ডায়াবেটিস রোগীর কাঁচা সজনে পাতার উপকারিতা

প্রিয় পাঠক, আসসালামু আলাইকুম আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন। আজকের এই আর্টিকেলে ডায়াবেটিস রোগীর কাঁচা সজনে পাতার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হবে। সজনে পাতা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে, যা ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করতে সাহায্য করতে পারে।
ডায়াবেটিস রোগীর কাঁচা সজনে পাতার উপকারিতা
আপনি যদি আমাদের এই পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ধৈর্য সহকারে পড়তে পারেন তবে ডায়াবেটিস রোগীর কাঁচা সজনে পাতার উপকারিতা জানতে পারবেন। তাই আজকে আমরা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি টপিক আলোচনা করতে যাচ্ছি। 

ভূমিকা

সজনে পাতার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং আইসোথিয়োকাইনেটস নামের উপাদানগুলো রক্তে সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে। প্রতিদিন মাত্র ৫০ গ্রাম সজিনার পাতা খেলে ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে।আপনি যদি ডায়াবেটিস থেকে মুক্তি পেতে বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করার পরেও সমাধান পাননি, তাহলে আজ আমরা আপনাকে একটি চমৎকার জিনিস সম্পর্কে বলবো।

এই জিনিসটি নানা উপায়ে গ্রহণ করলে আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে। বিস্তারিত তথ্য জানতে এর আজকের এই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন।

ডায়াবেটিস রোগীর কাঁচা সজনে পাতার উপকারিতা

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে অনেকেই খুঁজে ভেষজ ও ঘরোয়া সমাধান। তবে বেশ সহজলভ্য হওয়ার পরও অনেকেই জানে না ডায়াবেটিস রোগীর জন্য কাঁচা সজনে পাতার উপকারিতা। সজনে গাছের পাতাকে বলা হয় অলৌকিক পাতা। এটি ভীষণই পুষ্টিকর একটি হার্ব। গবেষকরা  সজনে পাতাকে বলে থাকেন, নিউট্রিশন্স সুপার ফুড এবং  সজনে গাছকে বলা হয় মিরাক্কেল ট্রি।


এতে উপস্থিত বিভিন্ন ভিটামিন এবং খনিজ রক্তে-গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। বেশ কয়েকটি গবেষণায় দেখা গেছে, এতে থাকা বিভিন্ন প্রোটিন রক্তে শর্করার মাত্রা কমায়। তাই এটি ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য খুবই উপকারী। এটি পিত্তথলির কার্যকারিতাও বাড়াতে পারে, যা রক্তের গ্লুকোজের মাত্রা হ্রাস করে।

ডায়েটিশিয়ানরা বিশ্বাস করেন যে, সজনে পাতায় কোয়ার্সেটিন নামে একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। এটি রক্তচাপ কমাতে সহায়তা করে। এর মধ্যে পাওয়া আরও একটি অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট হ'ল ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। সজনেতে পাওয়া ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড শরীরের উন্নতি করে এবং ইনসুলিনকে প্রভাবিত করতে সহায়তা করে।

সজনে পাতা খাওয়ার নিয়ম

আজকে আমরা এ সময়ের একটি সুপারফুড নিয়ে আলোচনা করব, যেটি বলা যেতে পারে এ সময়ের আলোড়ন সৃষ্টিকারী একটি গবেষণা। সেটি হচ্ছে সজনে পাতা; সুপারফুড সজনে পাতা।সজনে পাতায় আমিষ আছে ২৭ শতাংশ। অর্থাৎ এক কেজি সজনে পাতা যদি আপনি খান, তাহলে এর ২৭ শতাংশ, মানে কত? ২৭০ গ্রাম হচ্ছে আমিষ। ৩৮ শতাংশ হচ্ছে শর্করা (কার্বোহাইড্রেট)। 

২ শতাংশ হচ্ছে ফ্যাট। ১৯ শতাংশ হচ্ছে ফাইবার বা আঁশ।আমরা মনে করি যে, ফুল সিজনে সবচেয়ে উত্তম উপায় হচ্ছে এটিকে আপনি জুস করে খাবেন। কিছু সজনে পাতা নিন। ভালো করে পরিষ্কার করে নিয়ে এটাকে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন। কিছু পানি যোগ করে টেস্টের জন্য কিছু আদা, কিছু জিরা, একটু বিট লবণ দিতে পারেন। ভালো করে ব্লেন্ড করেন। এরপর ছেঁকে নিন।

 
ছেকে নিয়ে খাওয়ার সময় একটু মধু দিয়ে খেয়ে নিন। পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ জুসটি আপনার খাওয়া হয়ে গেল। সবচেয়ে সহজ একটি উপায় হল সজনে পাতার ভর্তা বানানো। প্রথমে গাছ থেকে কচিপাতা সংগ্রহ করে ময়লা দূর করার জন্য ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে। তারপর একটি পাতিলে অল্প পরিমাণে পানি দিয়ে তার মধ্যে পাতা সিদ্ধ হতে দিন।

সিদ্ধ হয়ে গেলে কুচি কুচি করে কাটা পেঁয়াজ, মরিচ এবং সামান্য একটু তেল ও লবণ মিশিয়ে ভর্তা করে ফেলুন। গরম ভাতের সাথে মিশিয়ে খেতে বেশ মজা লাগবে। সজনে পাতা খাওয়ার আরেকটি উপায় হল বড়া বানিয়ে খাওয়া। সে ক্ষেত্রে প্রথমে সজনে পাতাগুলোকে বেটে বা ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিতে হবে। বড়া তৈরির সহযোগী উপাদান হিসেবে প্রয়োজন হবে ডাল।

ডালগুলো পিছিয়ে সজনে পাতার সাথে মিশিয়ে নিতে হবে। তারপর সেখানে লবণ, পেঁয়াজ, মরিচ ও অন্যান্য দরকারি উপকরণ পরিমাণ মতো যোগ করে সেগুলোকে তেলে ভেজে নিতে হবে। মচমচে গরম বড়া গুলো খাবার হিসেবে বেশ সুস্বাদু।

সজনে পাতার অপকারিতা

সজনে পাতার অপকারিতা জানতে চান,এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ুন আশা করি আপনার কাঙ্ক্ষিত তথ্যগুলো পেয়ে যাবেন।

পেটের বিভিন্ন সমস্যাঃ সজনে পাতা খেলে আমাদের পেটের বিভিন্ন সমস্যা হওয়ার একটি সম্ভাবনা থাকে। সজনে পাতায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে Minerals,vitamins,ও Antioxidant। মাত্রাধিক পরিমাণে সজনে পাতার গুড়ো গ্রহনের ফলে দেখা দিতে পারে ক্ষুধামন্দা। এই ক্ষুধামান্দার কারণে আমাদের খাওয়ায় অরুচি এবং শরীরে পুষ্টির ঘাটতি দেখা দিতে পারে। অতিরিক্ত গ্যাসের সমস্যা দেখা দিতে পারে পেটের সাথে ডায়রিয়াও হতে পারে।


ব্লাড প্রেসার এর সমস্যাঃ যাদের দেহের রক্তচাপের পরিমাণ অত্যন্ত কম তাদের সজনে পাতা না খাওয়াই উত্তম। কেননা  সজনে পাতা দেহের রক্তচাপের পরিমাণ কমিয়ে দেয়। তবে আপনার যদি উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থেকে থাকে তাহলে আপনি নির্দ্বিধায়  সজনে পাতা খেতে পারেন।

গর্ভবতীদের সমস্যাঃ  সজনে পাতা খাওয়া গর্ভবতী মহিলাদের জন্য ঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। এই কারণে গর্ভবতী বা প্রেগন্যান্ট মহিলাদের সজনা পাতা না খাওয়াই ভালো কারণ গর্ভাবস্থায় সজনে পাতা খেলে মিসক্যারেজ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এছাড়াও সজনে পাতা বেশি পরিমাণে খেলে বদহজম এবং ডায়রিয়ার সমস্যা দেখা দিতে পারে।

ইমিউনিটি সিস্টেমের ক্ষতিঃ সজনে ডাটা এবং পাতা আমাদের শরীরের জন্য খুবই ভালো। কিন্তু সজনে পাতার সাথে সংলগ্ন ডালগুলো আমাদের দেহের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। এগুলোতে বেশ কিছু ধরনের ক্ষতিকারক উপাদান থাকে যেগুলো আমাদের দেহের ইমিউনিটি সিস্টেমের বিশাল ক্ষতি করতে পারে। তাই আমাদের সকলের উচিত সজনে পাতা খাওয়ার সময় পাতার সাথে সংলগ্ন ডালটি পরিহার করা।

সজনে পাতার গুড়া করার নিয়ম

সজনে পাতা গুঁড়া বা Moringa powder ( মরিঙ্গা পাউডার ) অত্যন্ত পুষ্টিকর একটি খাবার। বলা হয়ে থাকে মরিঙ্গা বা সজনে একটি ভেষজ উদ্ভিদ যাকে আমরা সবজি হিসেবেই বেশি চিনি। সিজনের সময় সজনে পাতা সংগ্রহ করে ডাল থেকে পাতাগুলো ছড়াতে হবে। তারপর ভালো ভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে।এরপর রোদে শুকাতে হবে ।

শুকানোর পর এটাকে ব্লেন্ড করতে হবে।এটা ছয় মাস পর্যন্ত সংরক্ষণ করতে পারেন। সারা দিনে যে পুষ্টি দরকার তা এক থেকে দুই চা চামচ সজনে পাতা গুঁড়ায় যথেষ্ট। এ জন্য এটাকে অলৌকিক পাতা বলা হয়ে থাকে। 

সজনে পাতার উপকারিতা

আমাদের শরীরের উপরে সজনে পাতার উপকারিতা অনেক বেশি। সজনে পাতার উপকারিতা সম্পর্কে আমাদের যদি জানা থাকে তাহলে আমরা খুব সহজেই বিভিন্ন জটিল রোগগুলো থেকে আমাদের শরীর  বা দেহকে রক্ষা করতে দেয়। তাই চলুন আজকে বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক সজনে পাতার উপকারিতা গুলো।

রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করেঃ ডায়াবেটিস এর প্রধান সমস্যা হলো রক্তে অতিরিক্ত মাত্রায় সুগার উপস্থিতি যার ফলে শরীরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ যেমন হার্ট, চোখ, কিডনি, স্নায়ুতন্ত্র ইত্যাদির কার্যক্ষমতা এবং যৌন সক্ষমতা কমে যায়। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে সজনে পাতা সরাসরি অথবা গুঁড়ো করে নিয়মিত খাওয়ার ফলে রক্তের সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে।

এর কারণ হিসেবে চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা মনে করে থাকেন যে সজনে পাতার মধ্যে isothiocyanates নামক একটি বিশেষ উপাদান রয়েছে যার প্রভাবে এমনটি হয়ে থাকে। তাই বলে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ওষুধ বাদ দিয়ে শুধুমাত্র সজনে পাতার উপর নির্ভরশীল হওয়া যাবে না।

কারণ এ বিষয়ে যে গবেষণা হয়েছে সেগুলো যথেষ্ট নয় আর তাছাড়া ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্য সজনে পাতা খাওয়ার কোন সুনির্দিষ্ট নীতিমালা নেই। তবে ওষুধ সেবনের পাশাপাশি চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সহায়ক উপাদান হিসেবে সজনে পাতা খাওয়া যেতে পারে।

ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্যঃ সজনে বীজের তেল পাওয়া যায়। এই তেল চুলে ব্যবহার করলে চুল পড়া কমে যায় ও চুলের সৌর্ন্দয বৃদ্ধি পায়। আবার ত্বকের যে কোনো ক্ষত এবং চামরার রোগা আক্রান্ত স্থানে এই তেল বা সজনে পাতার রস ব্যবহার করলে সেরে যায়।

কোলেস্টেরলের মাত্রা কম করেঃ সজনে শরীরের কোলেস্টেরলের মাত্রা স্বাভাবিক রাখে ,যার ফলে হার্ট ভালো থাকে। রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল বেড়ে গেলে হার্টের বিভিন্ন রোগ দেখা দেয় ,যেমন- উচ্চ রক্ত চাপ ,হার্ট অ্যাটাক আরো নানা সমস্যা। সজনে গাছের পাতা খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে।

অতিরিক্ত ওজন কমানোঃ সজনে পাতার ভেতরে থাকা উপাদানগুলো আমাদের শরীরের খারাপ কোলেস্টেরল দূর করতে সাহায্য করে, সজনে পাতা খাওয়ার ফলে আমরা খুব সহজেই আমাদের শরীরের অতিরিক্ত মেদ ও চর্বি কমিয়ে ফেলতে পারি। তাই যারা অতিরিক্ত শারীরিক ওজন নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন এবং ওজন কমানোর জন্য ডায়েট করছেন ,তারা খাদ্য তালিকায় সজনে পাতা রস অথবা গুড়া যুক্ত করতে পারেন।


খাবারের রুচি বাড়ায়ঃ অনেকদিন যাবত নানা রোগে আক্রান্ত বা অন্যান্য নানা কারণে যাদের খাবার প্রতি একটি অনীহা অথবা অনিচ্ছা জন্ম দেয় তাদের জন্য সজনে পাতা একটি কার্যকরী সমাধান হতে পারে। খাবারের অরুচি কমিয়ে এনে স্বাভাবিক রুচি ফেরত আনতে সজনে পাতা বেশ ভালোভাবে সাহায্য করে।

প্রোটিনের ঘাটতি পূরণ করেঃ সজনে শরীরে প্রচুর পরিমানে প্রোটিনের জোগান দেয়। মূলত প্রোটিনের প্রধান উৎস হলো মাছ ,মাংস ডিম ,দুধ ইত্যাদি।ফলমূল ও শাকসবজি থেকে অধিক পরিমানে ভিটামিন পাওয়া গেলেও পর্যাপ্ত পরিমানে প্রোটিন পাওয়া যায় না। তবে সবজির মধ্যে সজনেতে রয়েছে ১৮ রকমের অ্যামিনো অ্যাসিড যা প্রোটিন গঠনের মূল উপাদান।

ব্যথা কমাতে সাহায্য করেঃ সজনে পাতা তে অ‍্যান্টি-ইনফ্লামেটরি উপাদান পাওয়া যায়। এই অ‍্যান্টি-ইনফ্লামেটরি উপাদান সাহায্য করে আমাদের শারীরিক যন্ত্রণা এবং ব্যথাকে কম করতে। শুধু তাই নয়, সজনে পাতার নির্যাস দিয়ে একপ্রকার তেল পাওয়া যায় যাকে মরিঙ্গা ওয়েল বলে। এই মরিঙ্গা ওয়েল সাহায্য করে আমাদের আর্থ্রাইটিস বা বাতের ব্যাথা কে কম করতে সাহায্য করে। তাই সজনে পাতা খাবার উপকারিতা আমাদের ব্যথা বা যন্ত্রণার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

হার্ট ভালো রাখেঃ সজনে পাতা খেলে শররীরে অতিরিক্ত মেদ চর্বি থাকেনা বিধায় হার্ট এ্যটাক বা হার্টের যা কোন সমস্যা থেকে মুক্ত থাকা যায়।এবং হার্টে অসুখ থাকেনা বিধায় হার্ট ভাল থাকে।

রাতকানা রোগ প্রতিরোধ করেঃ রাতকানা প্রতিরোধে সজনে পাতার উপকারিতা রয়েছে অনেক। প্রতিদিন ১০০ গ্রাম সজনে পাতা খাওয়ার মাধ্যমে যে পরিমাণ ভিটামিন এ পাওয়া যায় তাতে শরীরের অর্ধেক চাহিদা পূরণ হয়ে থাকে। ভিটামিন এ রাতকানা রোগ প্রতিরোধ করা সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ গুলোর (হার্ট, ফুসফুস ও কিডনি) স্বাভাবিক কার্যক্রমের সহায়তা করে থাকে।

হাপানির চিকিৎসাঃ সজনে পাতার মধ্যে এমন সব অনু পাওয়া যায়। যা হাপানিও শ্বাসনালীর সংকোচন বা প্রদাহকে একেবারেই র্নিমূল করে দিতে পারে। এবং প্রতিনিয়ত সজনে পাতার সেবন করলে ফুসফুসের র্কাযকারি ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।

চোখ ভালো রাখেঃ চোখ আমাদের অনেক গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। সজনে পাতা আমাদের এই গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের খেয়াল রাখে। সজনে পাতার ভিটামিন এ চোখ পরিষ্কার করে এবং চোখের সমস্যা দূর করে।

সজনে পাতার ব্যবহার 

সজনে পাতার মধ্যে রয়েছে বিপুল পরিমাণে খনিজ পদার্থ ও ভিটামিন। পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, জিংক, ভিটামিন এ, ভিটামিন সি এগুলো ছাড়াও প্রোটিন ও কার্বোহাইড্রেটও আছে এতে। অনেকগুলো পুষ্টি একসঙ্গে থাকার কারণে এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। আসুন সজনে পাতার ব্যবহার গুলো জেনে নিন।
  • সজনে পাতা এনিমিয়াকে দূর করে। শাকের তুলনায় পঁচিশ গুন বেশি আয়রন রয়েছে এতে। কলা থেকে তিন গুন বেশি পটাশিয়াম রয়েছে। শরীরের পুষ্টি চাহিদা পূরণ করতে সজনে পাতা দারুণ উপযোগী।
  • সজনে পাতার তেল এবং গুঁড়ো উভয়ই ত্বকের চুলকানি এবং ত্বকের ফ্রি র্যাডিক্যাল ধ্বংস করে। এ ছাড়াও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকায় এটি ব্যবহারে ত্বকের বলিরেখা কমে। সেইসঙ্গে ত্বকের কালচে দাগ-ছোপও দূর হয়।
  • সজনে পাতায় থাকা অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য খুশকি এবং ফ্ল্যাচি স্ক্যাল্প প্রতিরোধ করে। সজনে পাতায় থাকা হাইড্রেটিং এবং ডিটক্সিফাইং উপাদান চুল দ্রুত লম্বা করে।
  • সজনে পাতা বিভিন্ন ভাবে খাওয়া যেতে পারে, যেমন ভাজা, রান্না, বড়া, ভর্তা ও শুকিয়ে গুড়ো করে। নিয়মিত সজনে পাতা বা মরিঙ্গা খাওয়ার ফলে আমরা আমাদের দেহকে করতে পারি সুস্থ, সবল ও সতেজ। কারণ এটি মানবদেহের জন্য দারুণ উপকারী।
  • সজনে পাতার কিছু ঔষধি গুণ আছে এবং ঔষধি গুণের কারণে আর্থ্রাইটিস নিরাময়ে এটি দারুণ কার্যকর। ইতোমধ্যেই আমরা এক্সপেরিমেন্ট করেছি। যাদের হাঁটু ব্যথা আছে, সজনে পাতার জুস খান। সজনে পাতার ভর্তা খান অথবা গুঁড়া খান। ছয় মাস খান।
  • শরীরের শক্তির মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে, ক্লান্তি ও অবসাদ থেকে মুক্তি দেয় সজনে পাতা। প্রচুর পরিমাণে আয়রন রয়েছে যা শরীরের দুর্বলতা ও তন্দ্রা কমাতে সাহায্য করে। পাতায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ রয়েছে, ফলে শরীর দ্বারা আয়রন শোষিত এবং সঠিকভাবে ব্যবহার করা নিশ্চিত করে। 

লেখকের মন্তব্য

পরিশেষে বলতে পারি সজনে গাছের গুণের শেষ নেই। এই গাছের নানা অংশ বিভিন্ন ঔষধি উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয়। বিশেষ করে সজনে পাতা শরীরের জন্য খুবই উপকারী। এটি ম্যালেরিয়া জ্বর, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিসসহ অন্যান্য অনেক রোগ নিরাময়ে সাহায্য করে।

বন্ধুরা উপরের আর্টিকেলটিতে বিস্তারিত ভাবে বর্ণনা করার চেষ্টা করেছি ডায়াবেটিস রোগীর কাঁচা সজনে পাতা খাবার উপকারিতা সম্পর্কে। এখন নিশ্চয়ই আপনি খুশি হয়েছেন সজনে পাতার সঠিক ও সত্য তথ্যগুলো পেয়ে। উপরের আর্টিকেল থেকে যদি আপনি এতটুকু পরিমাণ উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুবান্ধবদের মাঝে শেয়ার করবেন।

এবং কমেন্ট করতে ভুলবেনা। এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আরও এই ধরনের আর্টিকেল পেতে নিয়মিত ভিজিট করুন আমাদের এই সাইটে। ভাল থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। ''আল্লাহ হাফেজ''

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

Umme Haney'র নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url