কি খেলে হাঁপানি ভালো হয় - হাঁপানি থেকে মুক্তির উপায়

হাঁপানি বা অ্যাজমা হচ্ছে শ্বাসনালির প্রদাহ জনিত রোগ। হাঁপানির সমস্যায় অনেকে নিয়মিত ভোগেন। তবে খাবারের কারণেও অনেক সময় হাঁপানি হয়। কিছু নির্দিষ্ট খাবার খেলে হাঁপানি সমস্যা বেড়ে যায়। আবার কিছু নির্দিষ্ট খাবার হাঁপানি সমস্যা কমায়। প্রিয় পাঠক, আজকের এই আর্টিকেলে কি খেলে হাঁপানি ভালো হয় - হাঁপানি থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।
কি খেলে হাঁপানি ভালো হয় - হাঁপানি থেকে মুক্তির উপায়
প্রিয় পাঠক, আজকের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকেন তাহলে হাঁপানি সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানতে পারবেন। তাহলে আর দেরি কিসের, চলুন শুরু করা যাক।

ভূমিকা

হাঁপানি একটি শ্বাসকষ্ট জনিত রোগ। এটি শ্বাসনালির অসুখ। এর ইংরেজি নাম অ্যাজমা। হাঁপানি বলতে আমরা বুঝি শ্বাসপথে বায়ু চলাচলের বাধা সৃষ্টির জন্য শ্বাসকষ্ট। এটি ফুসফুসীয় শ্বাসনালীর দীর্ঘমেয়াদী প্রদাহজনিত রোগ। হাঁপানি বা অ্যাজমা সম্পূর্ণ ভালো করার মতো ওষুধ না থাকলেও সঠিক চিকিৎসায় ও সাবধানে থাকলে এই শারীরিক অবস্থা নিয়ন্ত্রণ করা যায়।


আজকের এই আর্টিকেলে কি খেলে হাঁপানি ভালো হয় ,হাঁপানি থেকে মুক্তির উপায়,হাঁপানি কি ভালো হয়,হাঁপানি রোগের আয়ুর্বেদিক ওষু্‌ধ,শ্বাসকষ্ট হলে কি ওষুধ খেলে ভালো হয় এইসব পয়েন্টগুলো নিয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হবে। তো বন্ধুরা পয়েন্টগুলো সম্পর্কে জানতে হলে আমাদের সাথেই থাকুন। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।

কি খেলে হাঁপানি ভালো হয়

যাদের হাঁপানি রয়েছে, তাদের বেশ সাবধানে চলতে হয়। তারপরও কিন্তু হাঁপানি থেকে নিস্তার পান না। কিন্তু সামান্য কিছু নিয়ম মেনে চললেই হাঁপানি নিয়ন্ত্রণের রাখা সম্ভব। আর রয়েছে বেশ কিছু খাবার, যা নিয়মিত খেলে হাঁপানি মোটামুটি নিয়ন্ত্রণ থাকে। তাহলে চলুন জেনে নেয়া যাক সেই খাবার গুলো কি কি?

কলাঃ কলা আমাদের সকল স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। কলা হাঁপানি রোগীদের জন্য উপকারী ফল। আমরা জানি ফাইবার ফুসফুসের পক্ষে খুবই উপকারী আর এই কলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, ভিটামিন সি, বি৬ ও পটাশিয়াম যা আপনার ফুসফুস ভালো রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই চিকিৎসা করা হাঁপানি রোগীদের প্রতিদিন একটি করে কলা খাওয়ার উপদেশ দেন। কারণ প্রতিদিন একটি কলা খেলে ৩৪% পর্যন্ত হাঁপানি ভালো হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

আপেলঃ আপেলকে একজন ডাক্তারের তুলনা করা হয়। কারণ প্রতিদিন একটি আপেল খেলে প্রায় ৯০ ভাগ রোগের হাত থেকে দূরে থাকা সম্ভব। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, শরীরের যত্ন নিতে আপেল খুব উপকারী একটি ফল। আপেল প্রচুর স্বাস্থ্যগুণ সম্পন্ন একটি খাবার। হাঁপানির হাত থেকে ফুসফুস কে রক্ষা করার জন্য আপেলের ভূমিকা অপরিসীম। তাই হাঁপানি রোগীদের প্রতিদিনের খাবারের তালিকা একটি করে আপেল রাখতে হবে।

ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিডঃ ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার, যেমন- সালমন, সার্ডিন টুনা এবং কিছু উদ্ভিদ জাতীয় যেমন- ফ্ল্যাক্সিড এবং বাদাম আপনার ডায়েটের একটি অংশ হওয়া উচিত। আমেরিকান জার্নাল অফ রেসপিরেটরি এন্ড ক্রিটিকাল কেয়ার মেডিসিন এর মতে,ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া হাঁপানির তীব্রতা হ্রাস করবে।


পালং শাকঃ সবুজ শাক সবজি শরীরের পক্ষে সবসময়ই উপকারী। বিশেষ করে পালংশাক হাঁপানি রোগীদের স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই উপকারী। পালং শাকে ভিটামিন-সি, ভিটামিন-ই, ম্যাগনেসিয়াম, বিটা ক্যারোটিন থাকে। এগুলো সবই হাঁপানি প্রতিরোধকারী উপাদান।

পাকা পেঁপেঃ পাকা পেঁপে পুষ্টিগুণ সম্পন্ন একটি ফল। এতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ভিটামিন, মিনারেল, রয়েছে যা হাঁপানি রোগীদের ক্ষেত্রে খুবই উপকারী। পেঁপে কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে ফলে হৃদপিণ্ড থেকে শুরু করে ফুসফু সুস্থ রাখে

ব্রকলিঃ ব্রকলি রয়েছে সালফোরাফেইন যা আমাদের শ্বাসনালীকে ঠিক রেখে নিঃশ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক রাখে। তাই ব্রকলি খেলে হাঁপানি ভালো হয়।

হাঁপানি থেকে মুক্তির উপায়

অনেকেই সারা বছর হাঁপানিতে ভোগেন। আবার অনেকে তো ঋতু পরিবর্তনের সময় এ রোগে ভোগেন। এই রোগ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বংশগত। তবে কিছু প্রাকৃতিক উপাদান রয়েছে, যা দিয়ে ঘরোয়া উপায় আপনি এ রোগ থেকে সুরক্ষিত থাকতে পারবেন। হাঁপানি থেকে মুক্তির উপায় গুলো আসুন জেনে নেই।

মধুঃ হাঁপানি নিরাময়ের অন্যতম প্রাচীন টোটকা হলো মধু। বিশেষজ্ঞদের মতে, রোজ রাতে ঘুমাবার আগে এক চা চামচ মধুর সঙ্গে দারুচিনি গুঁড়ো মিশিয়ে খেলে শ্বাসকষ্ট কমে যায়। সর্দি কাশিতেও অনেক আরাম পাওয়া যায়।

লেবুঃ পাতিলেবুর রসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এক গ্লাস পানির মধ্যে একটা গোটা পাতি লেবুর রস আর সামান্য চিনি দিয়ে প্রতিদিন খেলে হাঁপানির কষ্ট অনেকটাই কমে যাবে।

ডুমুরঃ ডুমুর কফ ড্রেন এবং শ্বাসকষ্টের সমস্যা উপশম এর সাহায্য করে। তিনটি শুকনো ডুমুর পরিষ্কার পানিতে ধুয়ে একটি পাত্রে সারা রাত ভিজিয়ে রাখতে হবে। সকালে খালি পেটে সে ডুমুর ভেজানো পানি এবং ডুমুর খেয়ে নিতে পারেন। কয়েক মাস বাড়িতেই এই চিকিৎসা চালিয়ে গেলে অবশ্যই ফল পাবেন।

আদাঃ আদা হাঁপানি সহ বিভিন্ন রোগের জন্য একটি সুপরিচিত প্রাকৃতিক চিকিৎসা। গবেষকদের মতে, আদা শ্বাসনালীর প্রদাহ কমাতে এবং শ্বাসনালী সংকোচন রোধে সাহায্য করে। এক কাপ ফুটন্ত পানির মধ্যে মেথি, আদার রস ও মধু দিয়ে অল্প কিছুক্ষণ জ্বাল দিয়ে নিতে হবে। রোজ সকালে ও সন্ধ্যায় এই মিশ্রণটি পান করলে সমাধান পাওয়া যাবে। এছাড়া আপনি কাঁচা আদা লবণ দিয়ে মিশিয়ে খেলে উপকার পাবেন।


পেঁয়াজঃ পেঁয়াজ যে কোনো প্রদাহজনিত রোগ উপশমের খুবই উপকারী। তাছাড়া নাসাপথ পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। শ্বাসকষ্ট দূর করতে কাটা পেঁয়াজ খান।

হলুদঃ হলুদের অন্যতম প্রধান উপাদান কারকিউমিন। এই ফাইটোকেমিক্যাল হাঁপানি কমাতে অ্যাড অন থেরাপি হিসেবে খুবই উপকারী। এটি শরীরের প্রদাহ রোধ করে এবং শ্বাসনালির প্রদাহকে উপশম করে। হলুদ একটি কার্যকারী এন্টি মাইক্রোবিয়াল এজেন্ট। এক গ্লাস উষ্ণ গরম পানিতে এক চা চামচের চার ভাগের এক ভাগ হলুদ গুঁড়া মিশিয়ে খান। এই মিশ্রণটি ১০-১৪ দিনের জন্য দিনে তিনবার করে পান করুন।

কফিঃ কফি হাঁপানি নিয়ন্ত্রণে সহায়ক ভূমিকা পালন করে থাকে। নিয়মিত গরম কফি পান করলে শ্বাসনালী পরিষ্কার হয়। কিন্তু দিনে তিন কাপের বেশি ব্ল্যাক কফি খাওয়া উচিত না। কফির যদিও অনেক উপকার আছে তবে এটি অতিরিক্ত মাত্রায় সেবনে ক্ষতিও আছে।

কালোজিরাঃ কালোজিরাতে আছে প্রচুর পরিমাণে ফসফরাস। এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এবং আপনাকে শ্বাসকষ্ট থেকে মুক্তি দিতে পারে এই কালোজিরা। নিয়মিত কালোজিরা খেলে শ্বাসকষ্ট থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

বিঃদ্র: হাঁপানি থেকে মুক্তি পেতে হলে শীতকালে আপনাকে খুব সচেতন থাকতে হবে। কারণ ঠান্ডা লেগে গেলে আপনার হাঁপানির সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। যদি আপনার হাঁপানি সমস্যা বাড়তে থাকে তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ মত ওষুধ নিন। যেমন-ইনহেলার নেওয়া। ইনহেলার অনেক রকমের হয় ডাক্তারের পরামর্শ মত আপনি সঠিক ইনহেলার নিন।

হাঁপানি কি ভালো হয়

হাঁপানিবা অ্যাজমা এমনই রোগ, যার কোন ওষুধ নেই। একবারে সেরে যাওয়া বা এইসব রোগ নির্মূল করে দেওয়ার মত কোন ওষুধ এখন ও আবিষ্কার হয়নি। ইনহেলার বা ওষুধ নিলে হাঁপানি বা অ্যাজমা কিছু সময়ের জন্য কমে যায় কিন্তু পুরোপুরি ভালো হয় না। ওষুধের মাধ্যমে এজমা বা হাঁপানি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। তাই ওষুধ খেয়ে রোগের প্রকোপ কমিয়ে রাখতে হয়।

শ্বাসকষ্ট হলে কি ওষুধ খেতে হয়ঃ

শ্বাসকষ্ট হলে কি ওষুধ খেতে হবে এই সম্পর্কে এখন আমরা বিস্তারিত জানাবো। শ্বাসকষ্ট হলে আমাদের কি খেতে হবে সেই সম্পর্কে জেনে রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে যে ওষুধগুলো খুবই কার্যকরী এবং শরীরের জন্য ভালো সে ওষুধ গুলো সম্পর্কে আমরা জেনে নেব।

শ্বাসকষ্টের ওষুধের নামঃ
  • ব্রডিল
  • মোনাস ১০ এমজি
  • ফেনাডিন ১২০ এমজি
  • ডক্সিভা ২০০ এমজি
  • ডেক্সোভেন ২০০ এমজি
  • বেক্সিট্রল (ইনহেলার)
এই ওষুধগুলো শ্বাসকষ্টে ভালো ফলাফল এনে দেয়। আমার পরামর্শ থাকবে আপনি ডাক্তার এর পরামর্শক্রমে ওষুধগুলো খাবেন। তবে যে কোন ওষুধ ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া সেবন করবেন না।

হাঁপানি রোগের আয়ুর্বেদিক ওষুধ

তুলসি পাতাঃ ডঃ দেশপান্ডে পরামর্শ দেন, তুলসী আয়ুর্বেদের একটি জনপ্রিয় ভেষজ উপাদান। তুলসী আয়ুর্বেদিক ওষুধ হিসেবে কাজ করে। এতে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি, অ্যান্টিভাইরাল এবং অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল গুন রয়েছে। যা কেবল সংক্রমের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়তা করে না, বরং শরীরের শ্বাস যন্ত্রের শক্তিতে সাহায্য করে।

চায়ের সাথে তুলসী বা মধুর সাথে তুলসী পাতা রস পান করুন। এটি হাঁপানি, ব্রংকাইটিস, ইনফ্লুয়েঞ্জা, কাশি এবং সর্দিতে আক্রান্ত রোগীদের উপশম করতে সহায়তা করতে পারে।

আকন্দ পাতাঃ হাঁপানি রোগ যে রোগে ওষুধের থেকেও আকন্দ পাতা বেশি কার্যকরী।। গ্রাম বাংলার মানুষ হাঁপানি ও শ্বাসকষ্ট জনিত রোগে আকন্দ পাতা ব্যবহার করে। ১৪ টি আকন্দ ফুলের মাঝখানে চৌকো অংশটি নিতে হয়। তার সঙ্গে ২১টি গোল মরিচ দিয়ে একসঙ্গে বেটে ২১টি বড়ি বানাতে হবে। প্রতিদিন সকালে পানি দিয়ে ১ টি বড়ি খেলে হাঁপানি রোগের উপশম হয়। এই ওষুধ খাওয়ার সময় পথ্য হিসেবে শুধু দুধ ভাত খেতে হয়। এতে শ্বাসকষ্ট কেটে যায়।

কাল মেঘঃকালমেঘ আরেকটি আয়ুর্বেদিক উপাদান। এটি শ্বাসকষ্ট কমাতে সহায়তা করে। এতে এন্টি প্রদাহ, অ্যান্টিভাইরাল,অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট,অ্যান্টি-ব্যাকটিরিয়া এবং ইউমিন উত্তেজক বৈশিষ্ট্য রয়েছে।

বহেড়াঃ বহেড়া বীজের শাঁস দুই ঘন্টা অন্তর চিবিয়ে খেলে হাঁপানি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।তবে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী এ পদ্ধতি মেনে চলুন।

ভাসাকাঃ ডঃ দেশপান্ডের মতে,হাঁপানি রোগীদের জন্য আরেকটি উপাদান হলো ভাসাকা। এটি আয়ুর্বেদে ব্যবহৃত একটি সাধারণ উপাদান। শ্বাসযন্ত্রের একটি শক্তিশালী অ্যাক্টিভেটর হিসেবে কাজ করে। হাঁপানি ছাড়াও এটি ব্রংকাইটিস এবং ফুসফুসের অন্যান্য রোগের চিকিৎসায় সহায়তা করে।

উপসংহার

ফুসফুসের রোগ গুলোর মধ্যে একটি রোগ হল অ্যাজমা বা হাঁপানি রোগ। যেকোন বয়সের মানুষই এই রোগে আক্রান্ত হতে পারে। হাঁপানি পুরোপুরি ভালো করার জন্য এখনো কোনো কার্যকর ওষুধ বের হয়নি। তবে সঠিক জিনিস এর মাধ্যমে এ রোগ সম্পন্ন নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমি আপনাদের হাঁপানি বা অ্যাজমা নিয়ে আলোচনা করেছি।

আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনার অনেক উপকারে আসবে।আমার এ পোষ্টটি পড়ে যদি আপনি উপকৃত হন তাহলে পোস্টটা বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিবেন। ধৈর্য ধারণ করে পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

Umme Haney'র নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url