গর্ভাবস্থায় কি কি খেলে বাচ্চা ফর্সা হয়
প্রিয় পাঠক,গর্ভাবস্থায় কি কি খেলে বাচ্চা ফর্সা হয়এ বিষয়ে আপনি জানার জন্য অনেক জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেছেন কিন্তু এর সঠিক উত্তর কোথাও খুঁজে পাচ্ছেন না।তাহলে আজকের এই আর্টিকেল আপনার জন্য। আজকের এই আর্টিকেলে গর্ভাবস্থায় কি কি খেলে বাচ্চা ফর্সা হয় এই সম্পর্কে বিস্তারিত হবে আলোচনা করা হবে।
আজকের এই আর্টিকেলে শুধু গর্ভাবস্থায় কি কি খেলে বাচ্চা ফর্সা হয় এই বিষয়েই আলোচনা করা হয় নাই এছাড়া অনেক পয়েন্ট নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। যদি আপনি পয়েন্টগুলো ভালোভাবে জানতে চান তাহলে এই আর্টিকেলটি শুরু হতে শেষ পর্যন্ত সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
ভূমিকা
প্রিয় পাঠক, এ আর্টিকেলে গর্ভাবস্থায় কি কি খেলে বাচ্চা ফর্সা হয়, গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা বুদ্ধিমান হয়, গর্ভাবস্থায় খেজুর খেলে কি হয়, কি খেলে বাচ্চার ব্রেনই ভালো হয়, গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা লম্বা হয়, গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চার চুল ঘন হয়, গর্ভের সন্তান ফর্সা হওয়ার আমল, গর্ভাবস্থায় মুড়ি খেলে কি হয়, এই বিষয়গুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
গর্ভাবস্থায় কি কি খেলে বাচ্চা ফর্সা হয়
গর্ভবতী মহিলাদের স্বাভাবিকের চেয়ে একটু বেশি ক্ষুধা পায় এবং সেই সময় মত ঠিকমতো খাওয়া-দাওয়া করাটা আসলে তাদের জন্য খুব জরুরী। কেননা এই খাবার মায়ের সাথে শিশুর জন্য অনেক বেশি দরকারি। আমাদের দেশের বেশিরভাগ মানুষ চান তাদের অনাগত সন্তানের গায়ের রং যেন উজ্জ্বল হয়। এজন্য পুষ্টিকর খাবার গ্রহণের পাশাপাশি নিজের জীবনাচরণের ইতিবাচক পরিবর্তন আনা প্রয়োজন।
তবে জানেন কি গর্ভাবস্থায় আপনার নেওয়া পদক্ষেপ যেমন প্রভাব ফেলে আপনার বাচ্চার স্বাস্থ্যের ওপর। তেমনি তা প্রভাব ফেলতে পারেন বাচ্চার গায়ের রঙের ওপরও।যদিও অনেকেই আমাদের মধ্যে শিক্ষিত, তারপরও ফর্সা বাচ্চা চাহিদা মনের গভীরে রয়েই যায়। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক গর্ভাবস্থায় কি কি খেলে বাচ্চা ফর্সা হয়।
ডিমঃ প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী বিশ্বাস করা হয় যে, যদি ফর্সা বাচ্চা চান তাহলে গর্ভাবস্থার দ্বিতীয় তিনমাসে ডিমের সাদা অংশ গ্রহণ করা উচিৎ। তবে সত্য এই যে গর্ভাবস্থায় নিয়মিত ডিম খাওয়া মায়ের জন্য খুব জরুরি। ডিমের অধিকাংশ পুষ্টি গুণ এর কুসুমের মাঝেই থাকে। তাই কুসুম খাওয়া বাদ দেয়া চলবে না।
টমেটোঃ টমেটোতে লাইকোপেন থাকে যা ক্ষতিকর আল্ট্রা ভায়োলেট রে এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে সূর্যের আলোর ক্ষতিকর প্রভাব থেকে ত্বককে রক্ষা করে। বিশ্বাস করা হয় যে, গর্ভাবস্থায় টমেটো খেলে বাচ্চার বর্ণ ফর্সা হয়।
চেরিঃ চেরি খাওয়া এই সময় বেশ উপকারী। চেরিতে আছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। যা নিয়ম করে খেলে বাচ্চার ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে। তেমনই ত্বকের জন্য স্ট্রবেরি ও ব্ল্যাকবেরি খাওয়া যেতে পারে। গর্ভাবস্থায় এমন ফল খান। এটি বাচ্চার জন্য উপকারী। এতে গর্ভস্থ বাচ্চার শরীরে যেমন পুষ্টির জোগান ঘটবে তেমনই বাচ্চার গায়ের রং ফর্সা হবে। তার ত্বকে আসবে জেল্লা।
জাফরান দুধঃ মনে করা হয় জাফরান(saffron) গর্ভের শিশুর গায়ের রঙ উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে। তাই গর্ভাবস্থার ৯ মাসই যদি কোনও মা নিয়ম করে দুধে জাফরান মিশিয়ে খায়, তবে সন্তান ফর্সা হবে।
বাদামঃ আপনি যদি ফর্সা সন্তান চান, তাহলে গর্ভাবস্থায় শুকনো বা ভেজানো আলমন্ড বাদাম খান।অনেকেই বিশ্বাস করেন, বাদাম মিশ্রিত দুধ গায়ের রঙ পরিষ্কার করতে সাহায্য করে, তাই গর্ভাবস্থায় খাওয়া উচিত।
নারিকেলঃ প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী নারিকেলের সাদা শাঁস গর্ভের শিশুর বর্ণ ফর্সা করে। তবে গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত নারিকেল খাওয়া মোটেই স্বাস্থ্য সম্মত নয়। খেতে পারেন, তবে পরিমিত।
শুধুমাত্র ত্বকের সৌন্দর্যই কোন মানুষের একান্ত আকাঙ্ক্ষিত বিষয় হতে পারে না। গর্ভবতী মায়ের উচিৎ সুস্থ, মেধাবী ও স্বাভাবিক শিশু জন্মের জন্য চেষ্টা করা। তাই পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণের সাথে সাথে নিজের জীবনধারাতেও ইতিবাচক পরিবর্তন আনা প্রয়োজন।
গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা বুদ্ধিমান হয়
সন্তান বুদ্ধিমান হবে এমন স্বপ্ন সব মায়েরই। এটি নির্ভর করে গর্ভাবস্থায় মায়ের খাদ্যাভ্যাসের উপর।মায়ের সঠিক খাবারের অভাবে শিশুর মানসিক বিকাশে সমস্যা দেখা দিতে পারে। গর্ভাবস্থায় মা কী খায় সেটা সন্তানের শারীরিক ও মানসিক গঠনে বড় ভূমিকা পালন করে। গর্ভাবস্থায় আপনি এমন কিছু খাবার খেতে পারেন
যা আপনার বাচ্চার আইকিউ (ইন্টেলিজেন্স কোশেন্ট) বাড়াতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, আপনার সন্তান যখন জন্মগ্রহণ করে ওর মস্তিষ্কের মাপ যে কোনও পূর্ণ বয়স্ক মানুষের ২৫% হয়। ২ বছর বয়সে সেটা বেড়ে হয় ৭৫% যা স্বাভাবিক মস্তিষ্ক। প্রথম দুই বছর সন্তানের জন্য দরকার মস্তিষ্কের সঠিক বিকাশ।জেনে নিন বুদ্ধিমান সন্তানের জন্য গর্ভাবস্থায় কী কী খাবেন-
তেলযুক্ত মাছঃ স্যালমন, টুনা, ম্যাকারেল ইত্যাদি ওমেগা-৩ ফ্যাটি এ্যাসিডসমৃদ্ধ। এগুলো বাচ্চার মস্তিষ্কের বিকাশের জন্য খুবই জরুরি। এক গবেষণায় দেখা গেছে, তুলনামূলকভাবে যেসব মায়েরা গর্ভাবস্থায় সপ্তাহে দুইবারের কম মাছ খায় তাদের সন্তানের আইকিউ মাত্রা অন্যদের তুলনায় কম।
আমন্ডঃ স্বাস্থ্যকরস্নেহপদার্থ(ফ্যাট)ম্যাগনেশিয়াম,ভিটামিন-E এবং প্রোটিনে পরিপূর্ণ হল আমন্ড।মস্তিষ্কের ক্ষমতা বৃদ্ধিকারী ওমেগা– 3 ফ্যাটি অ্যাসিড আমন্ডে প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়।প্রতিদিন একমুঠো করে আমন্ড খেলে আপনি সক্ষম হবেন জন্মমুহূর্ত থেকে বুদ্ধিমান একটি সন্তান প্রসব করতে।গর্ভাবস্থায় মটরশুটি গ্রহণ সন্তানের বুদ্ধি বিকাশের সহায়ক।আখরোটও ওমেগা-3 ফ্যাটি অ্যাসিডে ভরপুর।
আয়োডিনঃ আয়োডিনের অভাব, বিশেষ করে গর্ভাবস্থার প্রথম ১২ সপ্তাহে সন্তানের আইকিউ কম করে দিতে পারে। গর্ভাবস্থায় আয়োডিনযুক্ত লবণ খান। এ ছাড়া সামুদ্রিক মাছ, ডিম, দই ইত্যাদি খেতে পারেন।
ডিমঃ ডিম অ্যামাইনো এ্যাসিড কোলিন সমৃদ্ধ,যাতে মস্তিষ্কের গঠন ভালো হয় ও স্মরণশক্তি উন্নতি হয়। গর্ভবতী নারীদের দিনে অন্তত দুটো করে ডিম খাওয়া উচিত যার থেকে কোলিনের প্রয়োজনের অর্ধেক পাওয়া যায়। ডিমে থাকা প্রোটিন ও লোহা জন্মের সময় ওজন বাড়িয়ে দেয়। কম ওজনের সাথে কম বুদ্ধি বা আই.কিউ-র সাথে সম্পর্ক রাখা হয়।
দইঃ সন্তানের স্নায়ুকোষ গঠনের জন্য আপনার শরীর প্রচুর পরিশ্রম করে। এ জন্য আপনার বাড়তি কিছু প্রোটিন লাগবে। আপনাকে প্রোটিনযুক্ত খাবার বেশি করে খেতে হবে। যেমনঃদই। দইয়ে ক্যালসিয়াম আছে যা গর্ভাবস্থায় প্রয়োজন হয়।
গর্ভাবস্থায় খেজুর খেলে কি হয়
গর্ভাবস্থার শেষের দিকে খেজুর খাওয়া প্রসব ব্যথা কমাতে এবং দ্রুততম সময়ে সন্তান জন্মদানে সহায়তা করে।গর্ভাবস্থায় খেজুর খাওয়ার প্রচলন নতুন নয়। একটা সময় যখন চিকিৎসাসেবা এতটা সহজলভ্য ছিল না, তখনও কিন্তু গর্ভবতী নারীদের খেজুর খাওয়ার অভ্যাস ছিল। এর বড় কারণ হলো, গর্ভাবস্থায় নিয়মিত খেজুর খেলে লেবার পেইন অনেকটা কম হয়।
খেজুরে ফ্রুক্টোজ থাকে যা দ্রুত ভেঙে যায় এবং কারো রক্তে শর্করার মাত্রা পরিবর্তন না করে তাৎক্ষণিক শক্তি সরবরাহ করে। গর্ভাবস্থায় খেজুর খাওয়া ভালো কারণ এগুলিতে ল্যাক্সেটিভ রয়েছে যা জরায়ুর সংকোচনে সহায়তা করে এবং এটি সংক্ষিপ্ত করে প্রসব শ্রমকে সহজ করে।গর্ভাবস্থায় খেজুর খুব উপযোগী। খেজুরের মধ্যে ভিটামিন বি৬ অর্থাৎ ফলিক অ্যাসিড রয়েছে।
এই পুষ্টি অন্তঃসত্ত্বায় ভীষণ জরুরি। তাছাড়া খেজুর নর্ম্যাল ডেলিভারিতে সাহায্য করে। প্রসবের সময় লেবর পেইন কমাতে সাহায্য করে। সন্তান প্রসবের সময় শরীর থেকে অনেক রক্ত বের হয়ে যায়। এর ফলে মায়ের শরীর দুর্বল হয়ে যায়। গর্ভাবস্থায় এবং প্রসবের পরে নিয়ম করে খেজুর খেলে তা শরীরে দ্রুত রক্ত উৎপাদন করে। এতে মা তার হারানো শক্তি বেশ দ্রুত ফিরে পান।
গর্ভাবস্থায় প্রচুর ক্যালোরির প্রয়োজন হয়, তাই যখনই গর্ভবতী মা ক্ষুধার্ত হবেন তখন কয়েকটি খেজুর খেতে পারেন গর্ভবতী মহিলারা প্রায়ই ক্লান্ত অনুভব করেন । এক্ষেত্রে খেজুর খাওয়ার ফলে এটি যে শক্তি সরবরাহ করে তা থেকে গর্ভবতী নারীরা উপকৃত হতে পারেন। এটিগর্ভাবস্থায় ওজনকে তীব্রভাবে প্রভাবিত না করে শরীর ও গর্ভে থাকা শিশুর জন্য প্রয়োজনীয় ক্যালোরি সরবরাহ করে।
কি খেলে বাচ্চার ব্রেইন ভালো হয়
সন্তানের মস্তিষ্কের বিকাশ মায়ের গর্ভাবস্থায়ই শুরু হয়। সে জন্য এ সময় দরকার মায়ের বাড়তি যত্ন। খাদ্যতালিকায় কিছু বিশেষ খাবার থাকলে গর্ভস্থ শিশুটির মস্তিষ্কের বিকাশ সঠিকভাবে হয়। আসুন জেনে নিই সেসব খাবার সম্পর্কে।
পালং শাক, মেদ ছাড়া মুরগির মাংস ও বিনসঃ এগুলো লোহা সমৃদ্ধ খাবার যা আপনার সন্তানকে বুদ্ধিমান হতে সাহায্য করে।এই খাবারগুলো গর্ভাবস্থায় অবশ্যই খাওয়া উচিত। লোহা আপনার গর্ভস্থিত সন্তানের কাছে অক্সিজেন পৌঁছে দেয়।
ব্লুবেরিঃ ব্লুবেরির মত ফল, আর্টিচোক (ডাটা গাছ), টমেটো ও লাল বিন্সে এ্যান্টি ওক্সিডেন্ট থাকে। তাই গর্ভাবস্থায় এই ফলগুলো আপনার সন্তানের মস্তিষ্কের টিস্যুকে রক্ষা করে ও বিকাশে সাহায্য করে।
কমলালেবুঃ কমলার রস আপনাকে ফোলেট, পটাসিয়াম এবং অবশ্যই ভিটামিন সি দিয়ে পূরণ করতে পারে। এটি আপনার শিশুকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করতে পারে যা বিভিন্ন ধরনের জন্মগত ত্রুটি প্রতিরোধ করবে। কমলার রসে থাকা ভিটামিন সি আপনার শিশুর শরীরে আয়রন শোষণ করার ক্ষমতা বাড়াবে। তাই সকালের নাস্তায় প্রতিদিন এক গ্লাস কমলার রস খান।
আয়রনওফলিকএসিডঃকলা,শুকনোফল, পুদিনাপাতা, সবুজ শাকসবজিতে আয়রন ও ফলিক অ্যাসিড আছে, যা গর্ভস্থ শিশুর মস্তিষ্ক বিকাশে, বুদ্ধিমত্তা বাড়াতে সাহায্য করে। এ ছাড়া গর্ভধারণের আগে থেকেই ফলিক অ্যাসিড সেবন অনাগত সন্তানের জন্মগত ত্রুটি প্রতিরোধে সাহায্য করে।
ভিটামিন ডিঃ এটি বাচ্চার মস্তিষ্কের বিকাশের জন্য খুব দরকার। গবেষণায় দেখা গেছে যেসব মায়েদের ভিটামিন মাত্রা প্রয়োজনের চেয়ে কম থাকে তাদের বাচ্চার মস্তিষ্ক দুর্বল হয়। ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট ছাড়া সূর্য্যের আলো নিন। ডিম, চীজ, বিফ, লিভার ইত্যাদি ভিটামিন ডি যোগায়।
অ্যাভোকাডোঃ এটি আরেকটি স্বাস্থ্যকর খাবার যা আপনি আপনার শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশের জন্য গর্ভাবস্থায় খেতে পারেন। অ্যাভোকাডো ভিটামিন বি এবং সি এর একটি সমৃদ্ধ উৎস। এগুলিতে আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম এবং ফোলেটের মতো প্রয়োজনীয় পুষ্টিও রয়েছে।
গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চার চুল ঘন হয়
জন্মের সময়ে সব শিশুর মাথায় চুল থাকে না। আবার কোনও কোনও শিশুর অনেক চুল থাকে। কিন্তু কেন এমন হয়? এর উত্তর অনেকেরই অজানা। এ প্রশ্নেরই একটি সম্ভাব্য উত্তর মিলল কিছু গবেষকের কথায়।বলা হয় যে গর্ভাবস্থার নয় মাসে আপনি যা খান তা আপনার শিশুর স্বাস্থ্যের সিদ্ধান্ত নেয়। আপনার শরীরে সঠিক পুষ্টি পাওয়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক
আপনার শিশুর চুলের বৃদ্ধিকেও প্রভাবিত করে। আপনি যদি আপনার শিশুর ঘন এবং মজবুত চুলের অধিকারী হতে চান তবে আপনার খাদ্যতালিকায় কিছু খাবার নিয়মিত গ্রহণ করতে হবে। যেহেতু ইস্ট্রোজেন আপনার শিশুর চুলের বৃদ্ধির জন্য দায়ী, তাই গর্ভাবস্থায় আপনার সন্তানের চুলের সঠিক বৃদ্ধির জন্য এই খাবারগুলি আপনাকে অবশ্যই আপনার খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
আসুন জেনে নেই সেই খাবার গুলো কি কি
- ডিম
- মাছ
- বাদাম
- অ্যাভোকাডো
গর্ভের সন্তান ফর্সা হওয়ার আমল
মায়েদের গর্ভে যখন সন্তান আসে তখন মায়েরা সবসময় পবিত্র অবস্থায় থাকেন এবং সেই পবিত্র অবস্থায় থাকার সময় যদি সে কোন আমল করেন তাহলে আল্লাহ তায়ালা সঙ্গে সঙ্গে সে আমলের ফজিলত তাকে দিবেন। মা হওয়া কতটা গুরুত্বপূর্ণ সেটা একজন মেয়েই উপলব্ধি করতে পারেন এবং যারা মা হতে পারেন তারা সব থেকে ভাগ্যবান।
তাই অবশ্যই আমাদের সুযোগ বুঝে আমল করতে হবে।সাধারণত গর্ভাবস্থায় সন্তান সন্তান ফর্সা হবে এমন কোন নির্দিষ্ট আমল উল্লেখ নেই। তবে নেককার এবং সুন্দর সন্তান চাওয়াটা আপনার অধিকার। তাই আল্লাহ তাআলা কুরআন অনুযায়ী নবীর সুন্নাহ অনুযায়ী বিভিন্ন আমল করতে বলেছেন। আপনারা যদি সেই সুন্নাহ এবং কুরআনের আমল করেন
তাহলে অবশ্যই আল্লাহ তাআলা আপনাদের দোয়া কবুল করবেন।গর্ভকালীন সময়ে কোন কোন সূরা পড়লে সন্তান সুন্দর ও বুদ্ধিমান হবে তা নিচে উল্লেখ করা হলঃ
আপনি যদি প্রথম মাসে সূরা-আল ইমরান পড়েন তাহলে আপনার সন্তান দামী হবে। দ্বিতীয় মাসে আপনি যদি সূরা-ইউসুফ পড়েন তাহলে আপনার সন্তান সুন্দর হবে। এবং আপনি যদি তৃতীয় মাসে সূরা মারিয়াম পড়েন তাহলে আপনার সন্তান সহিষ্ণু হবে। চতুর্থ মাসে আপনি যদি সূরা-লোকমান পড়েন তাহলে আপনার সন্তান বুদ্ধিমান হবে।
পঞ্চম মাসে আপনি যদি সূরা মুহাম্মদ পড়েন তাহলে সন্তান চরিত্রবান হবে। ষষ্ঠ মাসে আপনি যদি সূরা ইয়াসিন পড়েন তাহলে আপনার সন্তান জ্ঞানী হবে। এছাড়াও সপ্তম, অষ্টম, নবম ও দ্বশম মাসে সূরা-ইউসুফ, মুহাম্মদ এবং ইব্রাহিম কিছু কিছু পড়তে হবে।
গর্ভাবস্থায় মুড়ি খেলে কি হয়
গর্ভাবস্থায় মুড়ি খেলে কি হয় অনেকেই জানতে চেয়ে থাকেন তো চলুন এই আর্টিকেল থেকে জেনে নেই গর্ভাবস্থায় মুড়ি খেলে কি হয়। আপনার কি জানা আছে গর্ভাবস্থায় মুড়ি খেলে কি হয়? গর্ভাবস্থায় মুড়ি খেলে অনেক উপকারিতা পাওয়া যায়। আপনার যদি গর্ভাবস্থায় মুড়ি খেলে কি হয় বিষয়টি জানা না থাকে তাহলে এখনই এ বিষয়টি জেনে নিন
গর্ভাবস্থায় মুড়ি খেলে গর্ভবতী মা ও শিশুর পুষ্টি ঘাটতি পূরণ হয়। মুড়ি খাওয়া ভালো এতে কোন ক্ষতির কারণ নাই। গর্ভাবস্থায় মুড়ি খাওয়ার ফলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় মা ও শিশু দুজনায় সুস্থ থাকে। মুড়িতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে মিনারেল এবং ভিটামিন বি যা গর্ভাবস্থায় আপনার শরীরের মিনারেল ও ভিটামিন বি এর ঘাটতি পূরণ করতে বেশ সহায়তা করে থাকে।
তাই গর্ভাবস্থায় মুড়ি খাওয়া ভালো। প্রোটিন, আয়রন, ক্যালসিয়াম এবং ফাইবার সমৃদ্ধ একটি খাবার হলো মুড়ি। যেহেতু গর্ভাবস্থায় শরীরে হাড়ের ক্ষয় হয়, তাই মুড়ি ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণে সাহায্য করবে এবং অনাগত শিশুর হার গঠনেও সাহায্য করবে। মুড়িতে রয়েছে ক্যালরি এবং শর্করা যা আপনাকে গর্ভাবস্থায় শক্তি দিবে।
গর্ভাবস্থায় ভিটামিন এবং মিনারেল জাতীয় খাদ্য ঘাটতি পূরণ করতেও মুড়ির অবদান থাকে। শর্করা জাতীয় খাদ্য উপাদানটি পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকে বলে গর্ভবতী মায়েরা গর্ভাবস্থায় মুড়ি খেলে এটি তাদের এনার্জি ধরে রাখতে সাহায্য করে।
উপসংহার
আপনি এই আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে জানতে পেরেছেন গর্ভাবস্থায় কি কি খেলে বাচ্চা ফর্সা হয়। আশা করি আপনি আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ে সকল প্রশ্নের উত্তর পেয়ে গেছেন।যদি আপনার কাছে ওয়েবসাইটটি ভালো লেগে থাকে তাহলে যারা এ বিষয়ে জানেন না দয়া করে তাদের কাছে শেয়ার করুন এবং এই ওয়েবসাইটের আর্টিকেল পড়ার সুযোগ করে দিন।
Umme Haney'র নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url