হঠাৎ হাই প্রেসার কমানোর ঘরোয়া উপায়

প্রিয় পাঠক,আপনি হাই প্রেসার কমানোর উপায় কি এ সম্পর্কে জানতে চান? তাহলে এই আর্টিকেলটি শুধু আপনার জন্য। আজ আমরা হঠাৎ হাই প্রেসার কমানোর ঘরোয়া উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। সুতরাং এই সম্পর্কে জানতে সম্পূর্ণ লেখাটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। তাহলে আপনি এ সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানতে পারবেন।
হঠাৎ হাই প্রেসার কমানোর ঘরোয়া উপায়
জীবনযাত্রায় স্বাস্থ্যকর পরিবর্তন আপনার উচ্চ রক্তচাপের কারণ নিয়ন্ত্রণ করবে। এটি নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে আপনি শরীরের আরো অন্যান্য সমস্যা থেকে দূরে থাকতে পারবেন। হাই প্রেসার কমানো ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হল।

ভূমিকা

হাই প্রেসার বা উচ্চ রক্তচাপ একটি অতি পরিচিত শারীরিক সমস্যা। বাংলাদেশের বিপুলসংখ্যক মানুষ উচ্চ রক্তচাপে ভুগে থাকেন। একজন মানুষ যদি শারীরিকভাবে সুস্থ থাকেন তাহলে অবশ্যই তার প্রেসার,পালস ও ওজন নিয়ন্ত্রণের মধ্যে থাকতে হবে। দেখা গিয়েছে যে কিছু ঘরোয়া উপায় কিন্তু সহজেই রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে ফেলতে পারে। আসুন জানা যাক সেই সম্পর্কে।

হঠাৎ হাই প্রেসার কমানোর ঘরোয়া উপায়

সবারই স্বাভাবিক একটা রক্তচাপ থাকে। তবে সাধারণত যারা উচ্চ রক্তচাপের রোগী, তাদের ক্ষেত্রে হঠাৎ করে রক্তচাপ বেড়ে যাওয়ার একটা ভয় থাকে। আমরা বিচলিত হয়ে পড়ি, এ অবস্থায় কি করব। আজ আমরা জানবো হঠাৎ হাই প্রেসার কমানোর ঘরোয়া উপায়। তাহলে চলুন জেনে নেয়া যাক।


তেতুলঃ তেতুল উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। তাৎক্ষণিকভাবে উচ্চ রক্তচাপ কমাতে তেতুল অনেক কার্যকারী। হঠাৎ উচ্চ রক্তচাপ বেড়ে গেলে তেতুল পানির সাথে গুলে সে পানি পান করুন। তেতুল পানি পান করলে উচ্চ রক্তচাপ তাৎক্ষণিকভাবে নিয়ন্ত্রণে আসে।

রসুনঃ রসুন উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। তাৎক্ষণিকভাবে উচ্চ রক্তচাপ কমাতে রসুন অনেক কার্যকারী। ব্লাড প্রেসার অনেক বেড়ে গেলে এক থেকে দুই টুকরো রসুন নিয়ে সরাসরি খেয়ে নিন বা কুচি কুচি করে কেটে মধুর সাথে মিশিয়ে খেয়ে নিন।

লেবুঃ নিয়মিত শারীরিক ব্যায়ামের পাশাপাশি লেবুর রস পান শরীরে হাই ব্লাড প্রেসার কমাতে সহায়তা করে। এক গ্লাস গরম পানিতে অর্ধেক লেবুর রস ভালো করে মিশিয়ে পান করলে উচ্চ রক্তচাপ তাৎক্ষণিকভাবে নিয়ন্ত্রণে আসে।

আমলকিঃ আমরা সকলেই জানি যে আমলকি ব্যবহারে অনেক রোগের উপশমে সাহায্য করে কিন্তু আজ থেকে জানবেন যে আমলকি ব্যবহার রক্তচাপ রোগেও অনেক আরাম প্রদান করে থাকে। আমলার মধ্যে থাকা ভিটামিন সি যা রক্ত চলাচল ঠিক করে আর শরীরের শর্করা মাত্রা ঠিক রাখে। একটি বড় চামচে আমলকি রস নিয়ে তার সাথে সমপরিমাণ মধু মিশিয়ে রোজ সকালে আর বিকালে পান করুন রক্তচাপ খুব সহজে নিয়ন্ত্রিত হবে।

হঠাৎ হাই প্রেসার হলে করণীয়

অনেক কারণেই হঠাৎ রক্তচাপ বাড়তে পারে। মানুষের পরিবার ও কর্মক্ষেত্রে চাপ বাড়ছে, ঘুম কম হচ্ছে, রাত জাগার অভ্যাস বাড়ছে, সবকিছু মিলে প্রেসার বাড়তেই পারে। সুস্থ ব্যক্তির হঠাৎ রক্তচাপ বেড়ে গেলে তাকে অবশ্যই বিশ্রাম নিতে হবে। এসব ক্ষেত্রে কেউ কেউ মাথায় পানি দিয়ে বা বরফ দিয়ে আরাম পেতে পারেন। অনেকে তেঁতুলের শরবত খেয়ে থাকেন।


চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে অবশ্যই। প্রয়োজনে তিনি দিবেন ওষুধ। আর যাদের আগে থেকেই রক্তচাপ বেশি, তাদের হঠাৎ রক্তচাপ বেড়ে গেলে অস্থির না হয়ে বিশ্রাম নেওয়া উচিত। মাথায় পানি বা বরফ দিয়ে সাময়িক উপশম হলে অবশ্যই পড়া চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। তবে নিজ থেকে রক্তচাপ কমানোর জন্য কোন ওষুধ গ্রহণ করবেন না।

হাই প্রেসার হলে কি খাওয়া উচিত না

আজকাল যেকোনো বয়সী মানুষের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপের প্রবণতা দেখা যায়। সাধারণত অতিরিক্ত ওজন, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, সঠিক খাদ্যভ্যাসের অভাবে অনেকেই খুব কম বয়সে উচ্চ রক্তচাপ জনিত রোগে আক্রান্ত হন। উচ্চ রক্তচাপ হলে খাবারের নিয়ন্ত্রণ খুবই জরুরী। যাদের হাই প্রেসারের সমস্যা রয়েছে, সেই সমস্যা দূর করতে পারেন শুধুমাত্র স্বাস্থ্যকর খাদ্যভ্যাস এর মাধ্যমে।

তাহলে আসুন এবার জেনে নেওয়া যাক এমন কয়েকটি খাবারের তালিকা যেগুলো উচ্চ রক্তচাপে ভুলেও খাওয়া উচিত নয়।

লবণঃ উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা হলে প্রথমেই লবণ থেকে দূরে থাকতে হবে। কারণ শরীরে অতিরিক্ত সোডিয়াম জমা হলে উচ্চ রক্তচাপ দেখা দেয়। তাই যাদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা আছে তাদের জন্য লবণ খুবই ক্ষতিকর। সেজন্য খুবই সীমিত পরিমান লবণ দিয়ে খাবার তৈরি করে খাবেন। বাড়তি লবণ দিয়ে খাবার খাওয়ার অভ্যাস থাকলে তাও দূর করতে হবে।

লাল মাংসঃ উচ্চ রক্তচাপের ক্ষেত্রে লাল মাংস অর্থাৎ গরুর মাংস এবং মহিষের মাংস পরিহার করা একান্ত প্রয়োজন। কারণ এই সমস্ত রেডমিটে খারাপ কোলেস্টেরল বেশি থাকে যা হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়।

ফাস্টফুড এবং বেকারি খাবারঃ বর্তমান যুগে ফাস্টফুড খাওয়া আজকের দৈনিন্দন রুটিনে পরিণত হয়েছে। প্যাকেটজাত এবং প্রসেসড ফুডগুলোর মধ্যে সবথেকে বেশি উচ্চ রক্তচাপ সৃষ্টি কারক উপাদান থাকে। অনেকেই জানেন না যে এই ফাস্ট ফুড এবং বেকারি খাবারে প্রচুর পরিমাণে সোডিয়াম, প্রিজারবেটিভ, বিষাক্ত রং এবং ক্ষতিকারক চর্বি ডালডা ব্যবহার করা হয়।

এই সবগুলি উপাদানে উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের জন্য ভীষণ ক্ষতিকর। তাছাড়া তেলেভাজা অধিক চর্বিযুক্ত মুখরোচক খাবার থেকেও বিরত থাকতে হবে।

চিপস জাতীয় খাবারঃ চিপস একটি মুখরোচক খাবার। এটি খেতে পছন্দ করেন না এমন মানুষ খুব কমই আছে। কিন্তু যাদের উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে তাদের জন্য এই খাবার অত্যন্ত ক্ষতিকর। এর বড় কারণ হলো টিপসে থাকা অতিরিক্ত লবণ। এই লবণ শরীরে পানি ধরে রাখে এবং ব্লাড প্রেসার। তাই এই খাবার এড়িয়ে চলুন। যাদের ডায়াবেটিস আছে তারাও জাতীয় খাবার খাবেন না।

মুরগির চামড়া এবং ডিমের কুসুমঃ হাই প্রেসারের এর রোগীরা মুরগির চামড়া এবং ডিমের কুসুম খেলে রক্তচাপ বৃদ্ধি পায় সেইসাথে বেড়ে যায় হৃদরোগের ঝুঁকিও। তাছাড়া মুরগির চামড়া উচ্চমাত্রায় চর্বি থাকে যা মানুষের শরীরের কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি করে এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়।

কফিঃ যাদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা আছে তাদের জন্য কফি খাওয়াবে ঝুঁকিপূর্ণ, কারণ ক্যাফেইন রক্তনালীকে সরু করে দেয়, ফলে হঠাৎ করে বেড়ে যাওয়া রক্তচাপের ফলে স্ট্রোক হওয়ার ভয় থাকে। তাই উচ্চ রক্তচাপ থাকলে কফি ও অতিরিক্ত চা পানের অভ্যাস বাদ দিয়ে প্রতিদিন এক কাপ করে গ্রিন টি পান করুন।

হাই প্রেসার কমানোর খাবার

একটি স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রায় পারে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ রাখতে। শরীর ভালো রাখতে নিয়মিত শরীর চর্চা করা এবং দৈনিক ৮ ঘণ্টা ঘুমের প্রয়োজন আছে। তার পাশাপাশি অকারণ উদ্বেগ কমাতে পারলে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকবে। এইভাবে স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রার পাশাপাশি যদি খাবারের তালিকায় কিছু জিনিস যোগ করেন 


এবং কিছু অপ্রয়োজনে খাবার বাদ দেন, তাহলে কিন্তু ওষুধ ছাড়াই নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে উচ্চ রক্তচাপ।বেশ কিছু খাবার রয়েছে যার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ উপকারী ভূমিকা রাখে। চলুন জেনে নেওয়া যাক তেমন কিছু খাবার সম্পর্কে।

আঙ্গুরঃ পটাশিয়াম প্রাকৃতিক মূত্রবর্ধক উপাদান, যা কিডনি থেকে সোডিয়াম নিঃসরণ করে ও রক্তনালী শিথিল করে দেয়। পটাশিয়াম ও ফসফরাসের পরিপূর্ণ আঙ্গুর হাই ব্লাড প্রেসার কমিয়ে দিতে পারে।

গাজরঃ গাজরে বেশি পরিমাণে রয়েছে ফেনোলিক যৌগ যেমন ক্লোরোজেনিক, পি কিউমেরিক এবং ক্যাফেইক অ্যাসিড। আর এর যৌগগুলো রক্তনালীকে শিথিল করতে এবং প্রদাহ কমিয়ে উচ্চ রক্তচাপের মাত্রা কমাতে সাহায্য করতে পারে। আর রক্তচাপ কমাতে গাজর কাঁচা অবস্থায় খাওয়া আরও উপকারী।

পেস্তা বাদামঃ হালকা সবুজ রঙের এই বাদাম রক্তচাপ কমাতে পারে। এতে থাকা বিভিন্ন উপাদান হৃদপিণ্ড ভালো রাখে। উচ্চ রক্তচাপ সমস্যায় ভুগলে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় কয়েকটি পেস্তা বাদাম রাখতে পারেন।

ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফলঃ ভিটামিন সি সমৃদ্ধ বিভিন্ন ফল যেমন-জাম্বুরা, কমলা এবং লেবু ইত্যাদি ফল গুলো উচ্চ রক্তচাপ কমাতে শক্তিশালী হিসেবে কাজ করতে পারে। এগুলো ভিটামিন, খনিজ এবং উদ্ভিদের যৌগ দ্বারা পরিপূর্ণ যার উচ্চ রক্তচাপ কমিয়ে হৃদযন্ত্রের ঝুকি হ্রাস করে এবং আপনার হার্টকে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে।

পালং শাকঃ পালং শাকে নাইট্রেট বেশি থাকে। এছাড়া এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম প্রচুর পরিমাণে থাকায় তা উচ্চ রক্তচাপের মাত্র কমাতে পারে। এছাড়া পালংশাক ধমনী শক্তি হ্রাস করতে এবং হৃদযন্ত্রের উন্নতিতে সাহায্য করতে পারে।

রসুনঃ রসুন রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ রাখতেন সহায়তা করে। কোম্যান বলেন, শত শত বছর ধরে বিভিন্ন ধরনের রোগের চিকিৎসার জন্য প্রাকৃতিক ঔষধ হিসেবে রসুন ব্যবহৃত হয়ে আসছে। গবেষণায় দেখা গেছে, রসুন উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করতে পারেন। রসুন রক্তচাপ কমানোর পাশাপাশি হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করে। এতে ভিটামিন বি ১২ থাকায় তা বেশি কার্যকর।

ব্রকলিঃ ফ্ল্যাভানয়েডসও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে ব্রকলিতে। এই উপাদান গুলো উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। ব্রকলি খেলে রক্তনালী ও নাইট্রিক অক্সাইড এর কার্যকারিতা বাড়ে। ফলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ থাকে।

ওষুধ ছাড়া উচ্চ রক্তচাপ কমানোর উপায়

আমাদের অতি পরিচিত একটি শারীরিক সমস্যা হলো হাই প্রেসার বা উচ্চ রক্তচাপ। উচ্চ রক্তচাপ বা হাই ব্লাডপ্রেসার কে নীরব ঘাতক বলা হয়। উচ্চ রক্তচাপকে তেমন গুরুত্ব না দেওয়ার কারণে হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের ঘটনা দিন দিন বাড়ছে। এসব এড়ানো কিন্তু কঠিন নয়। ওষুধ ছাড়া রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক ওষুধ ছাড়া উচ্চ রক্তচাপ কমানোর উপায়।


উচ্চ রক্তচাপ কমাতে পটাশিয়ামযুক্ত খাবারঃ অনেকই ধরে নেন যে, উচ্চ রক্তচাপ হলেই ওষধ সেবন করতে হবে। তা সব সময় সত্য নয়। আলু,মিষ্টি আলু,কলা,মটর শুটি,কিসমিস,আলুবোখারা, টমেটো ইত্যাদি পটাশিয়ামযুক্ত খাবার খেলে রক্তের চাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে।মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরের নর্থওয়েস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সমীক্ষা থেকে এই তথ্য জানা গেছে।

টকদই খানঃ আমেরিকার ইউনিভার্সিটি অব মিনোসোটার গবেষকদের মতে প্রতিদিন মাত্র এক কাপ করে টক দই খেলে উচ্চ রক্তচাপ প্রায় এক-তৃতীয়াংশ কমে যায় এবং স্বাভাবিক হয়ে আসে। গবেষকদের মতে দই খেলে রক্তচাপ ও রক্তের খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে। গবেষণায় দেখা গেছে, যারা প্রায় ১৫ বছর ধরে প্রতিদিন ১২০ গ্রাম টক দই খায় তাদের উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি প্রায় ৩১% কমে যায় অন্যদের তুলনায়।

নিয়মিত হাটা এবং ব্যায়ামঃ উচ্চ রক্তচাপ কমানোর কার্যকরী উপায় হচ্ছে নিয়মিত ব্যায়াম করা। এটা আমাদের হৃৎপিণ্ড শক্তিশালী করে এবং রক্ত পাম্প করতে আরো বেশি দক্ষ করে তুলে। ফলে আমাদের ধমনীতে চাপ কমে। বিশেষজ্ঞদের মতে,সুস্থ থাকতে চাইলে একজন মানুষের প্রতি সপ্তাহে ন্যূনতম ১৫০ মিনিট মাঝারি ধরনের ব্যায়াম (যেমন-হাটা) 

এবং ৭৫ মিনিট বা তার বেশি জোরালো ব্যায়াম (যেমন- দৌড়ানো) করা উচিত। অনেকেই মনে করেন, জিমে গিয়ে ব্যায়াম করতে হয়। এটা সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। আপনি চাইলে বাসায় বসে জিমের মত ব্যায়াম করে রক্তচাপ কমাতে পারেন।

অতিরিক্ত ওজন কমিয়ে ফেলাঃ উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ রাখতে হলে অতিরিক্ত ওজন কমাতে হবে। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখলে উচ্চ রক্তচাপ আরেকটা কমিয়ে আনা সম্ভব।

স্বাস্থ্যকর খাবার খানঃ গোটা শস্য,ফলমূল,শাকসবজি এবং কম চর্বিযুক্ত দুগ্ধ জাত খাবার খাওয়া রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করতে পারে।এছাড়াও, স্যাচুরেটেড ফ্যাট, ট্রান্স ফ্যাট এবং কোলেস্টেরল বাড়ায় এমন খাবার খাওয়া এড়িয়ে চলুন। আপনার খাদ্যভ্যাস পরিবর্তন করার সহজ নয়, তবে আপনি যদি একটু পরিশ্রম এবং নিয়ন্ত্রণে এটি করেন তবে আপনি সহজেই রক্তচাপ কমাতে পারবেন।

ধূমপান ত্যাগঃ অতিরিক্ত ধূমপানের ফলে ধমনীর দেয়ালে চর্বিযুক্ত পদার্থ জমা হয়। এর ফলে রক্তচাপ বাড়ে। শুধু তাই নয়, এই চর্বিযুক্ত পদার্থ জমতে জমতে ধমনী বন্ধ হয়ে যেতে পারে। তখন হার্ট অ্যাটাক স্ট্রোকের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তাই ধূমপান ছেড়ে দেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।

উপসংহার

প্রিয় পাঠক,হঠাৎ হাই প্রেসার কমানোর ঘরোয়া উপায় গুলো সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানতে পেরেছেন।আপনি যদি এই সম্পর্কে না জেনে থাকেন তাহলে অবশ্যই ভালোভাবে জেনে নিন।আশা করি আপনি আমাদের এই আর্টিকেলটি পড়ে অনেক উপকৃত হয়েছেন। এতক্ষণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার সুস্থতা কামনা করে আজকের মত এখানেই শেষ করছি। 

বিঃদ্র:প্রতিবেদনটি সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে।কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

Umme Haney'র নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url