প্রিয় পাঠক, আজকের আর্টিকেলটি হচ্ছে স্কিনশটস টেকনিকস,গ্রামাটিক্যাল এরর চেকার, কপিরাইটিং বিশ্লেষণ,Plagiarism কি? কেন করবেন না, এই সমস্ত সকল তথ্য নিয়ে আজকের এই আর্টিকেলটি লিখা হয়েছে। তাহলে চলুন কথা না বাড়িয়ে আর্টিকেল লেখার কয়েকটি নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন।
এই পোস্টে আমরা আপনাদের ওয়েবসাইটের র্যাংক বৃদ্ধিতে সহায়ক এসইও ফ্রেন্ডলি ইংরেজি ও বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম নিয়ে আলোচনা করব। জানাবো কিভাবে একটি ব্লগ আর্টিকেল লিখতে হয়।
ভূমিকা
আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন না স্ক্রিনশটস টেকনিকস এবং কপিরাইটিং জিনিসটা কি আজকের আর্টিকেলে আপনাদেরকে বিস্তারিত হবে জানানো হবে স্ক্রিনশটস টেকনিকস,গ্রামাটিক্যাল এরর কিভাবে চেক করবেন এবং প্লাগারিজম কি? সে সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হবে।
স্কিনশটস টেকনিকস
আর্টিকেল লেখার সময় অনেক ক্ষেত্রে স্ক্রিনশটস নেওয়ার প্রয়োজন পড়ে। অনেকেই সুন্দরভাবে স্ক্রিনশটস নেওয়ার টেকনিকস জানেন না। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক কিভাবে পোষ্টের ভেতর স্ক্রিনশটযুক্ত করা যায় আজকে আমরা সে বিষয়ে আলোচনা করব। স্ক্রিনশট দেওয়ার অর্থ হচ্ছে পাঠকরা যেন খুব সহজে বিষয়গুলো বুঝতে পারে।
কিন্তু এই স্ক্রিনশট যতটুকু নেওয়ার প্রয়োজন ততটুকু নিতে হবে। মোবাইলের মাধ্যমে স্ক্রিনশট নিতে হলে ভলিউম বাটন ও পাওয়ার বাটন একসঙ্গে চেপে ধরে স্ক্রিনশট নিতে পারেন। তাছাড়াও বিভিন্ন রকম ফোনে বিভিন্নভাবে স্ক্রিনশট নেওয়ার উপায় রয়েছে। আবার কোন ফোনে তিন আঙ্গুল একসাথে ওপর থেকে নিচের দিকে নামালে স্ক্রিনশট নেওয়া যায়।
আপনার কম্পিউটারের বিভিন্নভাবে স্ক্রিনশট নিতে পারেন। তার মধ্যে খুব সহজ টি হচ্ছে প্রথমে আপনাকে সিলেক্ট করতে হবে কোন পেজটির স্ক্রিনশট নিবেন। তারপর পেজটি ডিসপ্লের ওপর রাখুন। আপনি উইন্ডোজ 10 বা 11 যেটাই ব্যবহার করেন না কেন বাম পাশে নিচের দিকে স্টার্ট মেনুতে ক্লিক করে সার্চ অপশনে snipping tool লিখে সার্চ করুন।
তারপর snipping tool ওপেন করুন। এরপর নিউ বাটনে ক্লিক করে পেজে যতটুকু অংশ প্রয়োজন ততটুকু সিলেক্ট করিয়ে নিবেন। স্ক্রিনশট নেওয়ার পর সেভ করার জন্য ডান দিকের ওপরের অপশনে থ্রি ডট আছে সেখানে গিয়েও সেভ করার অপশন আছে। এছাড়া আপনি কিবোর্ডে এর মাধ্যমে সেভ করে নিতে পারেন।
এর জন্য কিবোর্ড এর ctrl+s একসঙ্গে চাপলে সেভ হবে। যদি পুরো পেজটির স্ক্রিনশট নিতে হয় তাহলে পেজটি এডিট করে ক্রপ করে নিতে হবে। এর জন্য ফটোশপ অ্যাপ ব্যবহার করতে হবে। ফটোশপ অ্যাপটি ওপেন করার পর পেজটি সেখানে নিয়ে আসতে হবে। ক্রপ টুল এর সাহায্যে যতটুকু অংশ কেটে নিতে পারেন।
কিন্তু এখানে আরো বলে রাখি ক্রপ টুল ব্যবহার করার আগে clear ratio করে নিবেন তাহলে ইচ্ছামত ক্রপ করতে পারবেন। তবে অনেক সময় উপরে অংশটুকু রাখা উচিত তাহলে বুঝতে পারা যায় কোথা থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া হয়েছে। তাহলে আপনার স্ক্রিনশট টি ব্যবহার করার জন্য উপযুক্ত হয়ে যাবে। তাহলে এবার বুঝতে পেরেছেন কিভাবে স্ক্রিনশট নিতে হবে।
গ্রামাটিক্যাল এরর চেকার
আমি আজকে আপনাদের জানাবো গ্রামটিকাল এরর চেকার কিভাবে করবেন। আপনি বাংলা কিংবা ইংরেজি আর্টিকেল লিখেন তবে সেখানে অনেক সময় গ্রামাটিক্যাল ভুল হতে পারে। তবে তা কিভাবে সঠিক করব তা আমি আজকে আপনাদের জানাবো। গ্রামাটিক্যাল এরর আমরা দুই ভাবে চেক করব কারণ আমরা বাংলা ও ইংরেজি দুই ভাবে লেখালেখি করে থাকে।
প্রথমে জানাবো ইংরেজি বানান ভুল হলে আপনি কিভাবে বুঝতে পারবেন তা ভুল হয়েছে এবং ঠিক করার নিয়ম। আপনি যখন পোস্টে ইংরেজি শব্দ লিখবেন তার নিচে যদি লাল রংয়ের দাগ দেখা যায় তাহলে আপনি বুঝে নিবেন আপনার এই বানানটি ভুল হয়েছে। সে বানানটি শুদ্ধ করার জন্য শব্দটির ওপরে রাইট বাটন ক্লিক করলে কিছু অপশন আসবে।
তার ভেতরে আপনি যে শব্দটি ভুল করেছেন তা সঠিক বানান দেখাবে। তার ওপরে ক্লিক করলে বানান সঠিক হয়ে যাবে। এবার আপনাদের জানাবো বাংলা বানান কিভাবে বাংলা বানান শুদ্ধ করবেন। আপনার মোবাইলে কিংবা আপনার পিসিতে অভ্র কিবোর্ড থাকলে আপনি মেনু বারে গিয়ে তার সার্চ দিয়ে স্পেল চেকার ওপেন করে নিবেন।
তারপর সেখানে যদি আপনি লিখেন লিখার পরে আপনার কোন বানানটি ভুল হয়েছে তা বোঝার জন্য বানান টাকে ক্লিক করলে বোঝা যাবে আপনার সে বানানটা সঠিক নাকি ভুল রয়েছে। ভুল থাকলে এর সঠিক বানান নিচে দেখাবে আপনি তার ওপরে ক্লিক করলে বানান সঠিক হয়ে যাবে আশা করি বুঝতে পেরেছেন।
কপিরাইটিং বিশ্লেষণ
আজকে আমরা এই আর্টিকেলে কপিরাইটিং বিশ্লেষণ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। কোথায় এবং কিভাবে কপিরাইটিং বিশ্লেষণ করতে হয় তা অনেকেই জানেন না। যদি না জেনে থাকেন তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য। আজকের আর্টিকেলটি যদি আপনি মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে আপনি জানতে পারবেন কপিরাইটিং বিশ্লেষণ কি এই বিষয় নিয়ে।
কপিরাইটিং শব্দটি শুনলে বোঝা যায় কোন জিনিস কপি করা। অর্থাৎ কোন জিনিস কপি করে তা ব্যবহার করা মানে চুরি করা এটা আমরা মনে করি। কপিরাইট মানে কপিরাইট কপি-পেস্ট কোনোটিই না এটা সম্পূর্ণ ভিন্ন জিনিস। কপিরাইটিং বিশ্লেষণ করার সময় attention,promise,call to action এই তিনটি জিনিস জানা প্রয়োজন।
Attention : Attention জিনিসটা হলো আপনি আপনার পোস্টটি লিখে আপনার পাঠককে কতটা আকৃষ্ট করতে পারছেন সে সমস্ত বিষয়কে বোঝায়। মনে করেন আপনি আপনার পোষ্টের মধ্যে একটি বিজ্ঞাপন দিয়েছেন। সে বিজ্ঞাপনের ভূমিকা এমনভাবে আপনাকে লিখতে হবে যে ভূমিকাটা পড়ার মাধ্যমে আপনার পাঠক বিজ্ঞাপনটি দেখতে বাধ্য হয়।
সেই ভূমিকার মধ্যে এমন এমন শব্দ প্রয়োগ করতে হবে যাতে করে পাঠক সে বিজ্ঞাপন টির প্রতি আকৃষ্ট হয়। এমন কি এটা মাথায় রাখবেন যে ভূমিকাটা লিখবেন সে ভূমিকাটা যেন দুই থেকে তিন লাইনের মধ্যে হয় এটেনশন বিষয়টা কি আশা করি বুঝতে পেরেছেন
Promise: এবার আসি Promise বিষয়টা নিয়ে। Promise বিষয়টা এরকম যে আপনি কাস্টমারকে যে সার্ভিস দিচ্ছেন আর এটাও নিশ্চিত দিচ্ছেন যে এই সার্ভিসটা এই লেভেল পর্যন্ত যাবে অথবা কোন পোস্ট করার পর সে অবশ্যই ইনকাম করবে এরকম প্রমিস থাকতে হবে।
Call to action: এরপর আসি Call to action এ বিষয় নিয়ে। এটা হচ্ছে সেবা গ্রহিতাকে সার্ভিসটা দিয়ে দেওয়া বা বিক্রয় করা। যিনি সেবা নিবেন তিনি কোন সেবাটি নিবে বা কোন কোর্সটি করবেন এরকম পদক্ষেপ নেওয়াটাই হচ্ছে Call to action তাহলে এখন পরিষ্কার ধারণা পাওয়া গেছে যে কপিরাইটিং বিষয়টা কি। কপিরাইটিং হচ্ছে কোন গ্রহীতার attention টা কাজে লাগিয়ে promise করে সেবাটি বিক্রয় করা বা সেবা গ্রহীতা পর্যন্ত পৌঁছানোর কাজটি হচ্ছে কবে কপিরাইটিং।
Plagiarism কি? কেন করবেন না: চলুন শুরুতেই জেনে নেয়া যাক Plagiarism জিনিসটা কি ? মনে করেন যে আপনি একটি পোস্ট লিখেছেন আপনার ওয়েবসাইটে, তার পুরো অংশ আপনার প্রশ্নের কপি করে অন্য একজন তার ওয়েবসাইটে পাবলিশ করে দিয়েছে। আবার অন্য কেউ মনে করেন যে পুরো পোস্ট কপি করে নাই অর্ধেক পোস্ট কপি করেছে বা অন্য কেউ আপনার পোষ্টের পুরোটাও কপি করে নাই।
এবং অর্ধেক করে করে নেয় সামান্য কয়েকটি প্যারাগ্রাফ কপি করে আপনার ওয়েবসাইটে পাবলিশ করে দিয়েছে। এই যে কয়েকটি ধরনের কথা বললাম এই সকল কাজ কি Plagiarism বলে। সহজ ভাবে বলা যায় আপনি অনেক কষ্ট করে একটি পোস্ট লিখেছেন
এবং ইন্টারনেটে ভালো অবস্থানে আছেন আর যদি এটা অন্য কেউ এসে কপি করে নিজের ওয়েবসাইটে পাবলিশ করে নিজের বলে চালিয়ে দেয় এটাই Plagiarism। এটি একটি অপরাধ মূলক কাজ। এ কাজ করা থেকে বিরত থাকতে হবে। যদি অন্য কেউ আপনার পোস্ট কপি করে নিজের বলে চালিয়ে দেয় তাহলে তার বিরুদ্ধে আপনি লিগেল একশন নিতে পারেন।
লেখকের মন্তব্য
আজকে আমরা এই আর্টিকেলে স্কিনশটস টেকনিকস,গ্রামাটিক্যাল এরর চেকার, কপিরাইটিং বিশ্লেষণ,Plagiarism কি? কেন করবেন না, ইত্যাদি বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। এই আর্টিকেলটি বিস্তারিত তথ্য পড়ে আপনার ভালো লাগে অথবা আপনার উপকারে আসে তাহলে অবশ্যই আপনার পরিচিত জনের সাথে শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ
Umme Haney'র নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url