শীতে পা ফাটা দূর করার উপায়

শীতে পা ফাটা দূর করার উপায় সম্পর্কে আজকের এই আর্টিকেল আলোচনা করা হবে। শীত এলেই পা ফাটা নিয়ে সমস্যায় পড়তে হয় অনেকের। শীতের শুষ্কতা ও ধুলাবালির প্রকোপে গোড়ালি আরো শক্ত হয়ে যায়। ফলে পা ফাটার সমস্যা শুরু হয়। পা ফাটা দূর করার ঘরোয়া উপায় তৈরি প্যাকের সাহায্যে ত্বক নরম থাকবে এবং পা ফাটার সমস্যাও ধীরে ধীরে দূর হবে।শীতে পা ফাটা দূর করার উপায়আপনি যদি শেষ পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে থাকেন তাহলে শীতে পা ফাটা দূর করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। তাহলে চলুন কথা না বাড়িয়ে পা ফাটা দূর করার ঘরোয়া উপায় গুলো জেনে নেওয়া যাক।

পা ফাটা দূর করার ক্রিম এর নাম

আপনি কি পা ফাটার দূর করার জন্য পা ফাটা দূর করার ক্রিম এর নাম জানতে চাচ্ছেন। তাহলে জানুন পা ফাটা দূর করার ক্রিম এর নাম। শীতে পা ফাটার সমস্যা নতুন কিছু নয়। আজকের এই পোস্টটিতে পা ফাটা দূর করার ক্রিম এর নাম সম্পর্কে আলোচনা করব।

পতঞ্জলি ক্র্যাক হিল ক্রিম

এই ফুট ক্রিম মেডিকেটেড এবং ক্লিনিক্যালি প্রুভেন। এই ক্রিম আপনার গোড়ালিকে একবারে স্মুথ করে তুলবে। গোড়ালি ফাটা থেকে রক্ষা করবে। শীতকালে প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর সময় এই ক্রিম গোড়ালি ও পায়ের তলায় ভালো করে মেখে নিন।

অ্যাভন ফুটওয়ার্কস ক্র্যাকড হিল রিলিফ ক্রিম

এই ফুট ক্রিম শিয়া বাটারের গুণেসমৃদ্ধ। ২৪ ঘন্টা আপনার গোড়ালি যত্ন নেয়। গোড়ালি ফাটা থেকে তো আরাম দেয়ই, তার সাথে সারা বছর আপনার গোড়ালিকে রাখে নরম এবং মোলায়েম। রাতে ঘুমানোর আগে ভালো করে পা ধুয়ে মুছে ফাটা গোড়ালিতে এবং পায়ের তলায় লাগিয়ে দিন এই ক্রিম।

হিলমেট ক্র্যাকড হিল রিপেয়ার স্পেশালিস্ট ক্রিম

এই ক্রিম আপনার ফাটা গোড়ালি থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য কিন্তু খুবই কার্যকর। এটি ডার্মাটোলজিস্ট দ্বারা স্বীকৃত এবং অ্যাকোয়া ম্যাগনেট টেকনোলজি দ্বারা নির্মিত একটি ক্রিম। এই ক্রিম ব্যবহারে আপনার গোড়ালি হবে নরম এবং মোলায়েম। তবে ক্রিম লাগানোর আগে পায়ের তলা ভালো করে পরিষ্কার করে নিন।

হিমালয়া ওয়েলনেস ফুট কেয়ার ক্রিম

হিমালয়া ফুট ক্রিম সম্পর্কে নতুন করে কিছু আর বলার নেই। ফুড ক্রিম হিসেবে এবং ফাটা গোড়ালি যত্ন নিতে এই ক্রিম সব থেকে বেশি জনপ্রিয়। এটি খুব ভালোভাবে আপনার ফাটা গোড়ালিকে মসৃণ ও নরম করে । এটিও রাতে ঘুমাবার সময় ভালো করে পা ধুয়ে তারপর লাগিয়ে নিন।

ভাদি হারবালস ফুট ক্রিম, অ্যান্ড স্যান্ডেল অয়েল

কোকো বাটার, লবঙ্গ ও চন্দন সমৃদ্ধ এই হারবাল ফুট ক্রিম আপনার ফাটা গোয়ালি যত্ন নিতে অত্যন্ত কার্যকরী। এটি আপনার গোড়ালিকে ফেটে যাওয়া থেকে রক্ষা করে এবং রুক্ষ ফাটা গোড়ালিকে মোলায়েম করে তুলে। ব্যবহার পদ্ধতি বাকি ক্রিমের মতই।

ভাদি জ্যাসমিন অ্যান্ড গ্রিন টি হারবাল ফুট ক্রিম

আপনার পায়ের গোড়ালি যত্ন নিতে এবং ফাটা গোড়ালির থেকে আরাম পেতে এই ফুড ক্রিম ব্যবহার করুন আজ থেকেই। এই ক্রিম ব্যবহারে আপনার গোড়ালি থাকবে একবারই নরম এবং মোলায়েম। হালকা গরম জলে পা ধুয়ে গোসল করার পর এবং রাতে ঘুমানোর আগে ব্যবহার করলে ভালো ফল পাওয়া যাবে।

পা ফাটা দূর করার ঘরোয়া উপায়

শীত পড়তেই পা ফাটার সমস্যা দেখা দিচ্ছে । সবাই এ সময় ত্বকের একটু বাড়তি যত্ন নিয়ে থাকেন। তবে পায়ের গোড়ালির দিকে নজর একটু কমই থাকে। এই সময় অনেকেরই পায়ের গোড়ালি ফেটে যায়। পায়ের গোড়ালি ফেটে গেলে তা সারাতে ঘরোয়া কিছু সমাধান নিজেই করতে পারেন। পা ফাটা সারানোর কিছু ঘরোয়া উপায় গুলো জেনে নিন।

ভ্যাসলিন ও লেবুর রস

ভ্যাসলিনের সঙ্গে কয়েক ফোটা লেবুর রস মিশিয়ে তা ফাটা স্থানে মালিশ করুন। এতে ওই মিশ্রণ সেখানে শোষণ হয় বলে পা ফাটার দ্রুত সেরে যায়।

গ্লিসারিন ও গোলাপজল 

গোলাপজলের সঙ্গে কিছুটা গ্লিসারিন মিশান। এই মিশ্রণ পায়ের গোড়ালিতে লাগিয়ে সারারাত রেখে দিন। এতে পা ফাটা ও ব্যথা কমবে।

অ্যালোভেরা জেল ও অলিভ অয়েল

প্রতিবার পা ধোয়ার পর অ্যালোভেরা জেল ও অলিভ অয়েলের একটি মিশ্রণ তৈরি করে পুরো পায়ে ভালো করে লাগিয়ে নিতে হবে। এতে পা ফাটা ভয় কমবে। সেই সঙ্গে পা হবে কোমল।

ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর ব্যবহার

পা ভালো রাখতে সাহায্যকারী আরেকটি উপাদান হলো ভিটামিন ই ক্যাপসুল। সেজন্য কয়েকটি ভিটামিন ই ক্যাপসুল ফুটো করে তেলটুকু বের করে নিন। এবার সেই তেল পেট্রোলিয়াম জেলির সঙ্গে মিশিয়ে নিন। এবার এই মিশ্রণটি রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে পায়ে মেখে মোজা পড়ে নিন। এতে পা ফাটা তো কমবেই, সে সঙ্গে পা ও থাকবে নরম।

মধুর ব্যবহার

প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপটিক উপাদান হলো মধু। পায়ের ফাটা দাগ দূর করতে পারেন এটি। গরম পানি আর মধু মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন। আলতো করে গোড়ালিতে লাগিয়ে মোজা পড়ে নিন। ১০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে তিন চার দিনে এই মিশ্রণ ব্যবহার করতে পারেন।

পায়ের গোড়ালি ফাটা দূর করার ঘরোয়া উপায়

শীতকালে ত্বক শুষ্ক হতে শুরু করে। মুখের পাশাপাশি হাত এবং পা ও নিস্তেজ হয়ে পড়ে। এদের মধ্যে পায়ের গোড়ালির অবস্থা শোচনীয় হয়ে পড়ে। অনেক সময় ফাটা গোড়ালি থেকে রক্ত পর্যন্ত বেরিয়ে পড়ে। তাই গোড়ালি সুস্থ রাখতে কিছু ঘরোয়া উপায় মেনে চলতে পারেন। ঘরোয়া উপায়ে তৈরি করা প্যাকের সাহায্যে গোড়ালি ফাটা সমস্যা ধীরে ধীরে দূর হবে।

অ্যালোভেরা দিয়ে তৈরি প্যাক

অ্যালোভেরা জেল, গ্লিসারিনএবং নারকেল তেল ভালোভাবে মিশিয়ে প্যাক বানিয়ে নিন। আবার বাজার থেকে কিনে আনা জেলে ব্যবহার করতে পারেন। এই প্যাকটি পায়ে লাগিয়ে ১৫ মিনিটের জন্য ছেড়ে দিন। তারপর ভালোভাবে ম্যাসাজ করে নিন।

 অলিভ অয়েল ও ওটসের প্যাক

পা নরম রাখার জন্য অলিভ অয়েল ও ওটসের প্যাক ব্যবহার করতে পারেন। এর জন্য ওটস অলিভ অয়েল এবং নারকেল তেলকে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন এবং গোড়ালি পরিষ্কার করে সেখানে লাগিয়ে রাখুন। ভালোভাবে ম্যাসাজ করুন এবং ১৫ থেকে ২৫ মিনিট পর্যন্ত ছেড়ে দিন। ম্যাসাজ করলে মৃত ত্বক সরে যায়।

 কলার প্যাক

কলার সাহায্যে ফাটা গোড়ালি যত্ন নিতে পারেন। পাকা কলাকে মেখে নিয়ে গোড়ালিতে লাগান। মিনিট কুড়ি রেখে পা ধুয়ে ফেলুন। এতে গোড়ালি ফাটার সমস্যার দূর হয়ে যাবে।

 ঘরোয়া স্ক্রাব

পায়ের ত্বকের মৃত কোষ প্রতিদিন পরিস্কার করতে হয়। ময়লা জমতে দিলেই কিন্তু কড়া পড়ার আশঙ্কা বাড়বে। চালের গুড়া, মধু, লেবুর রস, দুধে সর দিয়ে ঘরোয়া স্ক্রাব তৈরি করে নিন। ফুটবাথ নেওয়ার পর এই প্যাক লাগিয়ে কিছুক্ষণ রাখুন। শুকিয়ে গেলে ঘষে ঘষে তুলে ফেলুন। চক্রাকার হাত চালিয়ে ঘুষলে খুব ভালো স্কাবিং হবে।

হাত পা ফাটা দূর করার উপায়

শীতে হাত পা ফাটা একটি অন্যতম সমস্যা। মূলত শুষ্ক আবহাওয়া, অতিরিক্ত ঠান্ডা, ধুলোবালির প্রকোপ ইত্যাদি কারণে এই সমস্যাটি বেশি দেখা যায়। এছাড়াও শরীরে ভিটামিন, আয়রন ও ক্যালসিয়াম অভাবে হাত পা ফাটতে পারে। এছাড়াও অবহেলা ও সঠিক যত্নের অভাবে অনেকেরই হাত পা ফেটে যায়। জেনে রাখুন হাত পা ফাটা দূর করার কিছু ঘরোয়া উপায়।

  • হালকা গরম পানিতে এক টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে তাতে ১৫ মিনিট হাত পা ডুবিয়ে রাখুন। পায়ের চামড়া নরম হলে ফুট স্ক্রাবারের সাহায্যে ভালো করে স্ক্রাব করে নিন।
  • হাত ও পা ফেটে যাওয়া থেকে মুক্তি পেতে নিয়মিত অলিভ অয়েল দিয়ে মাসাজ করতে পারেন। এটি মশ্চারাইজার হিসেবে ভালো কাজ করে।
  • ভ্যাসলিন হাত ও পায়ের সুরক্ষায় অনেক কার্যকরী। প্রতিদিন রাতের বেলায় ঘুমানোর আগে ভ্যাসলিন লাগাতে পারেন, এতে ত্বক শুষ্কতা থেকে মুক্তি পাবে।
  • পেঁয়াজের রস পা ফাটার জন্য খুবই কার্যকরী। পেঁয়াজে রয়েছে ভিটামিন এ ,সি এবং ই। ভিটামিন সি ত্বককে সুস্থ রাখে এবং ভিটামিন এ ত্বকের আদ্রতা বজায় রাখে। পেঁয়াজের রস এক সপ্তাহে নিয়মিত ব্যবহার করলে ফল দেখবেন ম্যাজিক এর মত। ফাটা তো দূর হবেই, সঙ্গে দাগও মিলিয়ে যাবে ।

পা ফাটা দূর করার ক্রিম বাংলাদেশ

প্রিয় পাঠক আপনি কি পা ফাটা থেকে মুক্তির উপায় খুঁজছেন? পা ফাটা দূর করার ক্রিম বাংলাদেশ সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? মানুষের সামনে পা ফাটার কারণে বের হতে পারছেন না? তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য বিভিন্ন কারণে আমাদের পা ফেটে থাকে তাই আজকে আমরা আপনাদের এই সমস্যার সমাধান দিয়ে দিব।

আপনার যদি পা ফাটা সমস্যা থেকে থাকে তবে অবশ্যই এই পর্বটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। পা ফাটা দূর করার ক্রিম বাংলাদেশ সম্পর্কে আপনি জানতে পারবেন বাংলাদেশী কোনটি ভালো। বাজারে পা ফাটার বিভিন্ন ধরনের ক্রিম পাওয়া যায়। তবে পা ফাটা দূর করার উপায় সম্পর্কে জানতে আপনি একজন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ দেখাতে পারেন।

তবে বাজারে পাকা রোগের কিছু উল্লেখযোগ্য ক্রিম পাওয়া যায় যেমনঃ রেমি পা ফাটা, হিল গার্ড, ইমুরিয়া ২৫, বোরো প্লাস, ক্রেক হিল, হিমালয় ফুট কেয়ার অন্যতম। এই ক্রিম ব্যবহার করে পা ফাটা দূর করতে পারেন। এগুলো সব বাংলাদেশের বাজারে কিনতে পাওয়া যায়। আশাকরি বুঝতে পেরেছেন পা ফাটা দূর করার ক্রিম বাংলাদেশে কোনগুলো।

পা ফাটা থেকে মুক্তির উপায়

পা ফাটার অন্যতম কারণ হলো নিয়মিত পা পরিষ্কার না রাখা ও যত্ন না নেওয়া। এজন্য পায়ের যত্নে বাড়তি মনোযোগ দিতেই হবে। মুখের মত পায়ের ও যত্ন নেওয়া উচিত। তবে ঘরে বসে কিছু ঘরোয়া উপায়ে পা ফাটার এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে।

বেকিং সোডার ব্যবহার

একটি বালতি অথবা গামলায় তিন লিটার পানি ঢালুন। পানিতে তিন চামচ বেকিং সোডা ভালোভাবে মিশান। পানিতে ২০ মিনিট পা ডুবিয়ে রাখুন। পানি থেকে পা তুলে পিউমিক স্টোনের সাহায্যে পায়ের গোড়ালি আস্তে আস্তে ঘষুন। মরা চামড়া তুলে ফেলুন।

এরপর পরিষ্কার পানি ধুয়ে তোয়ালে দিয়ে মুছে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন। পা শুকিয়ে এলে মশ্চারাইজার ম্যাসাজ করুন। সপ্তাহে অন্তত তিনবার এইভাবে বেকিং সোডা ব্যবহার করুন। তাহলে পা কোমল ও আকর্ষণীয় হবে। পা ফাটা রোধ হবে।

ভেজিটেবল অয়েলের ব্যবহার

পা ফাটা রোধের জন্য কার্যকরী কিছু ভেজিটেবল তেল আছে। যেমনঃ অলিভ অয়েল, তিলের তেল, নারকেল তেল, সরষের তেল, ও বাদাম তেল ইত্যাদি ব্যবহারে পা ফাটা রোধ হয়, পা আকর্ষণীয় ও কোমল হয়। রাতে ঘুমানোর পূর্বে পরিষ্কার পায়ে তেলের মালিশ করে ঘুমান। অল্প দিনের মধ্যেই আশানুরূপ ফল পাবেন।

পাকা কলার ব্যবহার

পাকা কলা চটকে পায়ের ফাটা অংশে ২০ মিনিট লাগান। কিছুক্ষণ পর কুসুম গরম পানি দিয়ে পা ধুয়ে ফেলুন। এতে প্রচুর ভিটামিন রয়েছে, যা পা ফাটা রোধ করতে সাহায্য করে। পায়ের ত্বক কোমল ও মসৃণ হবে।

গরমে পা ফাটা দূর করার উপায়

আজকাল শুধু আর শীতকালে নয় সারা বছরই পা ফাটছে। এর জন্য আবহাওয়ার পরিবর্তন, দূষণসহ আরো নানা কারণ দায়ী। আর পায়ের গোড়ালির ত্বকের শুষ্কতা বেশি। পায়ের গোড়ালি ফাটলে যেমন দেখতে খারাপ লাগে তেমনি ব্যক্তিত্ব নষ্ট হয়। চলুন জেনে নেয়া যাক কিভাবে পায়ের যত্ন নিবেন।

মাউথওয়াশ

শুনতে অবাক মনে হলেও মাউথওয়াশ পায়ের যত্নে কার্যকর। মাউথওয়াশ খুব ভালো ব্যাকটেরিয়া দূর করে। আর শুষ্ক ত্বকের জন্য ও খুব ভালো। এক বালতি পানিতে মাউথ ওয়াশ দিয়ে ১৫ মিনিট পা ডুবিয়ে রাখুন। এতে খুব ভালো কাজ হয়। প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে এটা করতেই পারেন।

ভিনেগার

ভিনেগার এর মধ্যেও থাকে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান। আপেল সিডার ভিনেগার খুবই ভালো। হাফ বালতি পানিতে দুই চামচ ভিনেগার দিন। এরপর তাতে পা ডুবিয়ে রাখুন। এতেও ভালো কাজ হয়।

সিয়া বাটার

সিয়া বাটারের মধ্যে ময়েশ্চারাইজার উপাদান থাকে যা ত্বকের জন্য খুবই ভালো। প্রতিদিন ঘুমাতে যাওয়ার আগে পায়ে লাগান। দেখবেন কিছুদিন ব্যবহারে পা ফাটা সেরে গেছে। উপরের নিয়ম গুলো ছাড়া পা সুন্দর রাখতে পানি খেতে পারেন, জুতা পরতে হবে সেইসঙ্গে পা যেন বিশ্রাম পায় সেদিকে খেয়াল রাখবেন।

সারা বছর পা ফাটা

শুধু শীতকাল নয়, অনেকেরই সারা বছর পায়ের গোড়ালি ফাটে। এর কারণ গোড়ালির ত্বকের শুষ্কতা। অনেক বেশি হাঁটাচলা, দিনে দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে কাজ করা, ডিহাইড্রেশন ইত্যাদির কারণেও সারা বছর পা হাঁটতে পারে। দীর্ঘদিনের পা ফাটা সমস্যা দূর করতে ছোট ছোট কিছু বিষয় লক্ষ্য রাখা জরুরি। পা ফাটা রোধ করতে জেনে নিন তার পরামর্শ।
  • যদি খোলা সেন্ডেল বা জুতা পড়ার অভ্যাস থাকে তাহলে ১০ দিনে অন্তত একবার পেডিকিউর করা উচিত।
  • যাদের সবসময় পা ফাটে তারা কখনোই পাওয়া শুষ্ক রাখবেন না। প্রতিবার ভেজানোর পর ভালোভাবে মুছে পায়ের গোড়ালি ও পুরো পাতায় অলিভ অয়েল লাগাতে হবে।
  • প্রতিদিন গোসলের সময় ঝামা পাথর দিয়ে পায়ের গোড়ালি আঙুলের ডগা পরিষ্কার করুন। কারণ মরা কোষ জমে জমে পুরু স্তর তৈরি করে যার কারণে গোড়ালি শক্ত হয়ে যায় এবং পা ফাটে।
  • প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন। পানি বা পানিজাতীয় খাবার কম খেলে ত্বকের সুস্থতা পা ফাটার মত সমস্যা দেখা দেয়। দৈনিক কমপক্ষে ৪ লিটার পানি পান করুন।
ঘরোয়া সমাধান গুলো জেনে নিন

ভেজিটেবল অয়েল: অলিভ অয়েল, তেলের তেল, নারকেল তেল, সরষে তেল ও বাদাম তেল পা ফাটার সবচেয়ে সহজ সমাধান। ভালো ফলাফল পেতে রাতে ঘুমানোর আগে পা পরিষ্কার করে যে কোন ভেজিটেবল অয়েল ম্যাসাজ করে ঘুমান। অলিভ অয়েল তেল সবচেয়ে উত্তম।

চালের গুড়া : আধা কাপ চালের গুড়া, এক চা চামচ মধু ও এক চা চামচ সিরকা একসঙ্গে মিশিয়ে পায়ে ম্যাসাজ করুন। খুব বেশি ফাটা হলে কয়েক ফোঁটা নারকেল তেল মেশাতে পারেন।

লেখকের মন্তব্য

প্রিয় পাঠক আপনারা যারা আমাদের এই পোস্টটি পড়েছেন তারা নিশ্চয়ই শীতে পা ফাটা দূর করার উপায় সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে পেরেছেন। আশা করি পরবর্তী শেষ করে আপনি উপকৃত হয়েছেন। আমাদের এই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ে শীতে পা ফাটা দূর করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। আজকের মত এখানেই শেষ করছি ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

Umme Haney'র নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url