঃদ্র: যেকোনো ওষুধ সেবন করার পূর্বে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করবেন।
গ্যাস্ট্রিক আলসার দূর করার উপায়
গ্যাস্ট্রিক আলসার, এই রোগটির সাথে সবাই খুব সুপরিচিত। আর এটি ডাক্তারি ভাষায় বলে পেপটিক আলসার ডিজিজ কিংবা গ্যাস্ট্রিক আলসার ডিজিজ বলা হয়। অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস এবং জীবন যাপনের কারণেই অনেকেই আলসারের সমস্যায় ভুগে থাকেন। আজকের আর্টিকেলটিতে আমরা জানাবো গ্যাস্ট্রিক আলসার দূর করার উপায় সম্পর্কে।
আরও পড়ুনঃ চুল লম্বা করতে মেথির ব্যবহার
আলসার হলে ওষুধ খাওয়ার পাশাপাশি কিছু খাবার এড়িয়ে চলতে হয় এবং বিশেষ কিছু খাবার নিয়মিত খেতে হয়। কিছু খাবার আছে আলসার সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া হেলিকোব্যাকটর পাইলোরির বিরুদ্ধে লড়াই করে। আসুন জেনে নেওয়া যাক এমন কিছু খাবারের কথা।
বাঁধাকপিঃ পাকস্থলীর আস্তরণে রক্ত প্রবাহ চলাচল করতে উপকারি এই সবজি। ফলে পাকস্থলীর আস্তরণ শক্তিশালী হয় এবং আলসার সারাতে সাহায্য করে। পাশাপাশি বাঁধাকপিতে থাকা ভিটামিন সি 'এইচ.ফাইলারি' ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ রোধ করে। এছাড়া এতে আরো আছে অ্যামাইনো এসিড গ্লুটামিন যা আলসার সারতে সহায়ক।
মধুঃ ত্বকের সৌন্দর্য বাড়ানো এবং ক্ষত সারানোর পাশাপাশি মধু পাকস্থলীর আলসারও সারায়। আলসার সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া হেলিকোব্যাকটার পাইলোরির উৎপাদন প্রতিরোধ করে মধু। প্রতিদিন সকালে এক টেবিল চামচ মধু খান।
নারকেলের পানিঃ নারকেলের পানি পেট ঠান্ডা রাখে, বিশেষ করে যখন আপনি আলসার সংক্রমিত হন। নারকেলের পানি উপস্থিত বৈশিষ্ট্য, পেটের আরোগ্য এবং প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।
স্ট্রবেরিঃ সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে, পাকস্থলীর আলসারের বিরুদ্ধে ঢাল হিসেবে কাজ করতে পারে স্ট্রবেরি। এতে আছে উচ্চমাত্রার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা দেহকে আলসার থেকে প্রতিরক্ষা দেয়। প্রতিদিন এক কাপ করে স্ট্রবেরি খেলে আলসারের ঘা সেরে যায় দ্রুত।
ভিটামিন ই সমৃদ্ধ খাবারঃ ভিটামিন ই সমৃদ্ধ খাবার হল সেরা ঘরোয়া প্রতিকার পাকস্থলীর আলসারের চিকিৎসার জন্য। কাজুবাদাম এবং মাছের মত ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার খেতে থাকুন।
ফুলকপিঃ এতে আছে সালফোরাফেন নামের একটি উপাদান যা হেলিকোব্যাকটার পাইলোরি নামের ওই ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করে। একটি গবেষণা দেখা গেছে, কেউ যদি প্রতিদিন দুইবার করে সাত দিন ফুলকপি খান তাহলে তার পাকস্থলীতে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমনের ঝুকি ৭৮% কমে আসে।
গ্যাস্ট্রিক বুকে ব্যাথা দূর করার উপায়
বর্তমান সময়ে মানুষের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বেড়েই চলছে দৈনন্দন জীবনে আমরা এমন অসুস্থকর খাবার খাচ্ছি যার ফলে আমাদের গ্যাস্ট্রিক বুকে ব্যথা এবং গ্যাস্ট্রিকের বিভিন্ন রকমের সমস্যা আমরা আমাদের দেহের ধরা পড়েছে। তাই আজকে আমরা জানবো গ্যাস্ট্রিক বুকে ব্যথা দূর করার উপায় সম্পর্কে।
কিছু খাবার রয়েছে যা গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে আসুন জেনে নেই এমন কিছু খাবার সম্পর্কে-
- যদি আপনি গ্যাস্ট্রিকের কারণে বুকে ব্যথা অনুভব করেন তাহলে প্রাথমিকভাবে যেসব গ্যাস্ট্রিকের ঔষধ গুলো রয়েছে সেগুলোর মধ্যে থেকে একটি সেবন করতে হবে। তবে তা অবশ্যই খাবার আগে খেতে হবে।
- আপনি যদি গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা অনুভূত করেন তাহলে যদি আপনার হাতের কাছে গুড় থেকে থাকে তাহলে এক টুকরো গুড় মুখে দিয়ে না চিবিয়ে চুষে খান এতে করে দেখবেন আপনার গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা কিছুক্ষণের মধ্যে কম হয়ে যাচ্ছে।
- গ্যাস্ট্রিকে বুকে ব্যথা অনুভব করলে অবশ্যই আপনার হাতের কাছে আদা থাকলে তা চিবিয়ে খান। আপনার ব্যথা কমে যাবে।
- দই উপকারী ব্যাকটেরিয়ার ভালো উৎস। দই হজমে এবং বুকে গ্যাসের ব্যথা কমতে ভালো কাজ করে। পানির সঙ্গে দই মিশিয়ে পানীয় তৈরি করে পান করতে পারেন।
- দুই চা-চামচ ভিনেগার এক গ্লাস পানিতে মিশিয়ে পান করুন। বুকে গ্যাসের ব্যথা কমাতে এইভাবে নিয়মিত ভিনেগার গ্রহণ করা যেতে পারে। এটা বুকের ব্যথা কমাতে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।
- নিয়মিত ব্যায়াম কিংবা অল্প সময় নিয়ে হাটাহাটির অভ্যাস করুন। এতে বুকে গ্যাস জমতে পারবে না। যেটা বুকে গ্যাসের ব্যথা কমতে ভালো কাজ করে।
শেষ কথা
সম্মানিত পাঠক পাঠিকা বন্ধুরা আমাদের আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে ঘরোয়া পদ্ধতিতে গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায় তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আপনারা এতক্ষন আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ে নিশ্চয়ই এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। আমাদের ওয়েবসাইটে আরো বিভিন্ন ধরনের আর্টিকেল পেতে অবশ্যই নিয়মিত ভিজিট করবেন।
আর অবশ্যই আমাদের ওয়েব সাইটটি আপনাদের বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন এবং আমাদের সাথে থাকবেন। আজকের মত বিদায় নিচ্ছি। সকলে ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন। ''আল্লাহ হাফেজ''
Umme Haney'র নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url